বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেছেন, অবাদে বনাঞ্চল ধ্বংস ও অপরিকল্পিত শিল্পায়নের ফলে বর্তমানে বাংলাদেশ চরম প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন। যার ফলে অতিবৃষ্টি ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দিন দিন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। বিপন্ন পরিবেশের ভারসাম্য ফিরিয়ে না আনলে ভবিষ্যতে তা আরো ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় একটি দেশের মোট আয়তনের ২৫ ভাগ বনাঞ্চল থাকার কথা থাকলেও বাংলাদেশে তা রয়েছে মাত্র ১৭ ভাগ। দিন দিন এই সংখ্যাও নিম্নমুখী। যার দরুন আগামীতে বাংলাদেশ মানুষ বসবাসের জন্য অযোগ্য ভূমিতে পরিণত হবে। সরকারের দায়িত্ব পরিবেশ রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা পালন করা, কিন্তু বর্তমান সরকার তার উল্টো ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। বাংলাদেশের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের মধ্য দিয়ে এই বৃহৎ বনভূমি ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। যা পরিবেশের জন্য আতœঘাতী। অবিলম্বে এই ধরণের পরিবেশ বিদ্ধংসী কার্যক্রম বন্ধ করে বিপন্ন পরিবেশ রক্ষায় সরকারের এগিয়ে আসা উচিত। ছাত্রশিবির প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও সারাদেশে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষরোপন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সারাদেশে ১০ লক্ষাধিক বৃক্ষরোপনের টার্গেট নিয়েছে শিবির। ছাত্রশিবিরের পাশাপাশি দেশের সচেতন ছাত্রসমাজ এই কর্মসূচির মাধ্যমে ব্যাপকহারে বৃক্ষরোপন করলে ভবিষ্যতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে বাংলাদেশ রক্ষা পাবে।
ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রঘোষিত সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষরোপন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সিলেট মহানগরীর বৃক্ষরোপন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নগর সেক্রেটারী নজরুল ইসলাম, সমাজসেবা সম্পাদক বদরুল হাসান চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক সাহেদ আহমদ, কলেজ কার্যক্রম সম্পাদক কয়েছুজ্জামান, কলেজ বিভাগ সভাপতি মাহবুব আহমদ। বিজ্ঞপ্তি