ছকড়া নকড়া

42

এম এ সালাম

বধূ সেজে এসেছি সোয়ামীর বাড়ী-
পিত্রালয়ের আসন ছেড়ে,
বধূ হিসেবে সম্মানের সাথে
নেওনা তুলে মোরে ঘরে।

তোমার স্বজনে ছকড়া নকড়া
কেন করে একটু বল?
তিমির রাতের উজ্জ্বল আলোয়
কষ্ট বাড়াবে কিনা বল?.

চীনাংশুক কি খারাপ লেগেছে-
ঝল মল রঙিন আলোতে,
পেটের দায়ে বিদায় করেছে
বাবায় তোমার ঘরে।

শুরুতেই যদি ছকড়া নকড়া-
কেন করে মোরে চুকলি?
বিষধর হয়ে ফনা তুলে তোরা
মনের মাঝে কেন ঢুকলি?

চপ্পল দেখেই নিন্দার ঝড়-
বহাইলি বাতাসের আগে,
চুমকি পড়া রেশমি শাড়ীতে
কত কি যেন ভাবে?

আদমীরা সুন্দরীর সুন্দরের-
কত যে বাহাবা করে,
অন্তরের মাঝে না ঢুকিয়াই
কত বাজে মন্তব্য করে।

অন্তঃকরণ সুউচ্চ কর নারে-
কর যদি মানুষের মাঝে বাস,
শ্বাস প্রশ্বাস হতে বের হবেরে
একটুখানি স্বস্তির নিঃশ্বাস।

সোয়ামীর আদরেই আসে যদি-
ছকড়া নকড়ার বাস,
সেই গৃহে দাম্পত্য জীবনে
আসবেনি সুখের নিবাস।