কাজিরবাজার ডেস্ক :
আজ মঙ্গলবার শোকাবহ ১৫ আগষ্ট, জাতীয় শোক দিবস। স্বাধীনতার স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদত বার্ষিকী। ১৯৭৫ সালের শোকাবহ এইদিনে সূর্য খুব ভোরে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকান্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবি ও সুকান্ত, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবনেতা ও সাংবাদিক মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দু’কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। জাতীয় শোক দিবসকে সামনে রেখে আগস্ট মাসের প্রথম দিন থেকেই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। সরকারিভাবে পালিত হচ্ছে দিবসটির বিভিন্ন কর্মসূচি। দিবসটিকে ইতোমধ্যেই সরকারি ছুটি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
সরকারি কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ১৫ আগষ্ট সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনসহ বিদেশে বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে এবং আলোচনাসভার আয়োজন করা হবে। সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পুুষ্পার্ঘ্য অর্পণ এবং সশস্ত্র বাহিনী গার্ড অব অনার প্রদান করবে। এছাড়া ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার বনানী কবরস্থানে জাতির পিতার পরিবারের শাহাদত বরণকারী সদস্য ও অন্যান্য শহীদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ এবং দোয়া করবেন।
গোপালগঞ্জ জেলার টুংগীপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এছাড়া সেখানে ফাতেহা পাঠ, সশস্ত্র বাহিনীর গার্ড অব অনার প্রদান এবং মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি সমাধিস্থলে বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগ, অধিদপ্তর ও সংস্থা জাতীয় কর্মসূচির সাথে সামঞ্জস্য রেখে স্ব স্ব কর্মসূচি পালন করবে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর গোটা বিশ্বে নেমে আসে তীব্র শোকের ছায়া এবং ছড়িয়ে পড়ে হত্যাকারীদের প্রতি ঘৃণার বিষবাষ্প। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর নোবেল জয়ী পশ্চিম জার্মানীর নেতা উইলি ব্রানডিট বলেন, মুজিবকে হত্যার পর বাঙালিদের আর বিশ্বাস করা যায় না। যে বাঙালি শেখ মুজিবকে হত্যা করতে পারে তারা যেকোন জঘন্য কাজ করতে পারে।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক ও বিশিষ্ট সাহিত্যিক নীরদশ্রী চৌধুরী বাঙালিদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেছেন, বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ মুজিবকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি বিশ্বের মানুষের কাছে নিজেদের আত্মঘাতী চরিত্রই তুলে ধরেছে। দ্য টাইমস অব লন্ডন এর ১৯৭৫ সালের ১৬ আগস্ট সংখ্যায় বলা হয় ‘সবকিছু সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুকে সবসময় স্মরণ করা হবে। কারণ, তাঁকে ছাড়া বাংলাদেশের বাস্তব কোন অস্তিত্ব নেই।’ একই দিন লন্ডন থেকে প্রকাশিত ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় বলা হয়, ‘বাংলাদেশের লাখ লাখ লোক শেখ মুজিবের জঘন্য হত্যাকান্ডকে অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচনা করবে।’
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোস্তাক আহমেদ বিচারের হাত থেকে খুনীদের রক্ষা করতে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করেন। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান ১৯৭৯ সালে ওই ইনডেমনিটিকে আইন হিসেবে অনুমোদন করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সুদীর্ঘ একুশ বছর পর ক্ষমতায় এসে ১৯৯৬ সালের ১৪ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার তিন প্রধান আসামী লে. কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী তাহের উদ্দিন ঠাকুরকে গ্রেফতার করে।
একই বছরের ২ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহকারি (পিএ) এ এফ এম মোহিতুল ইসলাম ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নারকীয় হত্যাকান্ডের ঘটনায় থানায় একটি এফআইআর দায়ের করেন। ১৯৯৬ সালের ১৪ নভেম্বর খুনীদের বিচারের হাতে ন্যস্ত করতে পার্লামেন্টে ইনডেমনিটি আইন বাতিল করা হয়। ১৯৯৭ সালের ১৫ জানুয়ারি সিআইডি এই মামলায় ২০ জনকে অভিযুক্ত করে মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে চার্জশীট দাখিল করে এবং একই বছরের ১২ মার্চ ছয় আসামীর উপস্থিতিতে আদালতে বিচার শুরু হয়।
১৯৯৭ সালের ১৯ জুন পর্যন্ত বিচারক বিব্রত হওয়াসহ স্বাধীনতা-বিরোধী চক্রের নানা বাধার কারণে আটবার বিচার কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। এভাবে দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর মামলার রায়ে বিচারক কাজী গোলাম রসুল ১৫ জন সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন। অন্যদিকে ২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চ ২৪ দিনের শুনানি শেষে বিভক্ত রায় প্রদান করে। বিচারক এম রুহুল আমিন অভিযুক্ত ১৫ আসামীর মধ্যে ১০ জনের মৃত্যুদন্ডাদেশ বজায় রাখেন। কিন্তু অপর বিচারক এ বি এম খায়রুল হক অভিযুক্ত ১৫ জনকেই সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন।
২০০১ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি বিভক্ত রায় প্রদানের ফলে মামলাটি ডেথ রেফারেন্সে ও আপিল শুনানি দ্বিতীয় বেঞ্চের তৃতীয় বিচারকের কাছে স্থানাস্তরের প্রয়োজন দেখা দেয়ায় এর শুনানি উচ্চ আদালতের আরেকটি বেঞ্চে শুরু হয়। একই বছরের ৩০ এপ্রিল তৃতীয় বিচারক মোহাম্মদ ফজলুল করিম ২৫ দিন শুনানির পর অভিযুক্ত ১২ জনের মৃত্যুদন্ডাদেশ নিশ্চিত করেন।
পরবর্তীতে ২০০১ সালের অক্টোবরের সংসদ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এলে বিচার কাজ বন্ধ থাকে। দীর্ঘ ছয় বছর পর ২০০৭ সালের ২৩ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষের মুখ্য আইনজীবী বর্তমান সরকারের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সুুপ্রিম কোর্টে সংক্ষিপ্ত বিবৃতি প্রদান করেন এবং ২৩ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ ২৭ দিনের শুনানি শেষে ৫ আসামীকে নিয়মিত আপিল করার অনুমতিদানের লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন।
২০০৯ সালের ১২ নভেম্বর- ২৯ দিনের শুনানির পর চূড়ান্ত আপিল শুনানি শেষ হয় এবং আদালত ১৯ নভেম্বর রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেন। ওইদিন (১৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রেখে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামীর দায়ের করা আপিল আবেদন খারিজ করা হয়। ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে আসামীদের রিভিউ খারিজ হয়ে গেলে ২৮ জানুয়ারি ৫ আসামীর ফাঁসির রায় কার্যকর করে জাতিকে দায়মুক্ত করা হয়।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সারাদেশে মসজিদসমূহে বাদ জোহর বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সুবিধাজনক সময়ে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বেসরকারি টেলিভিশন ও রেডিও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। জাতীয় দৈনিক ও সাময়িকীতে ক্রোড়পত্র প্রকাশ, পোস্টার মুদ্রণ ও বিতরণ এবং বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গ্রোথ সেন্টারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জাতীয় শোক দিবসের পোস্টার স্থাপিত হবে। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিশু একাডেমি এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক বক্তৃতার আয়োজন করবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবসে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় কর্মসূচির সাথে সংগতি রেখে এসব কর্মসূচি পালিত হবে।
আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বঙ্গবন্ধু ভবন এবং কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সংগঠনের সকল স্তরের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন। সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্মৃতি-বিজড়িত ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ। সকাল ৭টা ৩০মিনিটে বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, মাজার জিয়ারত, ফাতেহা পাঠ, মোনাজাত ও মিলাদ মাহফিল। সকাল ১০টায় টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। এতে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের পক্ষে জাতীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
দিনের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বাদ জোহর দেশের সকল মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এবং সুবিধামতো সময়ে মন্দির, প্যাগোডা, গির্জা, উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা। দুপুরে অসচ্ছল, এতিম ও দুস্থদের মাঝে খাদ্য বিতরণ। বাদ আছর বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া দিবসটি পালন উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে জাসদ, সিপিবি, জেপি, গণফোরাম, ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়, জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ অন্যান্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক সংগঠন।
