আমার শিক্ষা জীবন

সুমনা আক্তার সাথী

ক্ষণস্থায়ী এ পৃথিবীর প্রতিটি মানুষই সুখ চায়। শান্তিপূর্ণ জীবন চায়। সুখের পেছনে ছুঁটতে ছুঁটতে এক সময় মানুষ অবশ্যই সুখের দেখা পায়। কারণ সুখ না ছাড়া দুঃখকে যেমন বুঝা যায় না, তদ্রƒপ জীবনে দুঃখ না থাকলে সুখের মূল্যটাও টের পাওয়া যায় না। কিছু কথা অল্প হাসি, জীবন এবং মরণ দুটোরই পাশাপাশি এক টুকরো সুখ আর এক টুকরো দুঃখ সব মিলিয়েই আমাদের জীবন। পৃথিবীতে যখন জন্ম নিয়েছি দুঃখ তো থাকবেই। তাই বলে কী জীবনকে উপভোগ করব না। ঘরের কোণে বসে থাকলে সুখ কখনো আসবে না। সুখ লাভ করার জন্য নিজেকে সামনের দিকে এগুতে হবে। সুখকে ধরতে গিয়ে জীবনে অনেক বড় বড় বিপদ আসবে। দিন রাত হবে। ক্ষমতার পালা বদল হবে। পৃথিবীতে নানা উত্থান পতন হবে তবুও আমার চাওয়া পূরণ করতে চেষ্টা করব। কেননা সুখ আমাকে ধরতেই হবে। আর এই সুখকে আপন করার প্রথম সোপান শিক্ষা অর্জন করা। আমরা জানি মন দিয়ে লেখাপড়া করলে নিজের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটানো যায়। লেখাপড়া শেষ করে ভালো চাকুরী করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারলে সুখ এবং সম্মান দুটোই আমাদের পেছনে থাকবে। এ আশা লালন করেই একটি মেয়ে ছোটবেলা থেকেই সে লেখাপড়ায় বেশ মনোযোগী হয়। কিভাবে নিজেকে সমাজের সামনে প্রতিষ্ঠিত করতে কিভাবে নিজেকে বড় বানাবে সে চিন্তা মাথায় রেখে বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখতো।
আজ আমি এমনই একটি মেয়ের শুধু স্কুল জীবন নিয়েই লিখতে বসেছি। যার আত্মকথা শুনলে যে কোনো হৃদয়হীন মানুষেরও চোখ গড়িয়ে অশ্র“ পড়বে। এক আকাশ সম দুঃখের কাহিনী। মেয়েটির নাম ‘ছামিয়া’ সীমিত সৌন্দর্যের অধিকারিনী। বয়স যখন ৫ বছর তখন সর্বপ্রথম জ্ঞান অর্জনের জন্য একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হয় এবং এখান থেকেই তার শিক্ষা জীবন শুরু হয়। প্রথম শ্রেণী হতে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। এখানে তাঁর অনেক বন্ধু-বান্ধবী ছিলো। হেসে খেলে জীবন নির্বাহ করতো। তার প্রতিটি দিন কাটতো ফুলের মতো। পড়ালেখায় অসাধারণ মনোযোগী ছিলো বলে শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ তাকে ভীষণ ভালোবাসতো। বাংলা বিষয়ের একজন শিক্ষক নাম আবরুছ। ছামিয়া যখন ৪র্থ শ্রেণীতে পড়তো তখন এ স্যার তাকে সবার তুলনায় বেশি ভালোবাসতেন। যা দেখে অন্য মেয়েরা হিংসা করতো। ছামিয়া খুবই চঞ্চল ছিলো। ক্লাসে বসে বসে তার খুব ভালো দুইজন বান্ধবীকে গান শুনাতো। যা অন্য কেউ শুনতে পারতো না। এমন সময় ছামিয়া ৪র্থ শ্রেণী হতে পঞ্চম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হলো। ৫ম শ্রেণীতে পড়াকালীন সময়ে তার এক বন্ধু নাম তনু। সে ছিলো হিন্দু। স্কুলে গিয়ে ছামিয়াকে বেশ জ্বালাতন করতো। সব সময় তার সাথে লাগালাগি করতো। সে বলতো ছামিয়াকে নাকি সে ভালবাসে। কিন্তু ছামিয়া তাকে সহ্য করতে পারতো না। সে ভালবাসা কি তা বুঝত না। তারপর সবার সামনে একদিন ছামিয়া ও তার বান্ধবীকে কয়েকটি চকলেট এনে দিলো তনু। গোটা স্কুলে ছড়িয়ে পড়লো ছামিয়া এবং তনু একে অপরকে ভালোবাসে। ছামিয়া সরাসরি তার স্যারের কাছে অভিযোগ করলে স্যার তনুকে খুব কঠিন শাস্তি দিলেন। তারপরও তনু ঠিক হয়নি। কিছুদিন পর কি কারণে সে ছামিয়াকে সবার সামনে তার গালে একটি থাপ্পড় মারে। ছামিয়া সহ্য করতে না পেরে স্কুল ছুটির পর পায়ের জুতা খুলে তনুর গালে দুটি বাড়ি দেয়। পেছনে তাকাতেই তনু চায় ছামিয়াকে মারতে। কিন্তু পারেনি, ছামিয়া তার মুখে থু থু দিয়ে স্কুল থেকে বেরিয়ে ছুঁটতে ছুঁটতে বাড়িতে এসে পৌঁছায়।
সেদিন তুনুকে জুতা পেটা করার পেছনে ছামিয়াকে তার বান্ধবীরা সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছিলো। সেই থেকে তনু ভালো হয়ে যায়। এমন এক সময় সমাপনী পরীক্ষা এসে যায়। ছামিয়া পরীক্ষায় খুব ভালো ফলাফল করে। প্রাথমিক বিদ্যালয় ছেড়ে উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তির পালা। ছামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হবে তার কি যে খুশি লাগছে। এমন সময়ও বাঁধা পড়ে গেল। ছামিয়ার ভাই বলে মেয়েদের ক্ষেত্রে পড়ালেখা আসলেই বেমানান। ছমিয়াকে আর অতিরিক্ত লেখাপড়া করানোর দরকার নেই বলে তার পড়ালেখা বন্ধ করে দেয়া হয়। ওই দিন থেকে তার জীবনে দুঃখ শুরু হল। সবাই স্কুলে যায় আর ছামিয়া তাদের দিকে তাকিয়ে শুধু কাঁদে। এভাবে কেটে গেল তার একটি বছর। এক বছর পর যখন স্কুলে ভর্তির সময় আসলো তখন ছামিয়ার আত্মীয়-স্বজন সবাই তার বাবাকে বললেন ছামিয়া বেশ মিষ্টি মেয়ে। লেখাপড়ায় মনোযোগী। ওকে কেন পড়ালেখা থেকে বঞ্চিত করেছো। তাছাড়া এখনো পৃথিবীতে শিক্ষা ছাড়া কোন উপায় নেই। এ মেয়েটির জীবন এভাবে নষ্ট কর না, ওকে স্কুলে ভর্তি করে দাও। এমন কি ছামিয়াও কেঁদে কেঁদে বলছে বাবা তোমরা আমার জীবনটা এভাবে শেষ করে দিও না। আমি পড়ালেখা করে বড় হতে চাই। সবার কথায় ছামিয়ার বাবা তাকে স্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি করে দিলেন। ছামিয়া রীতিমত স্কুলে আসা যাওয়া করে। আসলে তার বাবাও তাকে খুব বেশি ভালোবাসতেন। ছামিয়াকে নিয়ে বাবার অনেক স্বপ্ন ছিলো। ছামিয়া যখন ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণী পেরিয়ে ৮ম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হলো তখন হতেই স্কুলের সবার নিকট পরিচিতি লাভ করল। অন্যান্য ক্লাসের তুলনায় এই ক্লাসে এসে তার অনেক বান্ধবী জুটলো, লেখাপড়ারও অনেক উন্নতি হলো। সবার মতো সেও ফ্যাশন সচেতন ছাত্রী। স্কুলের ৮ম শ্রেণী ছাড়াও ৬ষ্ঠ, ৭ম, ৯ম ও ১০ম শ্রেণীর অর্ধ শতাধিক মেয়েদের সাথে তার বন্ধুত্ব। ছোট বড় সবার সাথে তার খুব ভালো সম্পর্ক। সবাই তাকে ভীষণ আদর করে।
এদিকে ওই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাও তাকে ভীষণ ভালোবাসতেন। উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তির পর ছামিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তুলনায় অনেকটা শান্ত হয়ে গিয়েছিলো। স্কুলে যাবার বেলায় সোজা রাস্তায় যেত। আবার স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ওই সঠিক রাস্তায়ই বাড়ি ফিরতো। ৮ম শ্রেণীতে থাকাকালীন সময়ে যখন স্কুলের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রওয়ানা দিতো তখন অনেক বখাটে ফালতু ছেলেরা অনেক কিছু বলতো। ছামিয়া যেন কানে শুনতে পায় না। ওদের কথায় কোনো সাড়া দিতো না। কাউকে গালিও দিতো না। এমন সময় তাদের স্কুলের ১০ম শ্রেণীতে পড়তো একটি ছেলে নাম নুরুল ইসলাম।তার দুটি জমজ বোনও ছামিয়ার সাথে একই ক্লাসে পড়তো। তখন ছিলো রমজান মাস, ৮ম এবং ১০ম শ্রেণীর কোচিং চলছে। এমন সময় সে দেখতে পেল ওই নুরুল নামের ছেলেটি তার দিকে বার বার তাকাচ্ছে এবং কি যেন বলতে চাচ্ছে ও কেন বার বার ছামিয়ার দিকে তাকায় বুঝতে পারছে না। সে ভাবল এ বিষয়টা গোপন থেকে যাক। কিন্তু গোপন রইল না, সব মেয়েরা বলতে শুরু করলো এই ছামিয়া তুই নিশ্চয়ই নুরুলকে ভালোবাসিস তা না হলে ও তোর দিকে এভাবে তাকায় কেন? সবাই ভাবলো ওদের কোনো না কোনো সম্পর্ক আছে। সবাই ছামিয়াকে ভুল বুঝে অনেক কথাবার্তা বলে। তারপর ছামিয়া একদিন ঐ স্কুলের একজন শিক্ষককে বলে স্যার আমাকে সবাই ভুল বুঝছে। কাকে দিয়ে ওরা আমাকে সন্দেহ করছে। আমি কী করব? উত্তরে স্যার বললেন আমি তোমাদের সবাইকে সাবধান করে দিলাম, তোমরা কখনো ছামিয়াকে কিছু বলবে না। তারপর সবার মুখই বন্ধ হয়ে গেল। একদিন ছামিয়ার এক বান্ধবী তানজিনা এসে জানাল সে শুনে এসেছে নূরুলের দুই বোন মিলে বাড়িতে গিয়ে তাদের মাকে সব খুলে বলেছে। তার মা বলেছেন তুমি আমার আদর্শে গড়ে উঠা সন্তান। আমি তোমার কাছে মন্দ কিছু আশা করি না। নূরুলের মা বোন ভেবে নিয়েছিল নূরুল ছামিয়াকে ভালোবাসে। তাদের ধারণা ভুল ছিলো। ছামিয়া কখনোই ওকে ভালোবাসতো না। কে কাকে ভালোবাসবে ছামিয়ার মনে তখন ভালোবাসার কোনো আবেগ ছিল না বললেই চলে। যাই হোক তারপর আরেকজনের পালা, তার নাম হাবিব। পড়ালেখায় বেশ ভালো ছাত্র। সেও দশম শ্রেণীতে পড়তো। খুব স্মার্ট ছিলো। বেশ সুন্দর। সেও অনেক দিন ছামিয়ার মুখের দিকে তাকাতো। ওকে কাছে ডাকতো। সবকিছু বুঝেও ছামিয়া তার ডাকে সাড়া দিতো না। আসলে সত্যিকার অর্থে ছামিয়া খুবই সুন্দর ও নির্মল চরিত্রের অধিকারী ছিলো। তবুও মেয়েটির ভাগ্যে এতো দুঃখ। ৮ম শ্রেণীতে থাকাকালীন সময়ে ঐ স্কুলের আব্দুল হাই বিএসসি নামের একজন শিক্ষক তাকে খুব ভালোবাসতো। তিনি জানতেন ছামিয়া খুবই দরিদ্র পরিবারের একটি মেয়ে। ঐ স্কুলের আরো একজন শিক্ষক নাম কাওছার আহমেদ। যাকে সবাই ঐ স্কুলের ছোট মাওলানা স্যার বলেই জানতো। ঐ দু’জন শিক্ষক ছামিয়াকে অনেকাংশে সাহায্য-সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতেন। খুব বেশি আদর করতেন। ৮ম শ্রেণীতে যখন ছামিয়া জে.এস.সি পরীক্ষা দিবে তখন পড়ালেখার বিষয়ে তেমন কোনো প্রস্তুতি ছিল না তার। ঠিক তখনই ওই বিএসসি স্যারই তাকে বেশি অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিলেন। ওই স্যারকে অনেকেই মন্দ বলে আখ্যায়িত করতো। ছামিয়ার সাথে নাকি ঐ স্যারের ভাব আছে সবাই বলতো। এক সময় ছামিয়ার কাছ থেকেই জানা যায়, এক প্রসঙ্গে ছামিয়া বলে শিক্ষক বাবার মতো। শিক্ষকের সাথে কখনো কি প্রেম হয়।         (চলবে)

নারী

ছাদিকুর রহমান

নারী তুমি পবিত্র তুমি সুন্দর
তোমার সঙ্গ পাওয়া জন্য অস্থির সমস্ত নর
নারী তুমি চঞ্চল তুমি ডানপিটে
তোমার হাসিতে যেন ফুল ফুটে
তোমার ইশারার যেন চাঁদ নেমে আসে
কত শত মানুষ ঘুরে তোমার চারপাশে
নারী তুমি বধূ,বোন তুমি মায়ের জাত
সবার আগে ছুটে আসে তোমার মমতাময়ী হাত
নারী তুমি উদাস মনে একটু শান্তির ছোঁয়া
হৃদয়ে দোলা দেয় যখন পাগলা হাওয়া
নারী তুমি অর্ধাঙ্গীনি জনম জনমের সাথী
চিরদিন তুমি একে অন্যয়ের থাকবে পাশাপাশি।

বাংলার মান

আহমদ রেজা চৌধুরী

আমরা বাঙালি
বাংলা ভাষায় কথা বলি।
সত্যের মধ্যে আছে মোদের প্র্রাণ ॥
আমরা যদিও ক্ষুদ্র
ডিঙ্গাই বাধার সমুদ্র।
মুহূর্তেই করতে পারি নব উত্থান ॥
অন্ধকারের আলো
মরুর চেয়ে ভালো।
এর মধ্যেই জেগে উঠে নব প্রাণ ॥
জাগরে ঘুমন্ত
আর হয়োনা অন্ধ।
রাখো সবাই এ বাংলার মান ॥

বেকার কিৎসা

সৌমেন কুমার

আমার স্বপ্ন গুলো বিনাশ
ভুল হয়েছে অংক,
আজ আমি এক জীবন্ত লাশ
হায় সুখের পালঙ্ক।

কর্মহীন জীবন রজনী
নাই ফাস্ট ক্লাসের বড়াই,
অসহ্য আজ এই ধরণী
ভুল ঘর্মাক্ত লড়াই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র
দেখে ঘোর অন্ধকার,
হও এনজিও ক্রেডিট অফিসার
না হয় কোম্পানী এস আর

বাংলা মায়ের মেধাবী সন্তান
ঘোরে যদি পথে,
দেশের মেরুদণ্ড ভাঙবেই
ফিরবে না জয়রথে।

কাবু করল শীতে

মিজানুর রহমান মিজান

এবার শীতে করল বেশ কাবু
বেশী কাপড় পরলে হওয়া যায় না বাবু।
সন্ধ্যার আগেই ঠক ঠকিয়ে কাঁপায়
শীত ধরে না হাত পায়ের মোজায়।
একটু ও শীতের নাই যে শরম
বৃদ্ধ-যুবা সমান তালে নরম।
কাঁথা গায়ে দিয়ে আড়মোড়া
রাতে বেশী জ্বালায় ফাঁক-ফোঁকর ছাড়া।
প্রচুর সবজি ফলে শীতে
ভাল লাগে খেজুর রসে ভাপা পিঠা খেতে।
শিশুরা গোসল করে না শীতের ভয়ে
বয়স্কদের ভীষণ কষ্ট শীত লাগিলে গায়ে।
জুতা-মোজা-টুপি পরা খুব সহজ
সৌদি আরব অধিক গরম যখন হয় হজ্ব।
সবার সনে মিতালী সমান তালে
ঠান্ডা পানি ছুঁতে চায় না কেউ বেতালে।

