দক্ষিণ সুরমার কদমতলীতে সুরমা নদীর তীরে চিরশায়ীত ৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম হযরত শাহ্ সামালাল শাহ (রঃ), হযরত আবিদাল শাহ (রহঃ), হযরত রহমত শাহ্ (রঃ), হযরত দরিয়া শাহ্ (রহঃ) গণের বাৎসরিক পবিত্র ওরস শরীফ আগামী ৪ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে। প্রতি বছরের মতো এবারো বাংলা মাসের ২০, ২১ ও ২২ ফাল্গুন, ৪, ৫ ও ৬ মার্চ, রবি, সোম, ও মঙ্গলবার ওরস শরীফ অনুষ্ঠিত হবে। ওরসের প্রথম দিন ২০ ফাল্গুন ৪ মার্চ রবিরার বাদ ফজর হতে খতমে কোরআন শরীফ পাঠ, বাদ এশা মিলাদ শরীফ ও দোয়ার পর জিকির আজকার। ২য় দিন ২১ ফাল্গুন ৫ মার্চ সোমবার বাদ ফজর হতে খতমে কোরআন শরীফ, সকাল ১০টা হতে মাজারে গিলাপ দেওয়া। বাদ জোহর গরু জবেহ্। বাদ এশা মিলাদ শরীফ ও দোয়ার পর জিকির আজকার। ৩য় দিন ২২ ফাল্গুন ৬ মার্চ মঙ্গলবার রাত ৪টার পর আখেরী মোনাজাত, বাদ ফজর নিয়াজ বিতরণের মাধ্যমে ওরসের সমাপ্তি হবে। পবিত্র ওরসে ধর্ম -বর্ণ নির্বিশেষে ভক্তবৃন্দের উপস্থিতি কামনা করেছেন মাজার কমিটির মোতাওয়াল্লী মো: মহসিন আলী চুন্নু, সেক্রেটারী হাজী সমরাজ মিয়া ও খাদিম মো: সমরাজ উদ্দিন আফতাব। মাজার কমিটির মোতাওয়াল্লী মো: মহসিন আলী চুন্নু জানান, ওরসে ব্যাপক নিরাপত্তার পাশাপাশি শান্তি শৃংখলা রক্ষার কাজে এলাকার যুবক থেকে সব বয়সের সাধারণ বাসিন্দারা দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া ওরসে লাউড স্পিকার বাজানো যাবে না। মহিলাদের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই, সব ধরনের অন্যায় কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মাজার কমিটির সেক্রেটারী হাজী সমরাজ মিয়া বলেন, ঐতিহ্যবাহী পবিত্র এ ওরস মোবারক যথাযথভাবে পালনের জন্য মাজার এলাকার ভেতর তৈরি করা হবে কাফেলা। মাজারের চারপাশে শান্তি শৃংখলা রক্ষার কাজে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আশা ভক্ত ও আশেকানদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পবিত্র ওরস শরীফ শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে পালনের জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। বিজ্ঞপ্তি