দক্ষিণ সুরমা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে ১৪ বছরের এক মেয়ে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। গত সোমবার বিকাল ৩টায় বিয়ের অনুষ্ঠানে দক্ষিণ সুরমার শাহী মনু কমিউনিটি সেন্টারে অভিযান চালিয়ে এই বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাহেদ মোস্তফা সহ দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মহিলা বিষয়ক অফিসার শাহিনা আক্তার, দক্ষিণ সুরমা ৩ নম্বর তেতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. উছমান আলী। স্থানীয়রা জানান, সোমবার দুপুরে অলংকার ইউনিয়নের চুনখানীগাঁওভূরণ এলাকার মো. ইছহাক আলীর মেয়ে মোছা. খাদিজা বেগম (১৫) এর সঙ্গে বিশ্বনাথ থানার আলমনগর গ্রামের মৃত মখন মিয়ার ছেলে মো. আলী (২৬) এর বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। এ সময় দক্ষিণ সুরমা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাহেদ মোস্তফা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দক্ষিণ সুরমা থানার এসআই রমাকান্ত দাস এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ সদস্যদের নিয়ে অভিযান চালিয়ে এই বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেন। এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাহেদ মোস্তফা জানান, কনের পিতা ও বরের অভিবাবক ও কাজীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। দক্ষিণ সুরমা থানার এসআই রমাকান্ত দাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বাল্য বিয়ের জন্য মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এ সময় অলংকার ইউনিয়নের মেম্বার ও বিশ্বনাথ থানার আলমনগর গ্রামের মেম্বার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি