স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর লামাবাজার বিলপারের একটি বাসার বাথরুম থেকে অজ্ঞান অবস্থায় একই পরিবারের নারী পুরষসহ ৭ জনকে উদ্ধার করে প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজনরা ওয়েসিস হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। রবিবার রাত সাড়ে ১১টায় ১৩নং বাসা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
স্বজনদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, বাসার মালিক আব্দুল মতিন চৌধুরী প্রকৃতির ডাকে ঘরের বাথরুমে প্রবেশ করলে আর বের হননি। অধিক বিলম্ব হওয়ায় পরিবারের অন্যজন বাথরুমের দরজা ভেঙ্গে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তিনিও তাৎক্ষণিক অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এভাবে একের পর এক পরিবারের পুরুষ ও মহিলা সদস্যরা বাথরুমে ঢুকেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন। একজন দুইজন করে জ্ঞান হারানোর ঘটনায় অন্যরা সাথে সাথে প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজনকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানান। পরে স্বজনরা তাদের সকলকে উদ্ধার করে নগরীর সোবহানীঘাট এলাকার ওয়েসিস হাসপাতালে ভর্তি করেন। অসুস্থরা হচ্ছেন আব্দুল মতিন চৌধুরী (৭০), সুহেল আহমদ চৌধুরী (৪৫), লুৎফা বেগম (৬০), জুয়েল আহমদ চৌধুরী (২৯), লাহিন আক্তার চৌধুরী (২২), লাকি বেগম (২৫) ও সুজি বেগম চৌধুরী (২৮)। ধারণা করা হচ্ছে কে বা কারা ডাকতি বা চুরির উদ্দেশ্যে বাথরুমের ভেন্টিলেটার দিয়ে চেনানাশক স্প্রে ব্যবহার করে তাদের অজ্ঞান করে। কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ গৌছুল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তিনজনের জ্ঞান ফিরেছে এবং তাদেরকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। এখনও আইসিইউতে রয়েছেন বাসার কর্তা আব্দুল মতিন চৌধুরী, স্ত্রী, ও বড়ছেলে সুহেল আহমদ চৌধুরী।
আব্দুল মতিন চৌধুরীর ভাগ্নে ব্যবসায়ী হাসান আহমেদ জানান, খাবারে কোনো প্রকার বিষক্রিয়ায় কেউ অসুস্থ হননি বলে চিকিৎসকরা আমাদের জানিয়েছেন। যেহেতু তিন তলা ভবনের নীচতলার ফ্ল্যাটে এ ঘটনাটি ঘটেছে, আমরা ধারণা করছি ডাকাতির উদ্দেশ্যে কেউ কোনো ধরণের গ্যাস বা স্প্রে ব্যবহার করে থাকতে পারে।
ঠিক কী কারণে একই পরিবারের ৭ সদস্য মাত্র আধা ঘন্টার ব্যবধানে জ্ঞান হারালেন বিষয়টি জানতে ওয়েসিস হাসপাতাল চিকিৎসক ডা. শিপলুর মোবাইলফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি কল ধরেননি। হাসপাতালের অভ্যর্থনায় কর্তব্যরত মফিজ উদ্দিন জানান, মোবাইল ফোনে কোনো তথ্য দেয়া যাবে না।