পিন্টু দেবনাথ কমলগঞ্জ থেকে :
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের রামেশ্বরপুর গ্রামে সাবেক ইউপি সদস্যের বাড়ীতে গভীর রাতে পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির চেষ্টা করেছে সংঘবদ্ধ অস্ত্রধারী ডাকাতদল। বাড়ির লোকজন ডাকাতদের ধরতে গিয়ে ডাকাত দলের ধারালো দা ও লোহার রডের হামলায় দুই সহোদরসহ এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। ডাকাতদের আক্রমণে তিন ভাই গুরুতর আহত হয়েছেন। এক ডাকাতকে আটকিয়ে রাখতে পারলেও বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী জেগে উঠলে বাকী ডাকাত সদস্যরা পালিয়ে যায়। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী গণধোলাই দিয়ে এক ডাকাতকে আটক করে পুলিশের নিকট হস্তান্তর করে। পুলিশ ডাকাতের ব্যবহৃত অস্ত্র ও মোবাইল উদ্ধার করেছে। গুরুতর আহত তিনজন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহত ডাকাতকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। গত সোমবার (২৭ নভেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটায় আলীনগর ইউনিয়নের রামেশ্বরপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
ডাকাতদ্বারা আক্রান্তরা জানান, সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে আলীনগর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য রামেশ্বরপুর গ্রামের আব্দুল গনি’র বাড়ীতে একদল ডাকাত প্রবেশ করে পুলিশ পরিচয় দিয়ে দরজা খুলতে বলে। ডাকাতরা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে গনি মিয়ার তিন ছেলের ঘরের দরজার সামনে অবস্থান নেয়। প্রথমে আব্দুল হাই ওরফে সাহিদ (৪৮) দরজা খোলামাত্র কয়েকজন ডাকাত তাকে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে। এতে তিনি বুকে মারাত্মক আঘাত প্রাপ্ত হন। অন্যান্য ডাকাতরা তখন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আব্দুর রব ওরপে শামীম (৫২) ও আব্দুল আজিজ ওরপে ওহিদ (৩৫) এর ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। বাঁধা দিলে ডাকাতদের হামলায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আব্দুর রব শামীমের ডান চোখ ও মাথায় এবং আব্দুল আজিজের বাম পায়ে আঘাত প্রাপ্ত হন। আহতদের চিৎকারে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ছুটে আসতে থাকলে ডাকাতদল পালিয়ে যাওয়ার সময় এক ডাকাতকে আটক করা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে কমলগঞ্জ থানার ওসি মো: বদরুল হাসানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আহত বাড়ির লোকজন হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সাথে সাথে পুলিশি পাহারায় ধৃত আহত ডাকাতকেও মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় ডাকাতের ব্যবহৃত অস্ত্র ও একটি মোবাইল ফোন পুলিশ উদ্ধার করে বলে জানা গেছে। আটক ডাকাতের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
কমলগঞ্জ থানার ওসি মো: বদরুল হাসান ডাকাতির চেষ্টা, এক অব: সেনা সদস্যসহ তার দুই আহত ও একজন ডাকাত আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি আরও বলেন, আগে আহত ডাকাতের চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে। পরে তার নাম পরিচয় জেনে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।