হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দিনারপুর পরগণায় কয়েকটি গ্রামে চোর ডাকাত আতংক বিরাজ করছে। গত শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের সদরঘাট গ্রামে শাহ ইয়াকুব মিয়ার বাড়িতে একদল ডাকাত হানা দেয়। ডাকাত দলের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির লোকজন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আশ পাশের লোকজনকে জানিয়ে দিলে গ্রামবাসী দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ইয়াকুব মিয়ার বাড়িতে ছুটে আসেন। মানুষের আনাগোনা টের পেয়ে ডাকত দল পালিয়ে যায়। ওই গ্রামে চোর ডাকাত প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়েছে। উল্লেখ্য গত রবিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ৪জনের সংঘবদ্ধ চোর গজনাইপুর ইউনিয়নের কায়স্থগ্রামের বাছিত মিয়ার বাড়িতে প্রবেশ করে এ সময় একটি সোনার চেইন, নগদ টাকা ও একটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। (১৯ জানুয়ারী) রাতে ১০/১২ জনের একদল ডাকাত গজনাইপুর ইউনিয়ন পরিষদ এর প্যানেল চেয়ারম্যান (৩) সাফিয়া ইয়াছমিনের বাড়িতে ডাকাতদল প্রবেশ করা চেষ্টা করে। এ সময় পরিবারের লোকজন সজাগ থাকায় আশ-পাশের লোকজনকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি অবগত করলে ডাকাতদল পালিয়ে যায়। গত ১৭ জানুয়ারী বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে গজনাইপুর ইউনিয়নের কায়স্থগ্রামের তাহির মিয়ার বাড়ির গেইটের তালা ভেঙ্গে ১৫/২০ জনের একদল মুখোশধারী ডাকাত দল ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় পরিবারের সদস্যদের হাত- পা বেঁধে লুটপাট চালায়। সে সময় ৮ ভরি স্বর্ণ, নগদ ৬০ হাজার টাকা, ৩টি মোবাইলসহ প্রায় ৭ লক্ষ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। গত ১৪ জানুয়ারী শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে দেবপাড়া ইউনিয়নের সদরঘাট ফকিরপাড়া আশ্রব আলীর বাড়িতে ৮/১০জনের একদল মুখোশধারী ডাকাতদল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে। সে সময় পরিবারের সদস্যদের হাত পা বেঁধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ২ ঘন্টা ব্যাপী লুটপাট চালায়। ডাকাতরা ১৫ ভড়ি স্বর্ণালংকার, নগদ ৬০ হাজার টাকা, ৪টি স্মার্টফোন, গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রসহ গ্রায় ৮ লক্ষ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। গত ২৬ ডিসেম্বর, দেবপাড়া ইউনিয়নের সদরঘাট গ্রামের শিক্ষক মৃত কাজী ওয়ারিসুল ইসলামের পুত্র কাজী সাইফুল ইসলাম এর বাড়ীতে ১০/ ১২ জনের মুখোশধারী সংঘবদ্ধ ডাকাত দল হানা দেয়। তখন বাড়ির প্রধান ফটকের তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে। ডাকাতের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘরের গৃহকর্তা সাইফুল শোরচিৎকার শুরু করলে, ডাকাতরা তখন সাইফুলের উপর এলোপাথাড়ি হামলা চালায়। এক পর্যায়ে পরিবারের অপর সদস্যদের চিৎকারে আশ পাশের প্রতিবেশী সজাগ হলে ডাকাতদল মালামাল ফেলে দ্রুত পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রের একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরে রক্তাক্ত অবস্থা ঘরের গৃহকর্তা সাইফুলকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এছাড়াও দিনারপুর পরগনার গজনাইপুর ইউনিয়নের কায়স্থগ্রামসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে চোর ডাকাত দল হানা দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে দিনারপুর পরগনা জুড়ে চোর ডাকাত আতংত বিরাজ করছে।