হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ পৌরসভার সাতটি পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগে বিক্ষোভ মিছিল এবং ভাংচুর করেছেন নিয়োগ বঞ্চিতরা।
রোববার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে শহরের নতুন বাজার মোড়ে এক প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে পৌরসভা ঘেরাও করে ভাংচুর করা হয়।
জানা যায়, ৩১ জানুয়ারি নবীগঞ্জ পৌরসভার সার্ভেয়ার, সহকারী অ্যাসেসর, সরকারি লাইসেন্স পরিদর্শক, হিসাব সহকারী, নিম্নমান সহকারী কাম-মুদ্রাক্ষরিক, ট্রাক চালক, অফিস সহায়কসহ সাতটি পদে নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। সাত পদের বিপরীতে সাড়ে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী আবেদন করেন।
এরপর উল্লেখিত আবেদনকারীদের মধ্য থেকে বিভিন্ন অজুহাতে ১৪২ জনের আবেদন বাতিল করেন পৌর কর্তৃপক্ষ। বাকিদের লিখিত ও মৌখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য প্রবেশপত্র দেওয়া হয়। শুক্রবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে রাত পর্যন্ত লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হয়। তবে পৌর মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরীর চাচাতো ও মামাতো ভাইসহ ঘনিষ্ট সাতজনকে পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী নিয়োগ দেয়া হয়। এর জের ধরে নিয়োগ বঞ্চিতরা নতুন বাজার মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ সভা করেন। পরবর্তীতে বিক্ষুব্ধরা পৌরসভার জানালার গ্লাস ভাঙচুর করেন।
পরবর্তীতে উপজেলা পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ মিলু, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মেলেন্দু দাশ রানাসহ মুরুব্বীয়ান উপস্থিত হয়ে তিন দিনের মধ্যে বিষয়টি তদন্তপূর্বক মিমাংসার আশ্বাস দিলে তারা আন্দোলন স্থগিত করেন।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র সাবির আহমেদ চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে নিয়োগ কমিটির সদস্য ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতাউল গণি ওসমানী বলেন, কাগজে-পত্রে সমস্যা থাকার কারণে ১৪২ জনের আবেদন বাতিল করা হয়েছে এটা সত্য। তবে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ পক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।