ওসমানীনগগরে লাল মিয়া ও তার পুত্রদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে একটি গ্রাম। একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে এই পরিবার এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার উসমানপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড ইছামতি গ্রামবাসী এ অভিযোগ করেছেন। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এলাকার মুরব্বি মুহিবুর রহমান দুদু মিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ইছামতি গ্রামের মৃত ছিফত উল্লাহর পুত্র লাল মিয়া এবং লাল মিয়ার পুত্র মনজুর আহমদ, নুরুল আহমদ, রাজু আহমদ ও নজরুল আহমদের বিরুদ্ধে ওসমানীনগর থানাসহ বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, ছিনতাই, চুরি ও সরকারি ভূমিদখলসহ বিভিন্ন অভিযোগে ডজনখানেক মামলা রয়েছে। এদের রয়েছে অস্ত্রের বিশাল ভান্ডার। কোনো জায়গায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলে এরা ভাড়ায় অস্ত্র সরবরাহ করে। গ্রামে অসংখ্য প্রবাসী থাকলেও লাল মিয়ার পরিবারের কারণে এরা দেশবিমুখ হয়ে পড়েছে। কেউ একান্ত প্রয়োজনে দেশে আসলে শহরে ভাড়াটিয়া বাসায় কিছুদিন থেকে চলে যান। এরা এলাকার মুরব্বিয়ান এবং সালিশ বৈঠক কিছুই পরোয়া করে না। লাল মিয়ার পুত্র মনজুর আহমদ, নজরুল ও নুরুল আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সদস্য বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় অস্ত্রসহ ডাকাতির ঘটনায় সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। লাল মিয়ার বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় এলাকার মুক্তিকামী বেশ কিছু মানুষকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। রাজাকার হিসেবে তার পরিচিতি রয়েছে। তদন্ত করলে বিষয়টির সত্যতা পাওয়া যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে ইছামতি গ্রামবাসী শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে লাল মিয়া ও তার পুত্রদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এ ব্যাপারে গ্রামবাসী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ডিআইজি, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে গ্রামবাসীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এলাকার মুরব্বি ফিরোজ খান, মেহের উল্লাহ, নুনু মিয়া, আছাব মিয়া, আং তানি, মানিক মিয়া, মসিক মিয়া, আশিক মিয়া, সিরাজ খান, বেলাল আহমদ, মজনু মিয়া, আব্দুল কাইয়ূম, আব্দুল মনাফ, আব্দুল মতিন, সুলতান খান, ফেরদৌস মিয়া, আশরাফ খান, ফখরুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ মিছবাহ, সানাজ আহমদ, মুক্তার আহমদ বকুল, মতছির খান, সাইস্তা মিয়া মেম্বার, ছাদ উল্লাহ, ইসমাইল আলী, পঙ্কী মিয়া মেম্বার প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি