স্টাফ রিপোর্টার :
পরিচয় গোপন রেখে পাসপোর্ট তৈরি করতে এসে মায়ানমারের আরাকান রাজ্যের ২ রোহিঙ্গা তরুণীকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া এদের সহযোগিতার দায়ে বাংলাদেশের দালালকেও আটক করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে আলমপুরস্থ সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিস থেকে তাদের আটক করে পুলিশ। ওই ২ তরুণী জানিয়েছেন, তারা মায়ানমারের আরাকান রাজ্য থেকে অবৈধপথে বাংলাদেশে এসেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় দিকে দুই রাখাইন তরুণী ভূয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভূয়া জন্ম নিবন্ধন সনদ নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে যান পাসপোর্ট তৈরির আবেদনপত্র নিয়ে। বিষয়টি মোগলাবাজার থানা পুলিশ গোপণ সংবাদের ভিত্তিতে খবর পায়। তারা সেখানে গিয়ে ওই দুই তরুণীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। এখন তাদেরকে মোগলাবাজার থানায় রাখা হয়েছে। পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ২ তরুণী মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বলে স্বীকার করেছেন। ওই ২ তরুণীর একজন রায়নগর এলাকার মিতালী ৫ নম্বর বাসার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন ও নারগিস হোসেনের কন্যা দাবি করেছেন। তার নাম মনোয়ারা বেগম উল্লেখ করে একটি জাতীয় পরিচয় পত্র ও জন্ম সনদ প্রদান করেন তিনি। এতে তার জন্মতারিখ ১৯৯৫ সালের ২০ এপ্র্রিল উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যজন নিজেকে একই এলাকার মিতালী ৫৬ নম্বর বাসার ৪র্থ তলার শেখ মাহমুদ হাছান ও হামিদা বেগমের মেয়ে বলে দাবি করেছেন। এসময় তিনি নিজেকে মর্জিনা বেগম দাবি করে সেই নামে একটি জাতীয় পরিচয় পত্র ও জন্ম সনদ প্রদান করেন। এতে তার জন্মতারিখ ১৯৯৭ সালের ১ মার্চ উল্লেখ রয়েছে। পুলিশ এই দু’টি জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মসনদ ভূয়া বলে জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ফজল ২ রাখাইন তরুণী আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন- এদের কাছে ভূয়া জাতীয়পরিচয় পত্র ও জন্মসনদ পাওয়া গেছে। তারা মায়ানমার থেকে অবৈধপথে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। আরোও বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদে নতুন তথ্য পাওয়া যেতে পারে। ওসি জানান, এখনো এ ব্যাপারে মামলা দায়ের হয়নি। প্রস্তুতি চলছে। আগামীকাল তাদেরকে আদালতে নেওয়া হবে।