বিয়ানীবাজারে বন্যাদুর্গত এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণ নেই

29

বিয়ানীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
বিয়ানীবাজার উপজেলার বন্যাদুর্গত এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণ নেই বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বানবাসি মানুষের অভিযোগ। উপজেলার ৫নং কুড়ারবাজার ইউনিয়নের বন্যাদুর্গত ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের প্রায় সাড়ে ৪শত দরিদ্র পরিবার বন্যা দুর্গত থাকলেও ত্রাণ পেয়েছেন মাত্র ২শত পরিবার। প্রায় দুই শতাধিক পরিবার সরকারি ত্রাণ পাননি। এ ইউনিয়নে গত বৃহস্পতিবার ত্রাণ বিতরণ শেষ হয়েছে বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের। তিনি  আরোও জানান যে, উপজেলা থেকে দুই মেট্রিক টন চাল আমার ইউনিয়নের বন্যার্থদের মধ্যে বিতরণ করার জন্য দেয়া হয়েছে। আমরা ত্রাণ পাওয়ার মতো ৩ ওয়ার্ডের প্রায় সাড়ে ৪ শত পরিবারের তালিকা করেছি। কিন্তু ত্রাণ পর্যাপ্ত না থাকায় এ তালিকা ছোট করে দুইশত পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। ত্রাণ পেয়েছেন ৭নং ওয়ার্ডে ১ ও ৮নং ওয়ার্ডের ৪০ এবং ৯নং ওয়ার্ডের ৬০ পরিবার। পরিস্থিতি বিবেচনা করে আবু তাহের বলেন, প্রবাসীদের সাথে আমি সহ স্থানীয় উদ্যোগী মানুষজন যোগাযোগ করে ত্রাণের ব্যবস্থা করছেন। শুধু সরকারি ত্রাণের দিকে তাকিয়ে আমাদের বসে থাকলে চলবে না। সকলের সহযোগিতায় আমরা এ দুর্যোগ মোকাবেলা করবো।
উপজেলার ৪নং শেওলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহুর উদ্দিন তার ইউপিতেও প্রয়োজনের তুলনায় ত্রাণের  স্বল্পতার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যে ত্রাণ পেয়েছি এতে বন্যা কবলিত সব পরিবারকে দেয়া সম্ভব হয়নি। আমার ইউনিয়নের এখন অনেক পরিবার ত্রাণ পাওয়া থেকে বঞ্চিত রয়েছে। তিনি বলেন, নতুন করে ত্রাণ আসার কথা উপজেলা থেকে আমাদের জানানো হয়েছে। এ ত্রাণ পৌছালে কিছুটা হলেও দরিদ্র পরিবারের উপকার হবে। ত্রাণের অপ্রতুলতা উপজেলার দুবাগ, তিলপাড়া, লাউতা, মুড়িয়ায় ইউনিয়নেও রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুঃ আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা ইতিপূর্বে জেলা প্রশাসক কর্তৃক প্রেরিত কিছু ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছি এবং সরকারিভাবে আরোও ত্রাণ আসছে। আমাদের কাছে আসা মাত্র দ্রুত সময়ের মধ্যে দুর্গত মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হবে। তিনি দেশ-বিদেশের বিত্তশালীদেরও এ দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান।