হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের ঢাকা-সিলেট মহা সড়কের সাথে সংযুক্ত বেশ কয়েকটি গ্রামের একমাত্র রাস্তা সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া রোড বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থী সহ দেওতৈল, দরবেশপুর দাউদপুর, রঘু দাউদপুর বোয়ালজুরা, কারখানা, বহরমপুর গ্রামসহ ওই অঞ্চলের হাজার হাজার সাধারণ মানুষকে। রাস্তায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় সিএনজি, রিক্সা, কিবরিয়া রোড দিয়ে আসতে চায় না। এতে করে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। অভিযোগ রয়েছে কয়েক বছর পূর্বে উক্ত সড়ক সংস্কারের কাজে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে প্রায় ৩৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সংস্কার কাজ সম্পন্ন হলেও নিম্নমানের মালামাল ব্যবহার করায় কিছুদিন যেতে না যেতেই সড়কের অনেক স্থানে বড় বড় গর্তে সৃষ্টি হয়ে গত ৩ বছর ধরে ভাঙ্গাচুরা রাস্তা দিয়ে এলাকাবাসীকে এই সড়ক দিয়ে চরাচল করতে হয়। এতে প্রায় সময় রাস্তার সাধারণ পথচারীদের দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এই সড়কের বেহাল দশার দেখার যেন কেউ নেই ? এর মধ্যে অল্প বৃষ্টি হলেই পানি জমে গর্ত গুলোতে কাদা, নর্দমা একাকার হয়ে সড়কটি যেন পুকুরে পরিণত হয়। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ৫নং আউশকান্দি ইউনিয়নের দেওতৈল ও দীঘলবাক ইউনিয়নের দরবেশপুর দাউদপুর, বোয়ালজুরা, কারখানা, বহরমপুর গ্রামের হাজার হাজার মানুষ আউশকান্দি হিরাগঞ্জ বাজারের এবং নবীগঞ্জ উপজেলা যেতে হলে গ্রাম থেকে বের হয়ে আসার এটাই একমাত্র রাস্তা। বড় বড় গর্ত হয়ে যানবাহন চলাচলে মারাত্মক অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে সেই সাথে বিপাকে পড়েছেন স্কুল কলেজে পড়–য়া শিক্ষার্থীরা ও। সড়কটিতে বড় বড় গর্তের কারণে দুর্ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে অনেক প্রাণহানীসহ নানা সমস্যায় পরতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদেরকে। এছাড়া সড়কে দ্রুতগামী যানবাহনগুলো সড়কের ভাঙ্গার একমাত্র কারণ বড় গর্তরে জন্য ওই সড়কে যানচলাচল আগের তুলনায় অনেকটা কমে গেছে বলে জানান স্থানীয় লোকজন। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি, চরম সংকটময় সময় খাটাচ্ছে আউশকান্দি র,প, উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের হাজার হাজার শিক্ষার্থীরা। একজন কলেজ ছাত্র জানান, আমাদের চলাচলের এই সড়কের এমন অবস্থা হয়েছে যেখানে কলেজে যেতে ১০ থেকে ১৫ মিনিটে লাগতো সেখানে এখন প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ মিনিটের ও বেশি সময় লাগে। সড়কের দশা বেহাল হওয়ায় আগের মতো গাড়ী পাওয়া যায় না তাই অপেক্ষা করে সময় নষ্ট না করে আমরা পায়ে হেঁটেই কলেজ যাই। হেঁটে গিয়ে অনেকটা ক্লান্ত হয়ে যাই। যার কারণে ক্লাসে তেমন মনযোগ থাকে না। বিশেষ করে চরম বিপাকে পড়তে হয় পরীক্ষার সময়। কারণ পরীক্ষার নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়া যায় না। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী সৈয়দুর রহমানের সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলে তিনি তেমন কর্ণপাত করেননি। অবশেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের বরাদ্দ পেলেই দ্রুতগতিতে এই রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু হবে ডিসেম্বর এর ভিতরেই।