জগন্নাথপুর থেকে সংবাদদাতা :
জগন্নাথপুরে আবারো আ’লীগ নেতার বাড়িতে প্রতিপক্ষের হামলায় বাড়ি-ঘর ভাংচুরের ঘটনায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে জগন্নাথপুর উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের শ্রীধরপাশা গ্রামের বাসিন্দা আবদুল মালিকের বাড়িতে। এ নিয়ে এলাকায় নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শ্রীধরপাশা গ্রামের আ’লীগ নেতা আবদুল মালিক ও বিএনপি নেতা জাবেদ আলম কোরেশীর লোকজনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে দুই দফা সংঘর্ষের ঘটনায় ১ জন নিহত সহ শতাধিক লোক আহত হন। এর মধ্যে গত ১৬ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসার জমি নিলাম নিয়ে আ’লীগ নেতা আবদুল মালিক পক্ষের যুবলীগ নেতা ফয়সল মিয়া ও বিএনপি নেতা জাবেদ আলম কোরেশীর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের বন্দুকের গুলিতে ফয়সল পক্ষের মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নিহত সহ কমপক্ষে ৭০ জন আহত হন। এ ঘটনায় উভপক্ষের পাল্টাপাল্টি মামলা চলছে। এর মধ্যে কয়েক দিন আগে জাবেদ আলম পক্ষের ১৮ জন আসামি আদালতে জামিন পেয়ে বাড়িতে এসে ফয়সল পক্ষের লোকজনকে বিভিন্ন ভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। এরই জের ধরে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জামিনে মুক্তি পাওয়া জাবেদ আলম কোরেশী পক্ষের আবদুল খালিকের নেতৃত্বে ১৫/২০ জন লোক আ’লীগ নেতা আবদুল মালিকের বাড়িতে হামলা চালায়। এতে বাড়ির ৫টি ঘর আংশিক ভাংচুর করা হয়। তখন হামালাকারীদের ভয়ে বাড়ির লোকজন অন্যত্র পালিয়ে গিয়ে প্রাণ রক্ষা করেন এবং এতে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয় বলে বুধবার সরজমিনে স্থানীয়রা জানান। খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এছাড়া জাবেদ আলম কোরেশী পক্ষের অনেক লোক অতীতে পুলিশ মারার আসামি এবং বর্তমানে একের পর এক সংঘর্ষ, হামলা ও মামলার কারণে শ্রীধরপাশা এলাকা একটি আতংকের জনপদে পরিণত হয়েছে বলে স্থানীয় অনেক নিরপেক্ষ ব্যক্তিরা জানান। যদিও জগন্নাথপুর থানা পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত রাখতে আন্তরিকভাবে কাজ করছে।