রায়ে সন্তুষ্ট নয় সুন্দ্রাটিকি, বাদীসহ ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী

26

হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জের বাহুবলের আলোচিত ৪ শিশু হত্যাকান্ডের ঘটনায় সন্তুষ্ট হতে পারেনি সুন্দ্রাটিকি গ্রামবাসী। তাদের প্HOBরত্যাশা ছিল প্রত্যেক আসামীর ফাঁসির আদেশ হবে। মামলার প্রধান আসামী আব্দুল আলী বাগালসহ ৩ জন খালাস পাওয়ায় আতংকে রয়েছেন বাদিপক্ষের লোকজন। রায়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদি নিহত মনিরের বাবা মো. আব্দাল মিয়া। এদিকে রায় শোনার পরই নিহত ৪ শিশুর বাড়িতে কান্নার রোল পড়ে যায়। যেন এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। কান্নায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন নিহত তাজেলের মা আমেনা বেগম, মনিরের মা সুলেমা খাতুন,
ইসমাইলের মা মিনারা খাতুন ও দাদি মরম চান। এক পর্যায়ে তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। মামলার প্রধান আসামীসহ ৩ জন খালাস পাওয়ায় নিহতদের পরিবারের কেউই সন্তুষ্ট হতে পারেননি।
বাদির প্রতিক্রিয়া  : আলোচিত ৪ শিশু হত্যা মামলার বাদি মো. আব্দাল মিয়া রায়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি জানান, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। মামলার প্রধান আসামী আব্দুল আলী বাঘাল কিভাবে খালাস পেলেন এটি আমার বোধগম্য হচ্ছেনা। যার আদেশে এ হত্যাকান্ড ঘটেছিল তাকে কেন খালাস দেয়া হলো। মামলার বাদি হিসেবে এ রায়ে কোনভাবেই আমি সন্তুষ্ট হতে পারিনি। আমি উচ্চ আদালতে আপিল করবো। আমি প্রত্যেক আসামীর ফাঁসির দাবি জানাই।
বিশিষ্টজনদের প্রতিক্রিয়া : আইনজীবী মানবাধিকার সংগঠন এলার্ট এর জেলা সভাপতি মনসুর উদ্দিন আহমেদ ইকবাল বলেন, গোষ্ঠীগত বিরোধের জেরে নৃসংশ এ হত্যাকান্ড জেলাবাসীকে অত্যন্ত মর্মাহত করেছিল। এ ঘটনায় খুনীদের যে শাস্তি দেয়া হয়েছে তাতে জেলাবাসীসহ সাধারণ মানুষ সন্তুষ্ট হবে বলে আমি প্রত্যাশা করি। এ মামলার রায় ভবিষ্যতে কোন শিশু হত্যা বা নৃসংশ হত্যাকান্ডের বিষয়ে মাইলফলক হয়ে থাকবে।
হিউম্যান রাইটস্ সেল হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আকিকুজ্জামান খান বলেন, রায়ে আমরা জেলাবাসী সন্তুষ্ট। আমরা মনে করে এর মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। মামলায় যারা প্রকৃত দোষি তাদের শাস্তি হয়েছে। কেউ দোষ না করে সাজা ভোগ করুক এটি কারও কাম্য নয়।
বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাজহারুল হক জানান, গ্রামের পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত আছে। তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে একজন এসআই’র নেতৃত্বে গ্রামে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।