হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
বাহুবল থানা বিএনপি সভাপতি আলহাজ্ব আকাদ্দছ মিয়া বাবুলকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সম্পা জাহান-এর আদালত। বুধবার সকালে তিনি সহ ৪ জন জমি সংক্রান্ত একটি প্রতারণা মামলায় হাজিরা দিতে গেলে আদালত জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। মামলার অন্য আসামীরা হলেন মিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান, পশ্চিম জয়পুর গ্রামের তহশিলদার আবিদ আলী ও উপজেলার মামদনগর গ্রামের সৈয়দ আব্দুল সালামের পুত্র সৈয়দ জিসান। সংশ্লিষ্টরা জানান, কয়েক বছরপূর্বে উপজেলার মিরপুর বাজারের অদূরে তিতারকোণা পেট্টল পাম্পের কাছে মামদনগর গ্রামের সৈয়দ আব্দুল ছালামের পুত্র সৈয়দ জিসান কিছু জমি বিক্রি করলে থানা বিএনপি সভাপতি আলহাজ্ব আকাদ্দছ মিয়া বাবুল, মিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান ও পশ্চিম জয়পুর গ্রামের তহশিলদার আবিদ আলী ক্রয় করেন। পরে তারা জমিটি নিজ নামে রেকর্ড সংশোধন-পূর্বক দেলোয়ার হোসেন দুলাল ও সামছু মিয়ার নিকট বিক্রি করেন। সম্প্রতি সৈয়দ জিসান-এর চাচাত ভাই মামদনগর গ্রামের মৃত ছাত্তার মিয়া চৌধুরী পুত্র আজিদ চৌধুরী উল্লে¬খিত জমির ক্রেতা ও বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। থানা বিএনপি সভাপতি আলহাজ্ব আকাদ্দছ মিয়া বাবুল-এর পুত্র ফয়সল আহমেদ রাজু জানান, আমার পিতাসহ অন্যান্যরা প্রচলিত আইন মেনেই জমিটি ক্রয় করে পরবর্তীতে বিক্রি করে দিয়েছেন। এখানে প্রতারণার কোন বিষয় ছিল না। একটি মহল রাজনৈতিক ভাবে হয়রানীর উদ্দেশ্যে বর্ষিয়ান এ রাজনৈতিকসহ সামাজিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত অন্যান্যদের আসামী করে মামলাটি দায়ের করিয়েছে। এ মামলায় আদালত জামিন নামঞ্জুর করে আমার পিতাসহ অন্যান্যদের জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন। অবিলম্বে আমার পিতাসহ অন্যান্যদের মুক্তি দাবি করছি।