ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকে জাল সনদের ভর্তির অভিযোগে কামরাঙ্গি জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ৬জন শিক্ষার্থী বার্ষিক পরীক্ষা দিতে পারেনি। ফলে এদের ভবিষ্যৎ এখন সংশয় ও সন্দেহ দেখা দিয়েছে। অভিভাবক সূত্রে জানা যায়, পরীক্ষা বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন মাদরাসায় লেখাপড়া করত। ২০১৭ সালে প্রথম দিকে অভিভাবকরা এদেরকে জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আবদুল হালিমে কাছে নিয়ে এলে জনপ্রতি ১ হাজার টাকা নিয়ে জাল সনদ সংগ্রহ করে ভর্তির সুযোগ করে দেন। পরে যথারীতি বিদ্যালয়ে শিক্ষা গ্রহণ ও অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে তারা। কিন্তু হঠাৎ করে জাল সনদে ভর্তির অভিযোগে ২৮ নভেম্বর শুরু হওয়া বার্ষিক পরীক্ষায় ৬ জনকে অংশ গ্রহণ করতে দেয়া হয়নি। এরা হচ্ছে, উপজেলার জাউয়া ইউনিয়নের কপলা গ্রামের আরশ আলী পুত্র রফিক মিয়া, আবদুর রহমানের পুত্র নাঈম আহমদ, নলুয়া গ্রামের নুর মিয়ার পুত্র খালেদ আহমদ, কামরাঙ্গিচর গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে ফাহিমা বেগম, আবু মুসার মেয়ে তানজিনা বেগম (৭ম)সহ ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ৬জন। প্রধান শিক্ষক আবদুল কাদির খোকা জানান, জাল সনদে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ায় তাদের বিদ্যালয়ে ভর্তি বাতিল করা হয়েছে। সহকারি শিক্ষক আবদুল হালিম জানান, সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাড়পত্রের মাধ্যমে তাদের ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহকারি ফয়সল আহমদ। ওই ৬জন শিক্ষার্থীর ভর্তি সংক্রান্ত কাগজ দেখতে চাইলে অফিস সহকারি ফয়সল আহমদ জানান আলমিরার চাবি তার বাড়িতে রয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জাল সনদে ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কারা জাল সনদ সরবরাহ করেছে এ বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছেন।