বিশুদ্ধ পানি সংকটে গোলাপগঞ্জের বন্যা দুর্গত এলাকাগুলো

62

গোলাপগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
বিশুদ্ধ পানি সংকটে গোলাপগঞ্জ উপজেলার বন্যা দুর্গত গ্রামগুলো। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের বন্যা দুর্গত kazirগ্রামগুলোর নোংরা পানিই এখন নিত্যসঙ্গী। ৬টি ইউনিয়নের প্রায় অর্ধ্ব লাশ মানুষ এখন বিশুদ্ধ পানি সংকটে। রয়েছে খাদ্য সংকটও। বিশুদ্ধ পানি না থাকায় পানিবাহিত রোগের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে বন্যার্তরা সময় পার করছে। গৃহপালিত পশু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন বন্যাদুর্গতরা। অনেক পরিবার বাড়ি-ঘর ছেড়ে উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিলেও এসব এলাকায় খাদ্য ও বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। শরিফগঞ্জ কালীকৃষ্ণপুর গ্রামের সাবেক মেম্বার কবির আহমদ বলেন এবারের বন্যায় সবকিছুর পানি এক হয়ে গেছে। আমারা গোসল ও বিশুদ্ধ খাবার পানি নিয়ে চরম হতাশায় আছি। শরিরে দেখা দিয়েছে নানা রোগ। উপজেলার শরিফগঞ্জ ইউপির শরিফগঞ্জ, কালীকৃষ্ণপুর, ইসলামপুর, হাকালুকি হাওর, মেহেরপুর, খাটখাই, পনাইরচক, কদুপুর, পানি’ আগা, কাদিপুর, বাঘলাবাজার, ভাদেশ্বর ইউনিয়নে মীরগঞ্জ, শেখপুর, চকদৌলতপুর, আমুড়া ইউনিয়নে ঘাগুয়া, শিকপুর, বুধবারীবাজার ইউনিয়নে বহরগ্রাম, বাগিরঘাট, বাণীগ্রাম, কটলিপাড়া ও বসন্তপুর, বাদেপাশা ইউনিয়নে আছিরগঞ্জ, আমকোনা, টেওরকোনা ও বাগলা, বাঘা ইউনিয়নে রস্তমপুর, খালোপার, কালাকোনা, রামগঞ্জ ও মজিদপুর এবং ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নে কানিশাইল, নোয়াই, শিলঘাট, সুনামপুর ও চন্দরপুর। তবে ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে শরিফগঞ্জ, ভাদেশ্বর, বাদেপাশা ও আমুড়া ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রামের মানুষের বিশুদ্ধ পানির জন্য দুঃখ দুর্দশার অন্ত নেই। ভাদেশ্বর ইউপির মীরগঞ্জ গ্রামের মাশুক মিয়া বলেন, সবচেয়ে বড় সমস্যা এখন আমাদের বিশুদ্ধ খাবার পানি। তিনি আরো বলেন, পানি ভালো না থাকায় ছেলে মেয়েরা ঠিকমত গোসল ও হাত-মুখ পরিষ্কার রাখতে পারছে না। বিশুদ্ধ পানি না থাকায় উপজেলার বন্যা দুর্গত এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়তে আসা কোমলমতি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও চরম হতাশায়। এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আলতাফ হোসেনের সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন, বিশুদ্ধ পানির জন্য বন্যা দুর্গত এলাকাগুলোতে ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের মাধ্যমে।