স্বাধীনতার সুফল পেতে সুষ্ঠু গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই

স্বাধীনতার সুফল পেতে দেশে আইনের শাসন ও গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বর্তমান তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্খা আইনের শাসন সুপ্রতিষ্ঠায় সুষ্ঠু গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই। সকল শ্রেণীর অংশগ্রহণ ছাড়া দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়, আর একমাত্র সুষ্ঠু গণতন্ত্রই পারে এই অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে। দেশ গঠনে তরুণদের অংশগ্রহণ অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ দেশ এবং জাতির প্রয়োজনে তরুণদের নির্লিপ্ত থাকা আদর্শ নাগরিক হিসেবে তাদের দায়িত্বের প্রতি অবহেলার সামিল।
সোমবার বিকেলে সিলেট নগরীর শিল্পকলা একাডেমী অডিটোরিয়ামে ইউএসএআইডি-এর স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ (এসপিল) প্রকল্পের আওতায় ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের আয়োজনে আইনের শাসন এবং গণতন্ত্রে আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক নাগরিক আকাঙ্খা বিষয়ক আমিও জিততে চাই ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠানে বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা উপরোক্ত মতামত ব্যক্ত করেন।
সিলেটের ৫টি বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন কলেজের শতাধিক তরুণ-তরুণীর অংশগ্রহণে নাগরিক আকাঙ্খা বিষয়ক ‘আমিও জিততে চাই’ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্বে এমনটাই জানান অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা।
ক্যাম্পেইনের গুরুত্ব এবং ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে আলোকপাত করেন সংস্থার সিলেট বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত সিনিয়র রিজিওনাল ম্যানেজার মোঃ নাঈমুর রহমান এবং জুনায়েদ মুফ্রাদ।
নাগরিক আকাঙ্খা বিষয়ক ‘আমিও জিততে চাই’ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট লিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষিকা সাবেরা সুলতানা, সিলেট মাল্টিপার্টি এডভোকেসি ফোরামের ভাইস প্রেসিডেন্ট সাবেক ভিপি সামিয়া চৌধুরী, সিলেট মহানগর মহানগর মহিলা দলের সভাপতি নিগার সুলতানা ডেইজি, জেলা মহিলাদলের সভাপতি তাহসিন শারমিন তামান্না, এবং বাসস-এর সিলেট ব্যুরো প্রধান সেলিম আউয়াল।
সিলেট মাল্টিপার্টি এডভোকেসি ফোরামের ভাইস প্রেসিডেন্ট সামিয়া চৌধুরীর সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, মাহবুবুর রব ফয়সাল এবং অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন সিলেট মাল্টিপার্টি এডভোকেসি ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এবং বিএনপি মহানগর কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুকুল মোরশেদ এবং সুনামগঞ্জ মাল্টিপার্টি এডভোকেসি ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মুনাজ্জির হোসেন।
অনুষ্ঠানে আলোচনা সভা ছাড়াও ইন্টারেক্টিভ থিয়েটার ‘নেতা আসছেন’, কুইজ ও ভিডিও বার্তা প্রতিযোগিতা এবং ক্যাম্পেইনের রিল প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় অংশগ্রহণকারীরা সমকালীন বিভিন্ন ইস্যুর সমাধান বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন। ক্যাম্পেইনটির আওতায় (ধসরড়লরঃঃবপযধর.পড়স) ওয়েবসাইটের মাধ্যমে গ্রহণ করা হচ্ছে নাগরিকদের দাবি ও মতামত। অনুষ্ঠানে কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা। বিজ্ঞপ্তি

বিমান বন্দরে অতিথির মত সম্মান পাবেন প্রবাসীরা

কাজির বাজার ডেস্ক

অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, প্রবাসীরা যেন বিমান বন্দরে অতিথির মত সম্মান ও সেবা পায় সরকার তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
সোমবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভিবাসী কর্মীদের জন্য একটি ডেডিকেটেড লাউঞ্জ (প্রবাসী লাউঞ্জ) উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। প্রবাসীদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনাদের যে প্রাপ্য সম্মান, সেটি যেন জাতি দিতে পারে। সেই সম্মান দেয়ার জন্য আজকের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে প্রবাসী লাউঞ্জ উদ্ধোধন করা হলো। আশা করি, আরো বহু রকমের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ‘ ড. ইউনূস বলেন, ‘যাতে করে আপনারা এখানে এসে মনে করতে পারেন যে, আপনারা শান্তিতে আছেন, বাড়িতে আছেন, সবাই আপনাদের দেখভাল করছে, আপনাদের সেবা-শুশ্রƒষা করছে। অর্থাৎ আপনি এখানে মেহমানের মতো থাকবেন। আপনি সম্মান নিয়ে থাকবেন।’
তিনি বলেন, আপনার প্রাপ্য বুঝিয়ে দেয়ার জন্য এই প্রচেষ্টা। আজকে যেটা শুরু করলাম বহুভাবে একে কাজ লাগানো যাবে।
প্রবাসীরা বিমান বন্দরে যথাযথ সম্মান ও সেবা পান না বলে আক্ষেপ প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনাদের দিয়ে তো দেশ চলে। আপনাদের তো মাথার ওপর রাখার কথা। অপরাধী করে রাখবে কেনো? ভাবখানা এই যে, তোমরা নিজদের টাকা রোজগার করতেছ, তোমাদের ব্যাপার! আমাদের কী তাতে?’ প্রবাসীদের উপার্জিত অর্থ যথার্থভাবে দেশের কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে সরকার প্রধান বলেন, ‘প্রবাসীরা টাকা যেটা রোজগার করছে, সেটা তো বাংলাদেশেই আসছে, বাংলাদেশের জন্য রোজগার করছে। প্রবাসীরা কষ্ট করে টাকা রোজগার করে আনছেন। আর এই কষ্টার্জিত টাকা আরকজনে বিদেশে পাচার করছে। এটা হলো আমাদের দুর্ভাগ্য। সেখান থেকে আমাদের ফিরে আসতে হবে, আমাদের দেশের টাকা যেন দেশে থাকে, দেশের কাজে লাগে।’
প্রবাসী কর্মীরা দেশ গড়ার কারিগর অভিহিত করে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমাদের প্রবাসী কর্মীরা দেশ গড়ার কারিগর। জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে তারা বড় ভ‚মিকা পালন করেছে। আমরা তাদের কাছে সবসময় কৃতজ্ঞ। আমরা বিশ্বাস করি, এই লাউঞ্জ তাদের ভ্রমণকে সহজ করবে।’ মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, আমরা সরকারে আসার তিন মাসের মাথায় এসে প্রবাসীদের জন্য নতুন যাত্রা শুরু করতে পারলাম। প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা দুজনেই বিদেশে আসা-যাওয়ার পথে এর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছি। তিনি বলেন, ‘বিমানবন্দর আমাদের সবাইকে ব্যবহার করতে হয়। আমাকেও প্রায় আসা-যাওয়া করতে হয়। মনে খুব কষ্ট হয় যখন দেখি প্রবাসীদের যাওয়া আসায় কত কষ্ট হচ্ছে।’
প্রবাসীদের জন্য সরকারের সেবা সহজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্রবাসীদের জন্য এখন ই-পাসপোর্ট দিতে হবে। ছাপা পাসপোর্ট দরকার নেই। পাসপোর্ট আপনার ফোনে চলে আসবে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। অফিসে যেন যেতে না হয়। তিনি বলেন, আমার এখন আর সরকারি অফিসে যেতে চাই না। বাড়িতে যেন সেবা পৌঁছে দেওয়া যায়।
উল্লেখ্য, হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে এটিই প্রথম প্রবাসী লাউঞ্জ। এখানে বাংলাদেশী অভিবাসী কর্মীদের বিশ্রামের জন্য জায়গা এবং সুলভ মূল্যে খাবার পাওয়া যাবে। সুলভ মূল্যে খাবার পরিবেশনের জন্য এতে ভর্তুকি দেবে সরকার।
উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে আইন ও প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অধ্যাপক আসিফ নজরুল জানান, বিমান বন্দরে প্রবাসীদের দেখভাল এবং তাদের সহায়তা করার জন্য ১০০ কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আইওএম এই কর্মীদের স্পন্সর করেছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত আইওএম মিশনের ডেপুটি চিফ ফাতিমা নুসরাত গাজালি জানান, জাতিসংঘ বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের সহায়তার জন্য লাউঞ্জটি স্পন্সর করেছে।

উপদেষ্টা নিয়োগের প্রতিবাদে নগরীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার

ছাত্র-জনতার অংশীদারত্ববিহীন সিদ্ধান্তে অন্তর্র্বর্তী সরকারে উপদেষ্টা নিয়োগের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেট। কেন্দ্রের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সোমবার বিকেল ৪টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দায়িত্বশীলরা নগরীর চৌহাট্টা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জিন্দাবাজার পয়েন্ট ঘুরে সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিবসহ বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে। হাজার-হাজার ছাত্র-জনতার রক্তে অর্জিত এই বিপ্লব। কিন্তু অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার নতুন যে উপদেষ্টা নিয়োগ দিয়েছেন তা বিপ্লবের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ফ্যাসিবাদী দোসরদের স্থান দেওয়া শহীদের রক্তের অবমাননা ও অভ্যুত্থানের সঙ্গে বেঈমানী। আমরা আশাকরি ড. ইউনূসের অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার ছাত্র-জনতার সঙ্গে আলোচনা করে এমন সিদ্ধান্ত নেবেন।
এর আগে রবিবার নতুন করে শপথ নেন তিন উপদেষ্টা।
তারা হলেন- ব্যবসায়ী সেখ বশির উদ্দিন, চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।

সিলেটে ভোগান্তির নাম প্রিপেইড মিটার, অভিযোগেও নেই প্রতিকার

কাজির বাজার ডেস্ক

সারা দেশে বিদ্যুৎ বিলে হয়রানি, আর নানা অনিয়ম দূর করতে প্রিপেইড মিটার বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য পোস্ট পেইড মিটারের বদলে নতুন প্রিপেইড মিটার বসানোর কাজ চলছে। কিন্তু সিলেটে এ প্রিপেইড মিটার নিয়ে চলছে নানা অব্যবস্থাপনা ও অনিয়ম। নেয়া হচ্ছে অতিরিক্ত চার্জ, অজান্তেই স্থাপন করা হচ্ছে মিটার। আবার লক হলে গ্রাহকদের দৌড়ঝাঁপের অন্ত নেই। এ নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী।
২০০৪ সাল থেকে সিলেট নগরীর বাসাবাড়ি ও বিভিন্ন মার্কেটে বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার বসানোর কাজ চলমান। পূর্বের পোস্ট পেইড মিটার সরিয়ে নতুন প্রিপেইড মিটার বসাতে গ্রাহকদের অনেকটা জোরই করা হচ্ছে। ক্ষেত্র বিশেষে আবার দাবি করা হচ্ছে অতিরিক্ত চার্জ। সুতরাং প্রিপেইড মিটারেও ভোগান্তি থেকে নিষ্কৃতি নেই গ্রাহকদের।
প্রিপেইড বিলে ‘বিবিধ’ নামে একটি শ্রেণিতে গ্রাহকদের কাছ থেকে ইচ্ছামতো টাকা আদায় করা হচ্ছে। এ নিয়ে নগরীতে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মধ্যে বিরাজ করছে ক্ষোভ। বাড়তি চার্জে গ্রাহকদের আগ্রহ কমছে প্রিপেইড মিটারে।
ভুক্তভোগী গ্রাহকদের অভিযোগ, তাদের প্রিপেইড মিটার যখন-তখন বন্ধ হয়ে যায়। হুট করে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সংযোগ। ফলে বিদ্যুৎহীন হয়ে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। গ্রাহক হয়রানি বন্ধ ও প্রিপেইড মিটার স্থাপনের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা মানববন্ধনও করেছেন। একই সঙ্গে স্মারকলিপি দিয়েছেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও বিভাগীয় কমিশনার বরাবর।
এদিকে, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগ প্রিপেইড মিটার ও বিল সংক্রান্ত অভিযোগ পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে। তবে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিতরণ অঞ্চল সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আব্দুল কাদির বলেন, গ্রাহক হয়রানি কমাতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে উপর মহল থেকে। আর মিটার স্থাপনে বিদ্যুৎ বিভাগের কেউ টাকা চাওয়ার অভিযোগ পেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এরই মধ্যে সিলেট সিটি করপোরেশনের আওতাধীন বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১-এ ২৭৬৫৪টি, বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এ-৬২৩২০টি, বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-৩-এ ১৫২৮৫টি, বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-৪-এ ২২৪৩৪টি এবং বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-৫-এ ২৯৪০০টি প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হয়েছে।
সিলেটের সচেতন নাগরিক সমাজ বলছেন, বিদ্যুৎ ব্যবহারে হয়রানি ও ভোগান্তি থেকে বাঁচতে চায় সাধারণ মানুষ। তা না হলে প্রিপেইড মিটার স্থাপন প্রতিরোধ কমিটির মাধ্যমে তারা কঠোর আন্দোলনের ডাক দেবেন।

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা ১৭ জানুয়ারি ডেন্টাল ২৮ ফেব্রুয়ারি

কাজির বাজার ডেস্ক

২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ও ডেন্টাল (বিডিএস) ভর্তি পরীক্ষার তারিখ চ‚ড়ান্ত হয়েছে। আগামী ১৭ জানুয়ারি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর ডেন্টাল (বিডিএস) ভর্তি পরীক্ষা হবে ২৮ ফেব্রæয়ারি। রোববার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মো. মহিউদ্দিন মাতুব্বর রোববার দুপুরে তারিখ নির্ধারণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৭ জানুয়ারি মেডিকেল (এমবিবিএস) এবং ডেন্টাল (বিডিএস) ভর্তি পরীক্ষা হবে ২৮ ফেব্রæয়ারি। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
জানা গেছে, ২১ ফেব্রæয়ারি, পবিত্র শবে বরাত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাসহ কয়েকটি কারণে ১৪ ফেব্রæয়ারি মেডিকেলের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আগামী ১৭ জানুয়ারি পরীক্ষা আয়োজনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আর ২৮ ফেব্রæয়ারি ডেন্টালের বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র এ তথ্য জানিয়েছিল। গত ২৯ অক্টোবর অভ্যন্তরীণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জাতীয় নির্বাচনের আগে গণপরিষদ নির্বাচন দিন : হাসনাত কাইয়ূম

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি

গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম বলেছেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে লুটপাটের আইন ও সংসদ পরিচালনার আইন পরিবর্তন করতে হবে। ওপর থেকে বাংলাদেশ যতটা রঙিন দেখাক না কেন, ভেতরটা ততটাই ফাঁকা করে রেখে গেছে পতিত আওয়ামী লীগ সরকার। তাই দেশের মানুষের ভবিষ্যতের নিরাপত্তায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সংবিধান সংস্কার পরিষদ (গণপরিষদ) নির্বাচন দিতে হবে’।
রবিবার মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের মহসিন অডিটোরিয়ামে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের এক সমাবেশে সংবিধান বিশেষজ্ঞ হাসনাত কাইয়ূম এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে এখনো বহাল থাকা ইনডেমনিটি আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে হাসনাত কাইয়ূম বলেন, ‘পতিত স্বৈরাচারী সরকার আইনের মাধ্যমে ব্যাংকগুলো দখল করেছে। মাত্র বিশ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ওরা ৫০টির বেশি ব্যাংক নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। গত ১২ বছরে কমপক্ষে পৌনে দুই লাখ কোটি টাকা পাচার করে ব্যাংকগুলোকে ফাঁকা করেছে। ফাঁকা করেছে রিজার্ভও। জাতীয় নির্বাচনের আগে লুটপাটের এসব আইন ও সংসদ পরিচালনার আইন আগে পরিবর্তন করতে হবে’।
তিনি বলেন, ‘একাত্তরে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে এদেশের কৃষক-শ্রমিকের সন্তান ও সাধারণ মানুষ। স্বৈরাচারী এরশাদকে সরিয়েছে ছাত্ররা। সর্বশেষ ২০২৪ সালে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারকে হাটিয়েছে ছাত্র-জনতা। ৫৩ বছরে দেশ মেরামতের তিনটি সুযোগ এলেও সুযোগগুলো হাতছাড়া করে ফসল নিয়ে গেছে চোর-বাটপাররা। এবারের এ শেষ সুযোগ বেহাত হলে আর মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন সম্ভব নয়। তাই এখনই নির্বাচনব্যবস্থা ও সংবিধানসহ সবরকম সংস্কার করতে হবে। তারপর জাতীয় নির্বাচন’।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের শ্রীমঙ্গল উপজেলার আহŸায়ক সাখাওয়াত হোসেন মাস্টারের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব সালেহ আহমেদের সঞ্চালনায় অন্যান্যর মধ্যে আরো বক্তব্য দেন সিলেটের সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল করিম কীম, মৌলভীবাজারের রাজনগরের কাউয়াদীঘি হাওর রক্ষা আন্দোলনের সদস্য সচিব খছরু চৌধুরী, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অর্থনৈতিক সমন্বয়ক দিদারুল ভ‚ঁইয়া, যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সির সংগঠক তৌকির আহমেদ চৌধুরী, শ্রীমঙ্গলের সংগঠক আব্দুস সাত্তার, হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সদ্য-সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান খাইরুন আক্তার, সাংবাদিক ও সংস্কৃতিকর্মী নাসরুল আনোয়ার প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের ১৮ সদস্যবিশিষ্ট শ্রীমঙ্গল উপজেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। সাখাওয়াত হোসেন মাস্টারকে সভাপতি, আব্দুস সাত্তারকে সাধারণ সম্পাদক ও অজিত বুনার্জিকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। সহ-সভাপতি পদে অনীল তন্তুবায়, প্রতিমা দাস ও স্বাধীন চাষা, যুগ্ম-সম্পাদক পদে সন্তোষ কর্মকার ও সাহেদ আহমেদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সঞ্জিত বুনার্জি এবং হীূরা চাষা, দুলাল বুনার্জি, সান্ত¡না বাড়াইক, হৃদয় বুনার্জি, সুব্রত রবিদাস, কৃপেশ তাঁতী, ধীরেন বুনার্জি ও সন্তোষ বাড়াইককে সদস্য করা হয়।

ড. ইউনূসের সঙ্গে সেনা প্রধানের সাক্ষাৎ

কাজির বাজার ডেস্ক

অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। রোববার ঢাকায় তেজগাঁও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাতকালে সেনাবাহিনী প্রধান দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও সেনাবাহিনীর গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। প্রধান উপদেষ্টা এসময় সেনাবাহিনী প্রধানকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন

জকিগঞ্জে ছাত্রদলের কর্মিসভা শেষে দু’পক্ষের মারামারি

জকিগঞ্জ সংবাদদাতা

জকিগঞ্জের ইউপি ছাত্রদলের কর্মিসভা শেষে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই পক্ষের চারজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শনিবার সন্ধ্যায় জকিগঞ্জের বারঠাকুরী ইউপির সোনাসার বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিরা বারঠাকুরী ইউনিয়ন ছাত্রদলের কর্মী। আহতদের মধ্যে আছেন দুই ভাই জাফর আহমদ (২২) ও শাকিল আহমদ (২০)। বাকি দুজনের নাম জানা যায়নি। আহত জাফর আহমদ জকিগঞ্জে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে হামলার ঘটনায় গত ৭ সেপ্টেম্বর একটি মামলা করেছেন।
স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জকিগঞ্জের বারঠাকুরী ইউনিয়ন ছাত্রদলের নেতৃত্ব ও সাংগঠনিক কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে শনিবার বিকেলে সোনাসার বাজারের একটি কমিউনিটি সেন্টারে কর্মিসভার আয়োজন করা হয়। সভায় উপজেলা ছাত্রদলের আহŸায়ক কামরুল ইসলাম ও সদস্যসচিব রায়হান আহমদ উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে নেতা-কর্মীরা ফিরে যাওয়ার পর দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।
ছাত্রদলের একটি পক্ষের অভিযোগ, জাফর মামলার বাদী হওয়ায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন। শনিবার কর্মিসভা শেষে এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতÐার জের ধরে মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে অন্য নেতা-কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
রবিবার সকাল থেকে জাফর আহমদের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলে সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়। সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহŸায়ক কামরুল ইসলাম বলেন, বারঠাকুরী ইউপি ছাত্রদলের কমিটি নেই। সংগঠনকে চাঙা করতে কর্মিসভার আয়োজন করা হয়েছিল। কর্মিসভা সন্ধ্যার আগেই শেষ হয়েছে। কর্মিসভা শেষে বাড়ি ফেরার পর দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। বিষয়টির খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাহমুদ হাসান বলেন, এ ঘটনায় কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পাওয়া গেলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়েও দেশকে অস্থিতিশীল করতে ষড়যন্ত্র করছে

স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গিয়েও দেশকে অস্থিশীল করতে গভীর ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্যে করেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ভিডিও বার্তাসহ বিভিন্ন ভাবে দেশ বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে রবিবার সিলেট মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী চৌহাট্টা পয়েন্টের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন, যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে দলের নেতাকর্মী ও দেশবাসী সর্বদা সজাগ রয়েছে। যারা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ধ্বংস করতে আসবে, অত্যন্ত সজাগ ও সচেতন থেকে তাদের যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। এখানে গণতন্ত্র ছাড়া ফ্যাসিবাদ সুযোগ পাবে না। আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করবো। বিগত ১৭ বছরে পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগ দেশের সব রাজনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করেছে। তারা দেশকে করেছিল একটি মাফিয়া রাষ্ট্র। তারা দেশের অর্থনীতি ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। ওরা আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে হত্যা, গুম করেছে। ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছিল পতিত আওয়ামী লীগ।
আজকের বিক্ষোভ প্রমাণ করবে বাংলাদেশে সবচেয়ে শক্তিশালী রাজনৈতিক দল জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বারবার রক্ষা করেছে বিএনপি। বাংলাদেশের রাখাল রাজা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে পরাজিত ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদকে ধ্বংস করে দিয়েছে। সেদিন নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। ২০২৪ সালে জনগণ আরেকটা অভ্যুত্থান দেখেছে। এই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়েছেন। কিন্ত তার দোসররা এখনো রয়েছে। তাই তাদেরকে ঐক্যবন্ধ ভাবে মোকাবেলা করতে হবে। বিক্ষোভ মিছিলটি কোট পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে চৌহাট্টা পয়েন্টে গিয়ে সমাবেশের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়।
মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েছ লোদীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী পরিচালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি জিয়াউল হক জিয়া, আমির হোসেন, আব্দুল হাকিম, সাদিকুর রহমান সাদিক, আব্দুর রহিম মল্লিক, আফজল হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, সিলেট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি একেএম তারেক কালাম, মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজিবুর রহমান নজিব, শাহ নেওয়াজ বক্ত চৌধুরী তারেক, আব্দুল ওয়াহিদ সুহেল, রেজাউল করিম আলো, আহমদ মনজুরুল হাসান মনজু, ফাতেমা জামাল রুজি, আবুল কালাম, রেজাউর রহমান রুজন, সাব্বির আহমদ, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাশেম, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কোহিনুর আহমদ, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সাফেক মাহবুব, রফিকুল ইসলাম রফিক, সৈয়দ রহিম আলী রাসু, বেলায়েত হোসেন মোহন, তারেক আহমদ খান, সাইদুর রহমান হিরু, ডা. এম এ হক বাবুল, জেলা যুবদলের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম মুমিন, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মির্জা সম্রাট হোসেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আফসর খান, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সুদীপ জ্যোতি এষ, সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী আহসান, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক দিলোয়ার হোসেন দিনার, আব্দুল মুনিম, দেওয়ান আরাফাত জাকি, ফয়েজ আহমদ মুরাদ, সবুর আহমদ, নাজিম উদ্দিন, আব্দুল মুনিম, লুৎফুর রহমান মোহন, আব্দুল হাদি মাছুম, সৈয়দ লোকামানুজ্জামান, মিজান আহমদ, আব্দুল আহাদ, মফিজুর রহমান জাবেদ, আব্দুল আজিজ লাকী, সালেহ আহমদ গেদা, দুলাল আহমদ, রেজাউর রহমান রুমন, সাব্বির আহমদ, জাহাঙ্গীর আলম জীবন, শফিক নূর, আব্দুল মালেক, মারুফ আহমদ, শামীম আহমদ লোকমান, রুবেল বক্স, মিনহাজ পাঠান, খুর্শেদ আহমদ, সৈয়দ রাজন, কয়েস আহমদ সাগর, সালাল উদ্দিন শামীম, জমজম বাদশা, রাজিব কুমার দেব, শাহীন আহমদ, ইকবাল কামাল, শাহীন আহমদ, নজরুল ইসলাম, লল্লিক আহমদ চৌধুরী, জমির উদ্দিন, অলিউর রহমান জনি, সেলিম আহমদ সেলু, আমিনুল ইসলাম আমিন, রাজন মিয়া, চান মিয়া বাচ্চু, সাইফুল ইসলাম, নুরুল হক রাজ, মতিউর রহমান শিমুল, ইফতেখার আহমদ পাবেল, ফরহাদ আহমদ, জাহেদ আহমদ, আকবর হোসেন কয়ছর, হারুনুর রশিদ, নুরুল ইসলাম লিমন, মো. নুরুল ইসলামসহ জেলা ও মহানগর বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি

