৪ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল, ৬ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ, পিতার নারাজি

37

স্টাফ রিপোর্টার :
২০১৭ সালের ১৬ অক্টোবর সোমবার নগরীর টিলাগড়ে আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে নিহত ছাত্রলীগ কর্মী ওমর মিয়াদ (২২) খুনের মামলায় শাহপরাণ থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই প্রদীপ সরকার সিলেট চীফ মেট্রোপলিটন আদালতে ৪ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেছেন। এছাড়াও এ মামলা থেকে জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক রায়হান চৌধুরীসহ ৬ জনকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য সুপারিশ করেছেন।
তদন্ত কর্মকর্তা জানান- গত ২৮ মার্চ আদালতে এ চার্জশিটটি দাখিল করা হয়। এদিকে উচ্চ আদালত থেকে একমাসের জামিনে থাকা জকিগঞ্জের সেনাপতির চক গ্রামের বাসিন্দা মুহিবুর রহমানের পুত্র তোফায়েল আহমদ (২২) গতকাল সিলেট চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হলে আদালতের বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। আদালতের জামিনের সময় শেষ হওয়া এবং ওমর মিয়াদ হত্যা মামলার দাখিলকৃত চার্জশিটে তোফায়েলকে অভিযুক্ত করা হয়। নিহত ওমর মিয়া বেসরকারি লিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার বালিচরি গ্রামের আকুল মিয়ার ছেলে।
ওমর মিয়াদ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত করা হয়- তোফায়েল আহমদ ছাড়া শাহজালাল উপশহর ডি ব্লকের ২৩নং রোডের ৪৪১ নং বাসার হাবিবুর রহমানের পুত্র জাকারিয়া মাহমুদ (২৭), টিলাগড়স্থ ভাঙাটিকর এলাকার ২৩নং বাসার মৃত আখলাকুর রহমানের পুত্র রুহেল আহমদ (২৭), সুনামগঞ্জ নয়ানগর গ্রামের মৃত ওসমান গণির পুত্র শওকত হাসান মানিক (২৬)। এছাড়াও এ মামলার দাখিলকৃত চার্জশিট থেকে বাদ দেয়া হয়- জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক রায়হান চৌধুরী, রাফিউল করিম মাসুম, বিয়ানীবাজারের উত্তর চক্রবাণী গ্রামের মৃত মইনুল হকের পুত্র সারোয়ান হোসেন চৌধুরী, কোতোয়ালি থানার রায়নগর এলাকার মিতালি ১৩০ নং বাসার আকরাম খানের পুত্র জুবায়ের খান (২৬), ফেঞ্চুগঞ্জের শরীফগঞ্জ গ্রামের সাজ্জাদ মিয়ার পুত্র ফাহিম শাহ (২৭) এবং জকিগঞ্জের সেনাপতিরচক গ্রামের মুহিবুর রহমানের পুত্র ফখরুল ইসলাম (৩৩)।
এদিকে মামলার বাদী ওমর মিয়াদের পিতা পুলিশের দাখিলকৃত চার্জশিটের উপর নারাজি দিবেন বলে জানান। মামলার পরবর্তী তারিখ ২৩ এপ্রিল তিনি এ নারাজি দাখিল করবেন। এর আগে গত বছরের ১৮ মার্চ ওমর মিয়াদের পিতা আকুল মিয়া শাহপরাণ থানায় রায়হান চৌধুরীকে প্রধান করে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন।
শাহপরাণ থানার জেনারেল রেকর্ড অফিসার (জিআরও) সমীরণ দাস জানান- মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ৪ জনকে অভিযুক্ত ও ৬ জনকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।