হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
আজ ৬ ডিসেম্বর, হবিগঞ্জ মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সদস্যরা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধে হবিগঞ্জ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। মুক্ত হয় হবিগঞ্জ জেলা। হবিগঞ্জের অবহেলিত মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্নবাসন ও বধ্যভূমি, গণকবরগুলো সংরক্ষণ, গণহত্যা এলাকার হতাহতদের পরিবারের লোকদের সাহায্য-সহযোগিতা এবং স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের।
১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় তেলিয়াপাড়া ডাকবাংলো থেকে সারাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের ১১টি সেক্টর বিভক্ত করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের উপ-সর্বাধিনায়ক মেজর জেনারেল এম এ রব (বীরোত্তম) ও মেজর জেনারেল এজাজ আহমেদ চৌধুরীর নির্দেশে ভারতের খোয়াই বাঘাই ক্যাম্পের ২২ কোম্পানীর ৩৩ মুক্তি ফৌজ নিয়ে গঠিত ১নং প্লাটুন কমান্ডার আব্দুস শহীদের নেতৃত্বে ৩ ডিসেম্বর হবিগঞ্জের বাহুবলে অবস্থান নেয়। এরপর তারা কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে হবিগঞ্জের বিভিন্ন পাক ক্যাম্পে হামলা চালায়। এ সময় বেশ কয়েকজন পাকসৈন্য প্রাণ হারায়। একটানা ৩ দিনের অভিযানের পর ৬ ডিসেম্বর ভোরে পাক বাহিনী আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। এরপর মুক্তিযোদ্ধারা হবিগঞ্জ সদর থানা কম্পাউন্ডে বাংলাদেশের বিজয় পতাকা উত্তোলন করে সারা শহর প্রদক্ষিণ করে।
এদিকে ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে জেলার ২৭ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। যুদ্ধে আহত হন ৩৭ জন মুক্তিযোদ্ধা। এছাড়া অসংখ্য নিরীহ নর-নারী ও মুক্তিযুদ্ধে হানাদারদের নির্মম নিষ্ঠুরতায় শহীদ হন।