স্টাফ রিপোর্টার :
কানাইঘাটে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন ও জোরপূর্বক ভূমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিএনপি নেতা ফখর উদ্দিনের নেতৃত্বে আশ্রয় কেন্দ্র ও বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে হারিছ চৌধুরী একাডেমি নামে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। বুধবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন কানাইঘাট উপজেলার ১নং লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউপির কান্দলা (আহমদ নগর) গ্রামের মরহুম হাজী নুরুদ্দিনের স্ত্রী মোছাম্মৎ আনোয়ারা বেগম।
লিখিত বক্তব্যে আনোয়ারা বেগম বলেন, ১৯৯৮ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার কানাইঘাটের কান্দলা মৌজায় প্রতিষ্ঠা করে বেগম ফজিলাতুন নেছা বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র ও প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ প্রতিষ্ঠানের জন্য আমার স্বামী নূরুদ্দিন এবং গ্রামের আরেকজন ব্যক্তি ভূমি দান করেন। আমার স্বামীর দান করা ভূমি নিয়ে আমার কিংবা আমার পরিবারের কোনো আপত্তি ছিল না এখনো নেই। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রভাবশালী নেতা হারিছ চৌধুরীর নামে এই বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে মুলাগুল হারিছ চৌধুরী একাডেমি নামে নামকরণ করা হয়। হারিছ চৌধুরী সেই সময়ে বিএনপির প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় আমরা বা গ্রামের কেউ প্রতিবাদ করতে পারিনি। শুধু নাম পরিবর্তন নয় করে থেমে থাকেনি কান্দলা মৌজার সাবেক ১২৮ এবং বর্তমান ৭৩ নং দাগে আমার স্বামীর মালিকানাধীন ১৮ শতক ভূমি ভুয়া দলিল সৃষ্টি করে একাডেমির নামে রেজিস্ট্রি করিয়ে নেওয়া হয়। এছাড়াও ৭২ নং দাগে এলাকার আব্দুল বারীর মালিকানাধীন ৭ শতক ভূমি একাডেমির নামে মৌখিক খরিদা দেখিয়ে জোরপূর্বক দখল করা হয়েছে। এ দাগে আমিসহ মোট ৯ জনের মালিকানাধীন আরো ৮ শতক ভূমি দখলের অপচেষ্টা করা হলে তা প্রতিহত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে একাডেমির নাম ভাঙ্গিয়ে তারা মোট ২৫ শতক ভূমি জোরপূর্বক দখলে রেখেছে। এসব ঘটনার অন্যতম নায়ক একাডেমির পরিচালনা কমিটির বর্তমান সভাপতি বিএনপি নেতা ফখর উদ্দিন। তিনি ফজিলাতুন নেছা বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রের আকৃতি পরিবর্তন করে সেখানে শ্রেণিকক্ষ তৈরি করেছেন। বেগম ফজিলাতুন নেছার মত মহিয়সী নারীর নাম পরিবর্তন করার দুঃসাহস দেখিয়েছে ফখর উদ্দিন এবং তার সহযোগীরা। ফখর উদ্দিনের অন্যতম সহযোগী হচ্ছেন বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক জামায়াত নেতা আজিজুল ইসলাম। বিএনপি-জামায়াতের কিছু নেতাকর্মী মিলে এ চক্রান্ত অব্যাহত রেখেছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বঙ্গমাতা বেগম ফজিলানতুন নেছা বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পুনর্বহাল এবং অবৈধভাবে হারিছ চৌধুরী একাডেমির নামে আত্মসাতকৃত তাদের ভূমি উদ্ধারে উর্ধ্বতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কানাইঘাট উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, কানাইঘাট ডিগ্রী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও কানাইঘাট মহিলা কলেজের প্রিন্সিপাল সিরাজুল ইসলাম. এপেক্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন সেবুল, সিলেট মহানগর কৃষকলীগের সহ-সভাপতি তৌফিকুল আলম বাবলু, কানাইঘাট পৌর কৃষকলীগের সভাপতি জুবায়ের আহমদ, এলাকার বিশিষ্ট মুরবিব আব্দুল কুদ্দুছ, হাফিজ মারুফ আহমদ, সাদ্দাম হোসেন, আহমদ আব্দুল্লাহ, জাহাঙ্গীর আলম বাবলু প্রমুখ।