চলে গেলেন বিএনপির প্রবীণ নেতা শামসুল ইসলাম

31

কাজিরবাজার ডেস্ক :
সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য এম শামসুল ইসলাম মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটার দিকে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্না ইলাইহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে শামসুল ইসলামের বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। তিনি দুই ছেলে, আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার স্ত্রী আনোয়ারা সুফিয়া ইসলাম ২০১৫ সালের ৩ জুন মারা যান। তার বড় ছেলে সাইফুল ইসলাম জি নাইনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গতকাল রাতে হঠাৎ অসুস্থ হলে শামসুল ইসলামকে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থা দুপুর দুইটার দিকে মারা যান তিনি।
শায়রুল কবির আরও জানান, বাদ মাগরিব গুলশানের আজাদ মসজিদের জানাযার পর মরদেহ হিমঘরে রাখা হবে। শুক্রবার সকাল নয়টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাযা শেষে মরদেহ নেয়া হবে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। দ্বিতীয় দফা জানাযা শেষে মরদেহ নেয়া হবে মুন্সীগঞ্জে। সেখানে বাদ জুম্মা জানাযা শেষ মুন্সীগঞ্জের সুখবাসপুরে পারিবারিক কবরাস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
শামসুল ইসলাম ১৯৯১-১৯৯৬ মেয়াদে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকারে বাণিজ্য, টেলি যোগাযোগ ও পরে তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০১ সালে বিএনপি আবার ক্ষমতায় এলে তাকে প্রথমে ভূমি ও পরে তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কাছে হেরে যান তিনি। একইসঙ্গে ২০১৬ সালের আগ পর্যন্ত তিনি দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। সর্বশেষ কাউন্সিলে বাধ্যর্কজনিত কারণে তাকে স্থায়ী কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়।