কাজিরবাজার ডেস্ক :
আগামী ১৪ জুলাই শনিবার থেকে শুরু হবে এবারের হজ্ব ফ্লাইট। বৃহস্পতিবার বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল। তিনি বলেন, চলতি মৌসুমে বাংলাদেশ থেকে পবিত্র হজ্ব গমনেচ্ছুদের ফ্লাইট আগামী ১৪ জুলাই থেকে শুরু হবে। সভায় ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বিএইচ হারুণ, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব আনিছুর রহমান, বিমান মন্ত্রণালয়ের সচিব এস এম গোলাম ফারুক, হাব মহাসচিব শাহাদাত হোসেন তসলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে আজ একই স্থানে ধর্ম এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, হজ্ব এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব), বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সসহ হজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শাহজাহান কামাল বলেন, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন যাত্রী হজ্বে যাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ্বে যাবেন ৭ হাজার ১৯৮ জন এবং ১ লাখ ২০ হাজার জন যাবেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়। নির্দিষ্ট আকার ও জাতীয় পতাকাখচিত পলিব্যাগ ও কিটব্যাগ হজ্বযাত্রীদের নিজ নিজ ব্যবস্থাপনায় কিনতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারি ব্যবস্থাপনায় দু’টি প্যাকেজ আছে। প্যাকেজ ১-এর জন্য দিতে হবে ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৯২৯ টাকা। আর প্যাকেজ ২-এর জন্য লাগবে ৩ লাখ ৩১ হাজার ৩৫৯ টাকা। এর মধ্যে প্লেন ভাড়া এক লাখ ৩৮ হাজার ১৯১ টাকা। তিনি জানান, ২০১৭ সালে হজ কার্যক্রমে অংশ নেওয়া ১৯৩টি এজেন্সির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবে বিভিন্ন অভিযোগ ওঠেছে।
মন্ত্রী বলেন, এসব অভিযোগের সত্যতা যাচাই-বাছাই করতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটির সুপারিশ পর্যালোচনা করে ৬৪টি হজ্ব এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে ও জরিমানা করা হয়েছে। ১৭টি এজেন্সির লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, এর বাইরে ৪৯টি এজেন্সিকে জরিমানা, তিরষ্কার ও সতর্ক করা হয়েছে এবং ১২টি হজ এজেন্সিকে সতর্ক করা হয়েছে। আরও ৫১টি হজ্ব এজেন্সিকে হজ্বযাত্রী পাঠানোর কার্যক্রম থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।