স্টাফ রিপোর্টার :
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি) ছাত্রলীগের বিবাদমান অংশগুলোর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ৪ জন আহত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার রাতে কক্ষ দখলকে কেন্দ্র করে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির অনুসারীদের সাথে সিনিয়র সহ-সভাপতি, সহ-সভাপতি ও ১ম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এর অনুসারীদের এই সংঘর্ষ হয়। মঙ্গলবার রাত দেড়টা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত প্রায় ২ ঘন্টাব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও শাহপরান হলে দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগের এই সংঘর্ষে অস্থিতিশীল ক্যাম্পাসে আতঙ্কে ভোগছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সূত্রে জানা যায়, প্রথমে বঙ্গবন্ধু হলের ৫০০৪ এবং ৫০২১ নং কক্ষ দখলকে কেন্দ্র শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুহুল আমিন ও ১ম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম সবুজের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরবর্তীতে সবুজের সাথে যোগ দেন সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সাঈদ, সহ-সভাপতি অঞ্জন রায়, এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য হাফিজুর রহমান সমর্থিত কর্মীরা। দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল ছুড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৪ জন আহত হন।
এর মধ্যে গুরুতর আহত সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি অঞ্জন রায়ের অনুসারী নাঈম ইসলাম ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী সহ-সভাপতি আবু সাঈদ আকন্দের অনুসারী আবু হেনাকে সিলেট ওসমানী ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুহুল আমিনের অনুসারী শাবি ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মৃন্ময় দাস ঝুটন বলেন, তারা তিন গ্র“প মিলে আমাদের রুম দখল করতে গেলে জুনিয়রদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। পরে আমি উপস্থিত হলে তারা আমার মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
১ম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম সবুজ বলেন, নতুন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুহুল আমিনের অনুসারী কর্মীরা বিভিন্নভাবে আমাদের কর্মীদের হয়রানি করে আসছে। তার প্রতিক্রিয়াতেই এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম স্বপন বলেন, ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোষ্ট হাসান জাকিরুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের ঘটনা আমি শুনেছি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সংঘর্ষের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত বছরেও আগস্ট মাসে অন্তত তিনবার সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগ, যার কারণে অন্তত ত্রিশ জন আহত হয়েছিল এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছিল।