কানাইঘাটে মোটর বাইক চালককে খুনের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের, গ্রেফতার ১

49

কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাটে ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল চালক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রুবেল আহমদ (২৫) নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনায় কানাইঘাট থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের মা লক্ষ্মীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপির সোনাতনপুঞ্জি গ্রামের আনোয়ারা বেগম। গত শনিবার রাতে একই ইউপির নয়াগ্রামের প্রবীণ আ’লীগ নেতা আব্দুল লতিফ, সাবেক ইউপি সদস্য কালিনগর গ্রামের আ’লীগ নেতা আব্দুল খালিক এবং পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃত নিহত রুবেল আহমদের ফুফাতো ভাই আব্দুল মান্নান সহ আরো দু’জনের নাম উল্লেখ করে এ হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। থানার মামলা নং- ১০, তাং- ২৩/১২/২০১৭ইং। কানাইঘাটের সীমান্তবর্তী সোনাতনপুঞ্জি গ্রামের মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আব্দুল মতিনের পুত্র রুবেল আহমদ গত বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় সুরইঘাট বাজার থেকে রাত অনুমান ১০টার দিকে ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল যোগে দু’জন যাত্রীকে নিয়ে চতুল বাজারের উদ্দেশ্যে যায়। পরদিন শুক্রবার রুবেল আহমদের ক্ষতবিক্ষত লাশ স্থানীয় বড়বন্দ ৩য় খন্ড গ্রামের করুনা দীঘির সম্মুখে কবরস্থান থেকে উদ্ধার করে থানা পুলিশ। তবে তাঁর মোটর সাইকেলটি এখনও উদ্ধার হয়নি। নিহতের মামা মঈনুদ্দিন জানিয়েছেন হত্যাকান্ডের কয়েকদিন পূর্বে স্থানীয় সুরইঘাট বিজিবি ক্যাম্পের জওয়ানরা কয়েক বস্তা ভারতীয় সুপারি আটক করেছিল। এ তথ্যটি রুবেল আহমদ ফাঁস করেছে সন্দেহ হলে এলাকায় চোরাকারবারীদের গড ফাদার আব্দুল লতিফ, আব্দুল খালিক তার ভাগ্না রুবেল আহমদকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। তবে মামলার আসামী আব্দুল লতিফ ও আব্দুল খালিকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে রুবেল আহমদ হত্যাকান্ডের সাথে তাদের কোন ধরনের সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবী করেছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এস.আই রাজীব মন্ডল জানিয়েছেন, রুবেল আহমদ হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী আব্দুল মন্নানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।