সিলেটে খতমে নবুওয়াত মহাসম্মেলন বুধবার

স্টাফ রিপোর্টার

সিলেটবাসীকে কাদিয়ানী ফিতনা সম্পর্কে সচেতন করতে আগামী ১৩ নভেম্বর বুধবার সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে খতমে নবুওয়াত মহাসম্মেলন ও সীরাত মাহফিল এ অংশগ্রহণের আহŸান জানিয়েছে সিলেট খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটি। রবিবার নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ আহবান জানান সিলেট খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি মাওলানা শফিকুল হক শায়খে সুরইঘাটী।
তিনি বলেন, আমরা মুসলমান। সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী হজরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের আদর্শ। আমরা সবকিছুতে ছাড় দিতে পারলেও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ইজ্জতের জন্য জীবন দিতে মোটেও পিছপা হবো না। আমরা কাদিয়ানীদের সাথে মুসলমান হিসেবে নয়, মানুষ হিসেবে বসবাস করতে আপত্তি নেই। কিন্তু তারা হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান ও ইয়াহুদীদের মতো পৃথক ধর্মের পরিচয়ে বসবাস করুক। তারা মুসলমান পরিচয়ে এ দেশে ভ্রান্তমতবাদ প্রচারের কোনো সুযোগ নেই। আমাদের পরিষ্কার বক্তব্য, কাদিয়ানীরা অমুসলিম। আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। আহমদিয়া মুসলিম জামাত কিংবা মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর অনুসারী সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে কাফের বা অমুসলিম ঘোষণা না করলে আমরা কঠোর কর্মসূচি গ্রহণে বাধ্য হবো।
সিলেটবাসীকে শাহজালালের উত্তরসূরী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালের ১০ এপ্রিল ‘রাবেতা আলম আল ইসলামী’ এর আহŸানে পবিত্র মক্কায় ১৪৪টি সংগঠনের তিন শতাধিক প্রতিনিধির সম্মেলনে কাদিয়ানীদেরকে অমুসলিম ঘোষণা করা হয়েছে। ১৯৮৮ সালে ‘ওআইসি’ এর উদ্যোগে ইরাকে সকল মুসলিম দেশের ধর্মমন্ত্রীদের এক সম্মেলনে প্রত্যেক মুসলিম দেশে কাদিয়ানীদেরকে অমুসলিম ঘোষণা দেওয়ার জন্য লিখিত প্রতিশ্রæতি নেওয়া হয়। সে মতে সৌদি আরব, ইরান, ইরাক, কুয়েত মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বহু রাষ্ট্র কাদিয়ানীদেরকে অমুসলিম ঘোষণা করেছে। এছাড়া বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের প্রায় সমস্ত ওলামায়ে কেরামগণ তাদেরকে কাফের বলে ফতোয়া দিয়েছেন। দারুল উলুম দেওবন্দ, ভারত -এর ফতোয়া হচ্ছে কাদিয়ানী সম্প্রদায় ইসলামের গন্ডি হতে অবশ্যই বহিভর্‚ত। কাদিয়ানী সম্প্রদায় ইসলামের দুশমন। যে ব্যক্তি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আল্লাহর প্রেরিত আখেরী নবী মানে না সে কাফের। এছাড়াও বাংলাদেশের সকল ওলামায়ে কেরামগণ কাদিয়ানীদের কাফের বলে ফতোয়া দিয়েছেন। বর্তমানে কাদিয়ানী ফেতনা সবচেয়ে বড় ফেতনা। মুসলমানদের ঈমানকে এ মুরতাদী ফেতনা থেকে রক্ষা করা এবং আমাদের সর্বশক্তি প্রয়োগ করে তা প্রতিহত করতে হবে। এটি এমন একটি জিহাদ যার প্রতিদান জান্নাত।
