কাজিরবাজার ডেস্ক :
জিয়া অরফানেজ ও চ্যারিটাবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে বকশিবাজারের আলীয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান পরোয়ানা জারি করেন।
এর আগে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা হরতালে নিরাপত্তাজনিত কারণে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আদালতে আসতে পারবেন না জানিয়ে আদালত নির্দেশ দিলে বেলা দুইটার পর হরতাল শেষে আসবেন বলে আদালতকে জানান। কিন্তু বিচারক তা নাকচ করে দিয়ে বলেন, এখন বেলা ১২টা বাজে। এখনো তিনি আসেননি এটা অনভিপ্রেত।
পরে তিনি দুই মামলায় জামিন বাতিল করে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সিপিবি, বাসদ ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সারা দেশে হরতাল পালন করছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বাম দলগুলোর এ হরতালে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে বিএনপির।
এদিন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে খালেদা জিয়ার অসমাপ্ত বক্তব্য দেয়ার দিন ধার্য ছিল।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুদক।
২০১০ সালের ৫ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-আর রশিদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
সাক্ষ্য ও শুনানি শেষে এখন আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য চলছে। মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দিচ্ছেন গত ১৯ অক্টোবর থেকে। ইতিমধ্যে ছয় দিন আদালতে বক্তব্য দিয়েছেন তিনি।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল (ইকোনো কামাল), ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।