শাবি থেকে সংবাদদাতা :
রাজধানীর শাহবাগে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে দেশব্যাপী ডাকা ছাত্র ধর্মঘটে একাত্মতা জানিয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সোমবার সকাল ৭ টা থেকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে অবস্থান নিয়েছেন। তবে তাদের উঠিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
অন্যদিকে সকাল ৬.৪৫ থেকে ৮ টা পর্যন্ত সমন্বয়ক নাসির উদ্দিনকে শাহপরান হলের গেস্ট ুমে আটকে রাখেন শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুহুল আমিন ও সাধারণ স¤পাদক ইমরান খান। এ সময় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন কেড়ে নেন সাধারণ স¤পাদক ইমরান। পরে সকাল ৮ টার দিকে তার মোবাইল ফোন ফেরত দেয়া হয়। তবে এ বিষয়ে ইমরান খান বলেন, ‘আমরা বিষয়টি জানতে তাকে নিয়েছিলাম।’
ক্যা¤পাস সূত্রে জানা যায়, ছাত্র ধর্মঘটের অংশ হিসেবে সকাল ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান নেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে সকাল ৮টায় শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. রুহুল আমিন, সাধারণ স¤পাদক ইমরান খান, সহ-সভাপতি মোস্তাকিম আহমেদ মোস্তাক, তারিকুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা এসে আন্দোলনকারীদের বাধা প্রদান করেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের উঠিয়ে দিলেও তারা মূল ফটকেই অবস্থান করেছেন।
এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল ও অন্যান্য স্থানে তাদেরকে বাধা প্রদান ও কোটা সংস্কারের দাবি সংবলিত টি-শার্ট খুলে ফেলতে বাধ্য করারও অভিযোগ রয়েছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন শাবি শাখার যুগ্ম-আহবায়ক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, আলোচনার নামে আমাদেরকে হলের গেস্ট রুমে আটকে রাখা হয়। এসময় মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা আটকে রাখে। এছাড়া গেইটে অবস্থানের সময় প্ল্যাকার্ড ছিনিয়ে নেয়া নেয়া হয় এবং টি-শার্ট খুলে ফেলতেও বাধ্য করা হয়।’
এ বিষয়ে আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অংশ হিসেবে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের শতভাগ সমর্থন রয়েছে। সকালে ছাত্রলীগ বাধা দিলেও গেইটে এখন পর্যন্ত আমরা ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান করছি।’
শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ স¤পাদক ইমরান খান বলেন, ‘অহিংস আন্দোলন করার গণতান্ত্রিক অধিকার এই দেশে সকলেরই রয়েছে। আমরা তাদেরকে বলেছি আপনারা অহিংস আন্দোলন করতে পারেন তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ করে নয়।’