কমলগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমসেরনগর সিএনজি-অটোরিক্সা চালকদের স্ট্যান্ডের রটেশনের টাকা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। সিএনজি-অটোরিক্সা চালকদের সংঘর্ষে শরীফপুর থেকে আসা জেএসসি পরীক্ষার্থীরা দুর্ভোগে পড়েন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বুধবার সকাল পৌনে দশটায় শমসেরনগর চৌমুহনাস্থ চাতলাপুর সড়কে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সিএনজি-অটোরিক্সা চালকরা বলেন, স্ট্যান্ডের রটেশনের ১০ টাকা ও ১৫ টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শমসেরনগর চৌমুহনা সিএনজি-অটোরিক্সা চালক সমিতি ও কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুরের তেলিবিল সিএনজি-অটোরিক্সা চালক সমিতির চালকরা কাঠের টুকরো, লাটি ও ইট নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে শরীফপুর তেলিবিল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে আসা জেএসসি পরীক্ষার্থীরা দুর্ভোগে পড়েন। আহতদের বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্র ও হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। এরপরও চাতলাপুর সড়কের দু’পাশে দু’পক্ষের অবস্থান নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ারুল হক, সহকারী পুলিশ সুপার আশফাকুজ্জামান ও কমলগঞ্জ থানার ওসি বদরুল হাসান ঘটনাস্থলে আসলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তেলিবিল সিএনজি-অটোরিক্সা চালক সমিতির সভাপতি সুরুক আলী বলেন, সিএনজি গাড়ি রাখার নির্দিষ্ট স্থান না দিয়েও অন্যায়ভাবে শমসেরনগর সমিতির সদস্যরা ১০ টাকার পরিবর্তে ১৫ টাকা দাবি তোলেছেন। এই অন্যায় দাবি নিয়ে শমশেরনগর চৌমুহনা সতিতির সদস্যদের আক্রমনে সায়েদ আলী, মোহিত মিয়া, কয়সর মিয়া, সফিক আলী, তসলিম মিয়া, মেহের উদ্দীনসহ অন্তত পক্ষে দশ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। শমসেরনগর চৌমুহনা চালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সারফিন মিয়া বলেন, তেলিবিল সমিতির সদস্যরা কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আক্রমন চালিয়ে আমাকে এবং আমাদের সমিতির কাসরুল, হুরমত মিয়া, জামাল মিয়া, শাহিন মিয়া, শামীম মিয়া, সোহেল মিয়া, রায়হান ও বারিক সহ দশ, বারোজনকে আহত করেছে।
সংঘর্ষের পর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসে দু’পক্ষকে আলোচনা করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়। শমসেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সৈয়দ নাসির উদ্দীন বলেন, এরা আমাদের কথা না শুনে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে দু’পক্ষকে শান্ত থেকে চিকিৎসা প্রদান করতে বলা হয়েছে স্থানীয়ভাবে একটি সামাজিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে সমস্যার সমাধান না হলে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।