কাজিরবাজার ডেস্ক :
চলতি বছরে দেশে আরও ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, গ্রামীণ মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্য বাস্তবায়নে চিকিৎসকদের অবশ্যই গ্রামে অবস্থান করতে হবে।
শুক্রবার দুপুরে নওগার পতœীতলা উপজেলার ঘোষনগর ও আকবর ইউনিয়নের জন্য নবনির্মিত ১০ শয্যাবিশিষ্ট পৃথক দুটি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
গ্রামের অবস্থা এখন আর তেমন নেই-উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে গ্রামে বিদ্যুৎ, জ্বালানিসহ শহরের মতো সব সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। এখন চিকিৎসকদের গ্রামে থাকতে কোনো অসুবিধা হবে না। কাজেই তাদের শহরমুখী না হয়ে গ্রামমুখী হওয়ারও আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
উপজেলার খিরশিন গ্রামে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিবার কল্যাণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব ডা. কাজি মোস্তফা সারোয়ার।
জাতীয় সংসদরে হুইপ মো. শহিদুজ্জামান সরকার, মো. ছলিমুদ্দিন তরফদার এমপি, পরিবার পরিকল্পনা রাজশাহী বিভাগের পরিচালক সরকারের যুগ্ম সচিব মলয় কুমার রায়, জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন, নওগাঁ জেলার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক ড. কস্তুরী আমিনা কুইন, পতœীতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা পারভিন এবং ঘোষনগর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার দেশে স্বাস্থ্য ও নিরাপদ মাতৃত্ব সেবা, শিশু স্বাস্থ্য সেবা মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেয়ার জন্য সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ভবিষ্যতে সন্তান প্রসবকালে একটি মাও যেন মৃত্যুবরণ না করে, অনাগত সন্তান যেন নিরাপদে পৃথিবীতে ভূমিষ্ট হতে পারে সে লক্ষ্যে সরকার প্রতিটি ইউনিয়নে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে।
পতœীতলা উপজেলার ঘোষনগর ইউনিয়নে খিরশিন এবং আকবর ইউনিয়নের মধইলনামক স্থানে পৃথক মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটির জন্য চার কোটি ১৬ লাখ করে মোট ব্যয় হয়েছে আট কোটি ৩২ লাখ টাকা।