পিন্টু দেবনাথ, মৌলভীবাজার থেকে :
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি হচ্ছে কান্নাকাটি ও প্রেসব্রিফিংয়ের দল, কখনো বেগম জিয়া কাঁদে, কখনো ফখরুল কাঁদে। বাংলাদেশ নালিশ পার্টি বিএনপি ঐ প্রেসব্রিফিং করে করে নালিশ করাই হল এই দলের রাজনীতি। খালেদা জিয়া কোর্টে গিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে যেয়ে তিনি অসভ্য ভাষায়, অশ্রাব্য ভাষায় আক্রমণ করেছেন বাংলাদেশের জননন্দিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। তা তিনি রাস্তার ভাষায় কথা বলছেন। হাড়ানো ক্ষমতা ফিরে পেতে ঐযে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা বিএনপি আবারো চক্রান্তের জাল ছড়িয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে পানি ঘুলা করে আন্দোলনের নামে ক্ষমতায় আসতে চেষ্টা করছে। আজকে বেগম খালেদা জিয়া আড়াই মাস কোন খবর নেই, আজকে হঠাৎ করে এসে তিনি রোহিঙ্গাদের ত্রাণ সাহায্য দেয়ার নাম করে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছেন। তিনি তিনদিন সফরে যাচ্ছেন, ঢাকা থেকে চিটাগাং চিটাগাং থেকে কক্সবাজার। সড়ক পথে, এ চার লেন এ রাস্তায় কোনদিন তারা একটু মাটিও ফেলতে পারেননি। চার লেন শেখ হাসিনা সরকার করেছে উল্লেখ করে ওবায়েদুল কাদের বলেন, ইনশাআল্লাহ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কেও চারলেন রাস্তার কাজ অচিরেই শুরু হবে। শেখ হাসিনা যা বলে তা করেন। বেগম জিয়া ত্রাণ দিতে যাবেন, আজকে ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইট আছে, তিনি বিমানে করে গিয়ে সেখানে ত্রান দিতে পারেন, কিন্তু আজকে তিনি কি প্লান করেছেন দেখুন, আজকে তিনি যাবেন সড়ক পথে চট্রগ্রাম, এর উদ্দেশ্য কি ত্রান? উদ্দেশ্য কি মানবিক? উদ্দেশ্য রাজনৈতিক আর উপলক্ষ হচ্ছে মানবিক। দেড়শো গাড়ি নিয়ে তিনদিন রাস্তায় তিনি থাকবেন, তিনদিনই এই গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক অচল হয়ে যাবে। রোহিঙ্গাদের ঢাল করে রাস্তায় বিশৃঙ্খলা করবেন তিনি। তিনি বলেন, আড়াইমাস খালেদা জিয়ার কোনো খবর নেই। হঠাৎ করে এসে তিনি রোহিঙ্গাদের ত্রাণ-সাহায্য দেওয়ার নাম করে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছেন। তার যদি রোহিঙ্গাদের প্রতি দরদ থাকতো তবে এতো গাড়ির যে তেল খরচ হবে সেই টাকাটা তিনি রোহিঙ্গাদের জন্য সাহায্য দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি সেটা করেননি।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ১১টায় ঢাকা থেকে হেলিকাপ্টারে করে জেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে মৌলভীবাজারে আসেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এরপর আধাঘণ্টা সার্কিট হাউসে অবস্থান করে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সম্মেলনস্থলে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেন তিনি।
জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক চীফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ এমপি’র সভাপতিত্বে ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নেছার আহমেদের পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সদস্য বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সদস্য অধ্যাপক মো: রফিকুর রহমান, জাতীয় সংসদের হুইপ শাহাব উদ্দিন, মৌলভীবাজার ৩ আসনের সাংসদ সৈয়দা সায়রা মহসীন, মৌলভীবাজার ২ আসনের সাংসদ আব্দুল মতিন, মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান।
সম্মেলনে উপস্থিত হাজারো নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে দীর্ঘ আধা ঘন্টার উদ্বোধনী বক্তব্যে ওবায়দুর রহমান আরো বলেন, আজ এই মৌলভীবাজারের উপজেলা উপজেলায় ইউনিয়নে ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগের প্রতাকা, আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা পূর্বসূরীদের স্মৃতি স্বরণ করে এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের মহাসড়কে, দুর্বার গতিতে। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে আওয়ামীলীগকে বাঁচাতে হবে, বাংলাদেশেরে মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচাতে হলে আওয়ামীলীগকে বাঁচাতে হবে, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে আওয়ামীলীগকে বাঁচাতে হবে, বাংলাদেশের উন্নয়ন আজ বিশ্বের বিশ্বয়। এ উন্নয়নকে, অর্জনকে বাঁচাতে হলে আওয়ামীলীগকে বাঁচাতে হবে। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আবারো বিজয়ী করতে হবে। আমরা মরণের মিছিলে দাঁড়িয়ে জীবনের জয়গান গাই, আমরা আওয়ামীলীগ। আমরা আগুনে পুরা ফিনিক্স পাখির মত ভষ¦ থেকে নতুন পাখি জন্ম নেই , নতুন এক মুজিবের রক্ত থেকে নতুন লক্ষ লক্ষ মুজিব জন্ম নেই, আমরা আওয়ামীলীগ, আমরা উত্তাল সাগরে অমানিশার অন্ধকারে বিপন্ন মানবতার বাতিঘর শেখ হাসিনার আওয়ামীলীগ। আমরা আলো হাতে আঁধারের যাত্রী। প্রিয় ভাই এবং বোনেরা আজ আমাদের এখনো দঃসময় এখনো সংকট আছে। আজকে উন্নয়নের মহাসড়কের শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাড়া দুনিয়ায় বাংলাদেশ আজকে বিশ্বের বিশ্বয়। এ উন্নয়ন অর্জনের বিরুদ্ধে আবারো চক্রান্ত চলছে, ষড়যন্ত্র চলছে। চক্রান্তের গলিপথ দিয়ে অনেকেই ক্ষতায় আসতে চাইছে।