তিনি বলেন, কাদিয়ানীরা যেহেতু আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সর্বশেষ নবী ও রাসূল মানে না, সেহেতু কুরআন-হাদীস এসব কিছুই মানে না! আমরা পরষ্পর শুনতে পাচ্ছি, সিলেটেও নাকি কতিপয় জায়গায় কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের অপতৎপরতা অতি কৌশলে গোপনে চলছে। এখানে শায়িত আছেন হজরত শাহজালাল রাহ., শাহপরান রাহ. সহ লাখ লাখ হক্কানি আলেম উলামা ও পীর মাশায়খগণ। আমরা জেনে বুঝে ঘোষণা দিচ্ছি কাদিয়ানীরা কাফের, পবিত্র এই মাটিতে, সিলেটের এ জমিনে কেউ কোনো অপতৎপরতা, বিশেষত ইসলাম, মুসলমান এবং সর্বশেষ নবী হজরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে ক‚টচাল কিংবা ষড়যন্ত্র করলে পরিণতি হবে ভয়াবহ।
মাওলানা শফিকুল হক বলেন, সিলেটবাসীকে কাদিয়ানী ফিতনা সম্পর্কে সচেতন করতে আগামী ১৩ নভেম্বর বুধবার সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে আমরা আয়োজন করেছি “খতমে নবুওয়াত মহাসম্মেলন ও সীরাত মাহফিল”। এই মহাসম্মেলনে অতিথি হিসেবে থাকবেন দেশ-বিদেশের প্রখ্যাত উলামা-মশায়েখ। বিশেষত পাকিস্তানের বরেণ্য আলেম, মুবাল্লিগ, শায়খুল হাদীস মাওলানা ইলিয়াস গুম্মান, বাংলাদেশের অন্তর্বরর্তীকালীন সরকারের মাননীয় ধর্ম উপদেষ্টা ডক্টর মাওলানা আ ফ ম খালিদ হোসেন, শায়খুল হাদীস মাওলানা আব্দুল হামিদ পীরসাহেব মধুপুর, শায়খুল হাদীস মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, ডক্টর মাওলানা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী, মুফতি রশিদুর রহমান ফারুক বরুণাসহ দেশের এবং সিলেটের সর্বজন শ্রদ্ধেয় উলামা-মাশায়েখ।
মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মহানগর শাখার আহবায়ক অধ্যক্ষ হাফিজ মাওলানা আব্দুর রহমান সিদ্দিকী, সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট মাওলানা শাহীনূর পাশা চৌধুরী, সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব মাওলানা হাফিজ সৈয়দ শামীম আহমদ, খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটির সেক্রেটারি মাওলানা সৈয়দ সালিম কাসিমী, জালালাবাদ ইমাম সমিতির সেক্রেটারি মাওলানা হুসাইন আহমদ, মাওলানা আব্দুল আহাদ, মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ খাসদবিরী, সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির প্রচার সচিব মাওলানা শাহিদ হাতিমী, মাওলানা তোফায়েল আহমদ উসমানী, মাওলানা উবায়দুল্লাহ দরবস্তী, মাওলানা আসাদ মুহাম্মাদ উসামা, মাওলানা নোমান আহমদ ছালেহ, মোশাররফ হোসেন মানিক প্রমুখ।