কাজিরবাজার ডেস্ক :
সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা ৫৯ বছর থেকে ৬০ বছর করে গণকর্মচারী অবসর আইন ২০১৩ সালের সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। আদালত মনে করেন, তাদের অবসরের বয়সসীমা ৬১ হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তা না করাটা সংবিধান পরিপন্থি ও বৈষম্যমূলক হয়েছে। তাই মুক্তিযোদ্ধারা ৬১ বছর পর্যন্ত সব সুবিধা পাবেন।
চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানো নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (১১ এপ্রিল) এ রায় দিয়েছেন বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ওবিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার এ বি এম সিদ্দিকুর রহমান খান ও গাজী মোস্তাক আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এস এম নাজমুল হক।
গণকর্মচারীদের অবসরের বয়সসীমা নিয়ে ১৯৭৪ সালের আইন সংশোধন করে ২০১২ সালে ৫৭ থেকে ৫৯ বছর করা হয়। এরপর ২০১৩ সালে ওই আইন সংশোধন করে মুক্তিযোদ্ধা গণকর্মচারীদের অবসরের বয়স করা হয় ৬০ বছর। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি ছিল ৬১ বছর করার।
৬০ বছর করার ওই বিধান চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে দু’টি রিট করেন মুক্তিযোদ্ধা ও আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক তপন কুমার সাহা এবং সোনালী ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক মশির উদ্দিন।
ওই রিটের পর হাইকোর্ট রুল জারি করেন। সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানির পর বুধবার রায় ঘোষণা করা হয়।
রায়ের পর আইনজীবী গাজী মোস্তাক আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যারা এখনো সরকারি চাকরি করছেন তারা এ রায়ের কারণে ৬১ বছর পর্যন্ত সুবিধা ভোগ করবেন বলে মনে করি।
অপর আইনজীবী এবিএম সিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে চাকরির অবসরের বয়সসীমা ৬১ পর্যন্ত করা উচিত ছিল বলে মত দিয়েছেন আদালত। আর ৬০ বছর করে যে আইন সংশোধন করেছিল সরকার, সেটা অবৈধ বলে বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এস এম নাজমুল হক বলেন, সরকারি চাকরিতে অবসরের বয়সসীমা নির্ধারণ করবে সরকার। এটা সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়।
তিনি বলেন, গণকর্মচারী (অবসর) (সংশোধন) আইন, ২০১৩ এর সংশোধিত ধারাটি অবৈধ ঘোষণা করে তা বাতিল করেছেন আদালত। তবে আদালত রায়ে বলেছে এর সুবিধা রিটকারীরা পাবেন। কীভাবে পাবেন সে বিষয়টি পরিষ্কার না।