সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায় শহরের বিদ্যালয় গুলোর চেয়ে গ্রামের বিদ্যালয় ভালো করেছে। ফলাফলের দিক দিয়ে এবার প্রথাম স্থান অধিকার করেছে যৌথভাবে ভাটিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, হাতিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও মাতারগাঁও মোহাম্মদীয় উচ্চ বিদ্যালয়। ১৯টি বিদ্যালয়ের মধ্যে দিরাই উপজেলা শহরের দিরাই উচ্চ বিদ্যালয় ৯ম , দিরাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ১০ম এবং বাংলাদেশ ফিমেইল একাডেমী রয়েছে ১৯তম স্থানে।
ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, উপজেলার ১৯টি বিদ্যালয়ের মধ্যে শত ভাগ পাশ করেছে ভাটিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, হাতিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও মাতারগাঁও মোহাম্মদীয় উচ্চ বিদ্যালয়। ৯৭.৬৮ শতাংশ পাশ করে ২ য়স্থানে রয়েছে আব্দুল্লা উচ্চ বিদ্যালয়, ৮৫.৭১ শতাংশ পাশ করে ৩য় স্থানে রয়েছে তাড়ল উচ্চ বিদ্যালয়, ৮১.০৩ শতাংশ পাস করে ৪র্থ হয়েছে ফকির মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়, ৭৮.৩১ শতাংশ পাশ করে ৫ম স্থানে রয়েছে জগদল আল-ফারুক উচ্চ বিদ্যালয়, ৭৭.১৪ শতাংশ পাশ করে ৬ষ্ঠ স্থানে রয়েছে আব্দুল ওয়াহাব উচ্চ বিদ্যালয়, ৭৪.১৩ শতাংশ পাশ করে ৭ম স্থানে রয়েছে রাজানগর কেসিপি উচ্চ বিদ্যালয়, ৭২.৭২ শতাংশ পাশ করে ৮ম স্থানে রয়েছে ধল পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়, ৭১.০৫ শতাংশ পাশ করে ৯ম স্থানে রয়েছে দিরাই উচ্চ বিদ্যালয়, ৭০.৩০ শতাংশ পাশ করে ১০ম স্থানে রয়েছে দিরাই উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, ৬৯.৩৮ শতাংশ পাশ করে ১১তম হয়েছে রজনীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়, ৭৯.০৫ শতাংশ পাশ করে ১২তম স্থানে রয়েছে ব্রজেন্দ্র গঞ্জ উচ বিদ্যালয়, ৬৩.৫২ শতাংশ পাশ করে ১৩ম হয়েছে এইচএমপি উচ্চ বিদ্যালয়, ৬১.১১ শতাংশ পাশ করে ১৪তম স্থানে রয়েছে আব্দুল মতলিব উচ্চ বিদ্যালয়, ৫৯.৫২ শতাংশ পাশ করে ১৫তম স্থানে রয়েছে রফিনগর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়, ৫৬.৭১ শতাংশ পাশ করে ১৬তম স্থানে রয়েছে গচিয়া এসএস উচ্চ বিদ্যালয়, ২৩.৩৩ শতাংশ পাশ করে ১৭তম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের গরীব এতিম অসহায় মেয়ে শিশুদের একমাত্র আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ফিমেইল একাডেমী।
দিরাই উচ্চ বিদ্যালয়, দিরাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বাংলাদেশ ফিমেইল একাডেমী ও রাজানগর কেসিপি উচ্চ বিদ্যালয়ের ফলাফল বিপর্যয়ে হতাশ অভিভাবকরা।
এক সময় রাজানগর কেসিপি উচ্চ বিদ্যালয় সিলেট পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সাথে প্রতিযোগিতা করেছে। দিরাই শহরের তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফলাফল বিপর্যয়ের জন্য অভিভাবকরা শিক্ষকদেরই দায়ী করছেন বেশী। দিরাই উচ্চ বিদ্যালয় ও দিরাই বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষকের ক্লাসের চেয়ে টিউশনী ও কোচিং সেন্টারে বেশী মনোযোগী এ অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। ফলাফল বিপর্যস্ত সে বিষয়টি আবারো সামনে নিয়ে আসলো। বাংলাদেশ ফিমেইল একাডেমীর ছাত্রীর সাথে ২৪ ঘন্টা শিক্ষক-শিক্ষিকা অবস্থান করলেও তাদের ফলাফল বিপর্যয় কেন এ প্রশ্ন অনেকের মনে। তবে ফলাফল বিপর্যয়ের জন্য শিক্ষকদেরই দায়ী করা হচ্ছে বেশী।