কাজিরবাজার ডেস্ক :
২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিশ্বে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র আমদানি করেছে এশিয়া, ওশেনিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। এর মধ্যে বিশ্বে অস্ত্র আমদানিতে বাংলাদেশ রয়েছে ১৮ নম্বরে অবস্থানে।
সম্প্রতি স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউটের (এসআইপিআরআই) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত চীন থেকে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি অস্ত্র আমদানি করেছে। নিজেদের আমদানি করা অস্ত্রের প্রায় ৭৩.৪৪% চীন থেকে এসেছে। দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তানের পরে চীনের অস্ত্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজারও ছিলো বাংলাদেশ। দেশটির রপ্তানিকৃত অস্ত্রের ১৭.৮৫% এসেছে বাংলাদেশে।
বাংলাদেশে অস্ত্র সরবরাহকারী দেশের মধ্যে চীনের পরেই ছিলো রাশিয়ার অবস্থান। দেশটি থেকে ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল (পাঁচ বছর) নিজেদের আমদানির ১২.৮১% অস্ত্র আমদানি করেছে বাংলাদেশ।
এছাড়া নিজেদের আমদানি করা অস্ত্রের ৫.১৬% যুক্তরাষ্ট্র থেকে, ইতালি থেকে ৩.১০%, ইউক্রেন থেকে ২.৪৯%, ফ্রান্স থেকে ১.২৭%, সার্বিয়া থেকে ০.৯৪%, চেক রিপাবলিক থেকে ০.৩৮%, জার্মানি থেকে ০.৩৩% এবং তুরস্ক থেকে এসেছে ০.১৪%।
এসআইপিআরআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১২-১৬ পর্যন্ত অস্ত্র আমদানিতে গোটা বিশ্বে শীর্ষ দেশ ভারত। এসয়ের মধ্যে তারা বিশ্বের রপ্তানি হওয়া অস্ত্রের ১২.৮% আমদানি করেছে। তার আগের পাঁচ বছরে এই হার ছিলো ৯.৭%।
অন্যদিকে ২০০৭-১১ পর্যন্ত অস্ত্র আমদানিতে ১১ তম অবস্থানে থাকা সৌদি আরব পরের পাঁচ বছরে অস্ত্র আমদানিতে উঠে এসেছে দুই নম্বরে। দেশটি আমদানি করেছে ৮.২% অস্ত্র।
প্রতিবেদনে ১৯৫০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত অস্ত্র রপ্তানির একটি গ্রাফটিত্র দেখানো হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, গত পাঁচ বছরে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র এক দেশ থেকে অন্য দেশে স্থানান্তর হয়েছে। ২০০৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরের তুলনায় ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ৮.৪ শতাংশ অস্ত্র বেশি স্থানান্তর হয়েছে।
২০১২-১৬ পর্যন্ত পাঁচ বছরে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র রপ্তানি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির রপ্তানি হওয়া অস্ত্রের এ হার ৩৩%। দুই নম্বরে থাকা রাশিয়া রপ্তানি করেছে ২৩% অস্ত্র। অপরদিকে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানিকে পেছনে ফেলে এসময়ের মধ্যে অস্ত্র রপ্তানিতে তিন নম্বরে উঠে এসেছে চীন। আগের পাঁচ বছরের তুলনায় তাদের রপ্তানি বেড়েছে ৭৪%। আর ফ্রান্স এবং জার্মানির রপ্তানি কমেছে যথাক্রমে ৫% এবং ৩৬%। তবে ২৭% অস্ত্র রপ্তানি বেড়েছে যুক্তরাজ্যের।