মরুময় মরীচিকার পানে

নেছার আহমদ নেছার

আমি মরুময় মরীচিকার পানে
ছুটে যেতে যেতে থমকে দাঁড়ালাম,
যেদিকে চোখ যায় অসীম শূন্যতা
জীবনবৃক্ষ ছায়ায় বসে
চোখ মেলে দেখলাম-শুধু শুধু নি:স্তব্ধতা,
এখানে কেবলেই শুধু শুধু নীরবতা-
এক ভুবন নীরব নি:স্তব্ধতা।
পৃথিবীর কোলাহল নেই-
নেই কোন প্রাণের সাড়া
নেই চাওয়া পাওয়ার অনুভব;
শুধু পদচিহ্ন অবলোকন করে ছুটে এসেছি।
পাইনি তারে খুঁজি যারে-
দিগন্তের সীমাহীন মরুময় পথে
কে যেন সাড়া দেয় অনেক সু-দূরে
অস্তাচল রবির আভায় কোন এক মূর্তি
জাগায় স্বপ্নময় স্মৃতি হৃদয়ের আকুতি
মিশে আছে জীবন পথে
পাইনি যারে কেন খুঁজি তারে
শুধু শুধু হারিয়ে যাওয়ার হাহাকারে।

জেসমিন জুঁই ৯

জালাল আহমেদ জয়

ধূলি মেঘ জুড়ে হেমন্তের ঝর্ণা বয়ে
চলে:ফাস্ট টাইপ রিক্সার মতো
ফলের বাগানে
ফুলের ঘ্রাণে ক্ষত-বিক্ষত
হৃদয়ের প্রান্তর।
চাঁষির চোখে আশার প্রদীপ
জ্যোৎস্নার আলোয় সাজে যখন
তার মাটির ভিটাখানি
আমি সেখানেই দেখেছি
তোমার আর আমার হাতে
দরজার খিলি দিয়ে ভেসে
এসেছিলো চাঁদের ঢেউ।
বলেছিলাম চাঁদও ভালোবাসে
এই হাতগুলো
ছেড়ো না ধরে রাখো
যেমন করে চাঁদও ধরে রাখে
জ্যোৎস্নার ছায়া।

শিরিনা তোমার জন্য

জামাল আহমদ জীবন

অক্টোবরের ৮ তারিখ এলে
শিরিনা তোমায় মনে পড়ে
তুমি আমায় ভুলে গেলে
আমি তোমায় ভুলব না।
সে দিনের কথা কি
মনে পড়ে না,
তানিয়া আর আমি
সাথে ছিলে তুমি,
লজ্জা তুমি পেয়েছিলে
মিষ্টি করে হেসেছিলে।
এক বছর একদিন
ভালোবাসার শেষ দিন,
আমাকে তুমি ভুলে গিয়ে
দারাকে বুকে টেনে নাও!

অপরাধী…!

নূরুদ্দীন রাসেল

পাখি উড়ে যায় আকাশে
ডানা মেলে দৃষ্টি খোলে
উড়ে উড়ে গিয়ে বসতে চায়
বটবৃক্ষের ছায়ায়।
আমি তার পানে তাকিয়ে নির্বাক
অন্তর খেয়ে, শূন্য হৃদয়ে অশ্র“ বন্যা
বয়ে যায় নিরবধি।
আমি অসফলতার দায়ে
সারাটি জীবন অপরাধী….!

তালামীযের সম্মেলনে আল্লামা হুছামুদ্দীন ফুলতলী ॥ আইন প্রণয়নের মাধ্যমে ধর্মদ্রোহীদের দমন করতে হবে

বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ’র সভাপতি আল্লামা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী বলেছেন ইসলাম ও মুসলমানদের এ দেশ আজ যেন নাস্তিক মুরতাদদের অভয়ারণ্যে পরিণত হতে যাচ্ছে, অতীতের মত নব্য নাস্তিকেরা মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরম আঘাত হানছে, যা দেশের ইসলাম প্রিয় জনতা বরদাশত করতে পারছে না। তাই সরকার কর্তৃক আইন প্রণয়নের মাধ্যমে এ সকল ধর্মদ্রোহীদের দমন করতে হবে।