কাজিরবাজার ডেস্ক :
দেশের বিভিন্ন স্থানে গত কয়েক দিন ধরে ঝড়-বৃষ্টির যে প্রবণতা শুরু হয়েছে তা আজ রবিবার থেকে কমে আসবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে সিলেট ও ময়মনসিংহের কিছু জায়গায় বৃষ্টি ও ছোট আকারের কালবৈশাখী ঝড় অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে বিজলি চমকানোসহ বজ্রপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন জানান, শনিবার বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অনেকটা কমে গেছে। রবিবার থেকে দেশের কোথাও কোথাও বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আরও কমে যাবে। তবে সিলেট ও ময়মনসিংহের অনেক জায়গায় বৃষ্টি ও ছোট আকারের কালবৈশাখী ঝড় অব্যাহত থাকবে।
এরপর বৃষ্টিপাতের প্রবণতা দুই থেকে তিন দিন কিছুটা কম থাকবে। এ সময় বৃষ্টিপাতের সাময়িক বিরতি থাকলেও আগামী ৯ মে থেকে ঢাকা, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের কয়েকটি অঞ্চলসহ সারাদেশে বৃষ্টি, কালবৈশাখী ঝড় ও বিদ্যুৎ চমকানোসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে।
আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া এবং বিদ্যুৎ চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ ও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল খুলনায় ৩৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাজারহাটে ২০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত চাঁদপুরে ৬১ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় ঢাকায় ১৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ।
আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমে স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
ঢাকায় সূর্যোদয় ভোর ৫টা ২১ মিনিটে এবং সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬টা ২৯ মিনিটে।