সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদে উপ-নির্বাচনকে সামনে রেখে চলছে শেষ বেলার প্রচার-প্রচারণা। আওয়ামীলীগের মনোনয়নে প্রয়াত মেয়র আইয়ূব বখত জগলুর ছোট ভাই নাদের বখত, বিএনপির মনোনয়নে সাজাউর রাজা সুমন ও স্বতন্ত্রপ্রাথী হিসেবে সুনামগঞ্জের জননন্দিত সাবেক মেয়র প্রয়াত মমিনুল মউজদিনের ছোট ভাই দেওয়ান অভিনব কৌশলে ভোটারদের মন জয় করতে পৌর এলাকার বাড়ি বাড়ি চষে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা। বিজয় নিশ্চিত করতে জোড়েশোরে চলছে প্রচার-প্রচারণা। নির্বাচনী আমেজে শহর এখন সরগরম। উঠান বৈঠক আর শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা করছেন প্রার্থীরা। তরে বড় দুই রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে রয়েছে অন্তদ্বন্ধ। সে সুযোগ নিতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। ইতোমধ্যে দেখো গেছে বিএনপির অনেক র্শীষ স্থানীয় নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন।
২০১৫ সালে সুনামগঞ্জ পৌর সভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সে নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে আইয়ূব কভত জগলু নির্বাচিত হন। স্বতন্ত্র প্রার্থী গণিউল সালাদিন সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। এ নিয়ে রয়েছে নানা জনের নানা মত। সে নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী অধ্যক্ষ শেরগুল আহমেদ তৃতীয় স্থানে ছিলেন। বিএনপির এ ফলাফলকে বিএনপির গ্র“পিংকে দায়ী করেছিলেন ভোটাররা। প্রার্থী ছিলেন নাছির চৌধুরীর মনোনীত তাই আসপিয়া বলয় সে প্রার্থীকে ভোট দেয়নি বলে গুঞ্জন রয়েছে।
রাজনৈতিক দিক বিবেচনা করলে সুনামগঞ্জ পৌর শহরে বিএনপির ভোটার বেশী। আর ২০ দলের ভোটার একত্রিত করলে কোন দলের প্রার্থীই বিএনপিকে পরাজিত করতে পারবেনা বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতামত। তবে ভোটের মাঠে বিএনপি দাঁড়াতেই পারে না। যে কেন্দ্রে বিএনপির শতাধিক ভোটার রয়েছেন সে কেন্দ্রও ধানের শীষ ভোট পায় ৮-১০টি। সুনামগঞ্জ বিএনপিতে নাছির চৌধুরী ও ফজলুল হক আসপিয়া সমর্থিত দুটি বলয় রয়েছে। সুনামগঞ্জের রাজনীতিতে জেলা বিএনপির কমিটি গঠনের পর আসপিয়া বলয়ের কাছে দলের ক্ষমতা চলে আসে। এ নির্বাচনে সে বলয়ের প্রার্থী হয়েছেন সাজাউর রাজা চৌধুরী। এখন পর্যন্ত ভোটাররা মনে করেন বিএনপি ধানর শীষে ভোট দিয়ে সুমনের বিজয় নিশ্চিত।
আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী নাদের বখত বলেন, প্রয়াত মেয়র আয়ুব বখত জগলুল আমার বড় ভাই, উনার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার জন্য পৌল বাসী আমাতে প্রার্থী হতে উৎসাহ যোগিয়েছেন। এবং তারা আমার সাথে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। আমি আশা করি উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পৌরবাসী জননেত্রী শেখ হাসিনার নৌকায় ভোট দিয়ো আমাদের তাদের সেবা করার সুযোগ দিবেন।
বিএনপি মনোনিত প্রার্থী দেওয়ান সাজাউর রাজা সুমন বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই, মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ নেই। আমি যখন নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি ঠিক তখন আমার নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয় কে সরকার পরিকল্পিতভাবে কারাগারে রখেছে। আমি বিশ্বাস করি গণতন্ত্র মনা মানুষ এবং শহীদ জিয়ার উত্তর সুরীরা গণতন্ত্র পূনরুদ্ধার ও খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনকে জোরদার করতে আগামী ২৯ মার্চ উপনির্বাচনে ধানের শীষ প্রতিকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন বলে আশাবাদী।
স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান গনিউল সালাদিন বলেন, আমি গত নির্বাচনে সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলাম। এ নির্বাচনে ভোটাররা মোবাইলের পক্ষে গণজোয়ার তুলছেন। দলীয় প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্গন করলেও প্রশাসন তাদের কিছুই বলছে না। আমাকে প্রচারনা চালাতে পদে পদে বাধা সৃষ্টি করছে প্রশাসন। ভোটাররা আমাকে সাহস যোগাচ্ছেন তারা এসবরে জবাব ২৯ তারিখ দেবেন মোবাইলে ভোট দেওয়ার মাধ্যমে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জনজণের মনোনীত প্রার্থীর বিজয় হবে ইনশাআল্লাহ।