কমলগঞ্জে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের ভুলের কারণে জেডিসি পরীক্ষা দিতে পারেনি এক শিক্ষার্থী

124

কমলগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে একটি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের ভুলের কারণে বুধবার জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি এক শিক্ষার্থী। এ নিয়ে ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। পরীক্ষা দিতে না পারায় শিক্ষার্থী হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে।
জানা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের মির্জাপুর দাখিল মাদ্রাসার জেডিসি পরীক্ষার্থী ছিল মির্জাপুর গ্রামের মৃত আশিক মিয়ার ছেলে ইমরান উদ্দীন সাকেল। বুধবার শুরু হওয়া জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নিতে গত মঙ্গলবার প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে মাদ্রাসায় যায় সে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তার প্রবেশপত্র আসেনি বলে জানায়। কিন্তু ওই দিনই (মঙ্গলবার) রাতে হঠাৎ মাদ্রাসার সুপারসহ কয়েকজন শিক্ষক ছেলেটির বাড়িতে গিয়ে জানান, সাকেলের প্রবেশপত্র আসেনি। বিষয়টি শুনে হতবাক হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে সাকেল। ইমরান উদ্দীন সাকেলের মা অজিবা বেগম সাবিনা বলেন, পরীক্ষার এক দিন আগে প্রবেশপত্র না আসার কথা শুনে ছেলেটি কিছুই খাচ্ছে না। সারাক্ষণ শুধু কাঁদছে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে সাকেল এবারের জেডিসি পরীক্ষা দিতে পারল না। শিক্ষাজীবন থেতে এক বছর ঝরে গেল তার।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মির্জাপুর দাখিল মাদ্রাসার মাদ্রাসার সুপার মাও: আব্দুল মোহিত হাসানী বিষয়টি দুঃখজনক উল্লেখ করে বলেন, আমাদের মাদ্রাসার রেজিষ্ট্রেশন না থাকায় শমসেরনগর বড়চেগ দাখিল মাদ্রাসা থেকে ইমরান উদ্দীন সাকেলের জেডিসির রেজিষ্ট্রেশন করা হয়ছিল। তিনদিন আগে আমাদের মাদ্রাসার অন্যান্য শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্র আসলেও সাকেলের প্রবেশপত্রটি আসেনি বোর্ড থেকে। কিন্তু কার ভুলের কারণে এটি হয়েছে জানতে চাইলে তিনি (সুপার) বলেন, মানুষ মাত্রইতো ভুল হয়। আমাদেরও ভুল হতে পারে। বিষয়টি নিয়ে আমরাও দু:খিত। এজন্য আমরা মঙ্গলবার শিক্ষার্থীর বাড়িতে গিয়ে সান্ত্বনা দিয়ে আসি। আগামীতে বিনামূল্যে তাকে এই মাদ্রাসায় লেখাপড়ার ব্যবস্থা করব।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, মঙ্গলবার রাতে বিষয়টি আমি জেনেছি। তখনতো কিছু করার ছিল না। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের ভুলের কারণে এটি হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্র না আসার ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।