হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
নবীগঞ্জ উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নে ৮১টি ও পৌরসভায় ৭টি মিলে ৮৮টি পূজা মন্ডপে হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজার প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি পূজা মন্ডপে প্রতিমা তৈরীর কাজও প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। এখন চলছে মন্ডপ সাজসজ্জার কাজ। শারদীয় এ পূজাকে কেন্দ্র করে হিন্দু ধর্মাবলম্বী সকল পূজারী ও ভক্তবৃন্দের মাঝে বিপুল আনন্দ ও উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। আনন্দ ও উৎসাহ উদ্দীপনা ঘাটতি নেই বিভিন্ন সংগঠন ও সামাজিক লোকজনের মাঝেও। প্রতিমা কারিগরগণ দিনরাত কাজ করে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। পূজা শুরুর আগেই শেষ করতে হবে তাদের কাজ। এখন চলছে মূর্তির রং তুলির আঁচড়ের তাদের শেষ প্রস্তুতি। শাস্ত্রমতে জানা যায়, এ বছর দেবী নৌকায় আগমন এবং ঘোটকে গমন করবেন। এ বছর নবীগঞ্জ ১৩টি ইউনিয়নে ৮১টি এবং পৌরসভায় ৭টি মন্ডপে সাড়ম্বরে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেক পূজা মন্ডপের স্বেচ্ছাসেবকদের পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নবীগঞ্জ উপজেলা কমিটির সভাপতি নিখিল আচার্য্য বলেন, আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য পুলিশ প্রশাসনসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সহযোগিতা কামনা করি। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক উত্তম কুমার পাল হিমেল বলেন, নবীগঞ্জ উপজেলার ৮৮ টি পূজা মন্ডপে সর্ববৃহৎ উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা সাড়ম্বরে পালনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কিছু ঝুঁকিপূর্ণ মন্ডপসহ সবকটি মন্ডপেই ইতিমধ্যে প্রশাসনিক ব্যবস্থা জোরদারের প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। দুর্গাপূজা সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য প্রশাসনসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সহযোগিতা কামনা করি। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে নবীগঞ্জের সকল পূজা মন্ডগুলোতে ৫ দিন ব্যাপী শারদীয় দুর্গা পূজা শুরু হবে। এ পূজাকে কেন্দ্র করে সারাদেশের ন্যায় নবীগঞ্জের সকল পূজারী ও ভক্তবৃন্দের মাঝে সর্বত্র যেন উৎসবের আমেজ বিরাজ করেছে।