হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে পুলিশের গুলিতে যুবদল নেতা নিহতের ঘটনায় সাত পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে নিহতের স্ত্রী কাজী শাহেনা আক্তার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে বিকেল ৫টায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন, চুনারুঘাট থানায় কর্মরত এসআই আতাউর রহমান, এসআই ওমর ফারুক, এএসআই দেলোয়ার হোসেন, এএসআই সাজিদ মিয়া, কনস্টেবল মনীন্দ্র চাকমা, কনস্টেবল আব্দুল হামিদ, ড্রাইভার নুরুজ্জামান।
মামলায় বাদীপক্ষ উল্লেখ করেন, গত ৩১ ডিসেম্বর রাতে চুনারুঘাট থানা পুলিশ উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ হাতুন্ডা গ্রামের মৃত গনি মিয়ার ছেলে, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক কাউন্সিলর ইউনুছ মিয়াকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বাড়ি থেকে ধরে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ব্যাপক শরীরিক নির্যাতনের পর গুলি করে হত্যা করা হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট সিরাজ আলী মীর মামলা দায়েরের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘বিকেল ৫টার দিকে আদালত মামলাটি গ্রহণ করে, অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে বিচার বিভাগীয় তদেন্তর নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য গত ৩১ ডিসেম্বর রাতে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় যুবদল নেতা ইউনুছ আলী। পুলিশ দাবি করে সে একজন মাদক ব্যবসায়ী। পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকসহ তাকে ধরতে গেলে পুলিশের ওপর তার সহযোগীরা হামলা করে। এ সময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি ছুড়ে। এ সময় পুলিশের গুলিতে আহত হয় ইউনুছ আলী। পরে তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।