কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
গত বৃহস্পতিবার রাতে কানাইঘাট সাতবাঁক ইউপির চরিপাড়া (মাঝরডি) গ্রামের মৃত সিদ্দেক আলীর পুত্র ডাকাতি মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী হাবিবুর রহমান হরু হুনা কানাইঘাট থানা পুলিশ তার নিজ বাড়ী থেকে গ্রেফতারের সময় পুলিশের উপর হামলা ও গোলাগুলিতে নিহত ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী হাবিবুর রহমান হরু হুনার মৃত্যুর ঘটনায় থানায় পুলিশ এসল্ট মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত শুক্রবার থানার এসআই অভিযানের নেতৃত্বদানকারী সাতবাঁক ইউপির বিট পুলিশিং কর্মকর্তা বর্তমানে সিওমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আবু কাউসার বাদী হয়ে নিহত হবিবুর রহমানের পরিবারের ৯ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাতনামা ১২/১৩ জনকে আসামী করে পুলিশ এসল্ট মামলা দায়ের করেন। থানার মামলা নং- ০৯, তাং- ২২/১২/২০১৭ইং। এদিকে গুলিতে নিহত হাবিবুর রহমানের লাশ ময়না তদন্তের পর গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় চরিপাড়া মাঝরডি জামে মসজিদ সংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে থানা পুলিশ তার লাশ নিজ বাড়ীতে নিয়ে দাফনের উদ্যোগ নিলে এতে গ্রামের অনেকের বাঁধার মুখে পুলিশ লাশ দাফন করতে পারেনি বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন। গতকাল হাবিবুর রহমানের জানাযার নামাজে সাতবাঁক ইউপির সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার ফয়জুল ইসলাম, বর্তমান চেয়ারম্যান মস্তাক আহমদ পলাশ সহ প্রায় ৪ শতাধিক লোকজন শরীক হন। জানাযার নামাজ পূর্বে বক্তব্যে সাবেক চেয়ারম্যান মাষ্টার ফয়জুল ইসলাম ও বর্তমান চেয়ারম্যান মস্তাক আহমদ পলাশ বলেন, গত বৃহস্পতিবার একটি মামলার পলাতক আসামী লঞ্চ চালক হাবিবুর রহমানকে থানা পুলিশ গ্রেফতার করতে গিয়ে যে অনাকাংখিত দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে তার সঠিক তদন্ত করার জন্য পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি তারা আহ্বান জানান। হাবিবুর রহমান ডাকাত নয়, তাকে ধরতে গিয়ে পুলিশের সাথে তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে যে অনাকাংখিত ঘটনার জের ধরে পুলিশের গুলিতে হাবিবুর রহমানের মৃত্যুর বিষয়টি উদ্ঘাটন এবং প্রকৃত দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করারও আহ্বান জানান। এ ব্যাপারে থানার ওসি (তদন্ত) নুনু মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, একাধিক ডাকাতি মামলার আসামী ডাকাত হাবিবুর রহমানকে গ্রেফতার করতে গিয়ে পুলিশের উপর হামলা, গুলি ছুড়ার ঘটনায় থানায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এসল্ট মামলা দায়ের করা হয়েছে।