এদিকে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগ এবং এর অঙ্গ সহযোগী নানা কর্মসূচি গ্রহণ ও পালন করেছে।
সিলেট জেলা আওয়ামীলীগ : ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী সোমবার সিলেট রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক আরমান আহমদ শিপলুর সভাপতিত্বে ও উপ-প্রচার সম্পাদক মোস্তাক আহমদের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য ও সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট মোঃ লুৎফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট নিজাম উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক সাইফুল আলম রুহেল, শিক্ষা সম্পাদক কবির উদ্দিন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক এমাদ উদ্দিন মানিক,
সিলট মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মুশফিক জায়গীরদার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আফছর আজিজ, সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন কয়েছ, যুগ্ম সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া মাসুক, এমদাদ রহমান, কবির উদ্দিন আহমদ, সাজ্জাদুর, মোস্তফা উল্লাহ, সাইফুদ্দিন সাবের, যুবনেতা শেখ আবুল হাসনাত বুলবুল, মহানগর ছাত্রলীগ নেতা রাজেশ সরকার, জেলা ছাত্রলীগের ধর্ম সম্পাদক মাহমুদুল করিম নেওয়াজ, মহানগর ছাত্রলীগ নেতা ময়নুল ইসলাম রনি, শাহ আলম বাসিত, মাহবুব হোসেন, ইফতেখার হোসেন রায়হান, রবিউল আলম রাজ্জাক, কামরুজ্জামান সাগর, শামসুল ইসলাম ফুজেল, হাবিবুর রহমান সুহান, আসিফ আজহার শিপু, তাঁতী লীগ কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক কালাম আহমদ, কবির আহমদ জনি, শামীম লতিফ, মঞ্জু আহমদ, সাইফুল ইসলাম, শামীম আহমদ, মহরম আলী, শফিক আহমদ প্রমুখ।
সিলেট সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা : জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে গত ১২ আগষ্ট উপজেলার নোয়াগাও গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড সিলেট জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন আহমদের বাড়ীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মরহুম মুক্তিযোদ্ধাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল শিরনী বিতরনের আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মির্জা জামাল পাশা, সদর উপজেলা কমান্ডের কমান্ডার মোঃ ইরশাদ আলী, সাবেক কমান্ডার মোঃ ওয়াছিব উল্লাহ, মতছির আলী, আরফান আলী, মছদ্দর আলী, ইউসুফ নুর, নুর মিয়া, আব্দুল কাদির, আতাউর রহমান, হানিফ আলী, আব্দুর রুপ, আমির আলী, বারেন্দ্র কুমার সূত্র ধর, মানিক লাল দে, মকরম আলী, আব্দুল হক, কলমদর আলী, আব্দুর রুপ, আব্দুল করিম, জয়নাল, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড সিলেট জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন আহমদ, কাওছার আহমদ। দোয়া পরিচালনা করেন মোঃ আবুল হোসেন।
মহানগর ছাত্রলীগ : হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার হযরত শাহজালাল (রহ.) দরগা মসজিদে মিলাদ শেষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যারা শহীদ হয়েছেন রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল বাছিত রুম্মান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম তুষার, কেন্দ্রীয় সদস্য শাহ আলম শাওন, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবা আজাদ।
এ সময় সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিট ও কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সদর উপজেলা ছাত্রলীগ : ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের কালারুকা কুরিরগাও বাজারে মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। ছাত্রলীগ নেতা জাহেদ আহমদের সভাপতিত্বে ও মিফতাহুল হুসেন লিমন এবং আল আমিনের যৌথ পরিচালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক উপ সম্পাদক শহিদ আকিব অপু। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন ১৫ আগষ্ট বিশ্ব ইতিহাসের একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়, এই দিনে জাতি হারিয়েছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারবর্গকে। বাঙালি জাতি আজ শোকে ম্রিয়মান। আমরা ছাত্রলীগের নেতা কর্মী এই শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা বিনির্মাণে দেশ রতœ শেখ হাসিনার হাত ধরে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ এবং ছাত্রলীগ আয়োজিত সকাল ১০ টায় তেমুখীস্থ শরীফ কনিউনিটি সেন্টারে দিন ব্যাপী আয়োজনে সকলকে উপস্থিত থেকে শোক দিবসের আলোচনা সভা দোয়া মাহফিল ও শিরনী বিতরন সফল করার আহবান জানান।
সভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর সাবেক সিনিয়র সদস্য আফসর রহিম, রাসেল আহমদ, সপেন্দ্র মজুম দার, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা লোকমান মিয়া, মাসুম, সুমন, সাব্বির আহমদ। উপস্থিত ছিলেন ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ বুরহান উদ্দিন, ইলিয়াস মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাছির মিয়া, ইউ/পি সদস্য মন্তকা আহমদ, যুবলীগ নেতা আজিম আহমদ, সুজন মিয়া, আহমদ জাহান সোহান, আলিম উজ্জামান, সাকিল, বাবুল হোসেন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, কয়েস আহমদ, তুহিন, রুবেল আহমদ, সিরাজুল ইসলাম, সাব্বির আহমদ, শাহ খুররম ডিগ্রী কলেজ সভাপতি সাদিকুর রহমান, জাকির, মারজান, রুহেল আহমদ, সৌরভ দাস প্রমুখ।
১৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ : ইতিহাসের মহানায়ক, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠতম বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদাত বার্ষিকী ও ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সিলেট মহানগর ১৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের উদ্যোগে গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় স্থানীয় কমিউনিটি সেন্টারে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল মুমিত চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খান মাসুমের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কাউন্সিলর শাহানারা বেগম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ১৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ সিরাজ, মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি রত্মা বেগম, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ডা. পরেশ চন্দ্র দেবনাথ, সাজুয়ান আহমদ, চন্দন পুরকায়স্থ, রফিকুল হোসেন, এএইচ সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, দপ্তর সম্পাদক আক্তার চৌধুরী রুবেল, সহ দপ্তর সম্পাদক আবু উবায়েদ রাসেল, প্রচার সম্পাদক আশফাক হোসেন রুহেল। অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল কাইয়ূম শেখ, মো. মিলাদ নুর, মো. সুয়েব আহমদ, আব্দুর রকিব রকি, ফরিদ মিয়া, আব্দুর রহিম, ওয়ার্ড শ্রমিকলীগের সভাপতি হরিলাল দাস প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন আব্দুর রকিব রকি।
সভায় শোক দিবস উপলক্ষে ১৫ আগষ্ট মঙ্গলবার সকালে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, বাদ যোহর কুমারপাড়া জামে মসজিদ, বাদ আছর ঝর্ণারপাড় সুনাতোলা জামে মসজিদ, বাদ মাগরিব আগপাড়া জামে মসজিদ দোয়া মাহফিল ও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রামকৃষ্ণ মিশনে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। কর্মসূচীগুলোতে ওয়ার্ডের সকল নেতৃবৃন্দের উপস্থিত থাকার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ রইল।
মহানগর আওয়ামী লীগ : হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচী নিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সিলেট মহানগর শাখা।
১৫ আগষ্ট মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচী শুরু হবে। এরপর বেলা সাড়ে ১২টায় ১৫ আগস্টে শহীদদের স্মরণে এক দোয়া মাহফিল নগরীর ধোপাদীঘির পারস্থ হাফিজ কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হবে।
উক্ত কর্মসূচীতে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সকল নেতৃবৃন্দকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান এবং সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ।
সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি : স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদাত বার্ষিকী উদযাপন ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মঙ্গলবার ১৫ আগষ্ট সকাল ৮টায় কালো ব্যাজ ধারণ, সাড়ে ৮টায় কালো পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করণ, সকাল ৯টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ, সাড়ে ৯টায় বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন এবং সকাল ১০টায় আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল।
উক্ত কর্মসূচিতে যথা সময়ে উপস্থিত থাকার জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রশাসন ও জনসংযোগ পরিচালক তারেক উদ্দিন তাজ।