মাধবপুরে প্রায় ৩ কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ

মাধবপুর সংবাদদাতা

হবিগঞ্জের মাধবপুরে প্রায় ৩ কোটি টাকার ভারতীয় শাড়িসহ বিভিন্ন চোরাই পণ্য জব্দ করেছে ৫৫ বিজিবি’র সদস্যরা। শুক্রবার বিকেলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সাহেব বাড়ী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব চোরাই পণ্য জব্দ করা হয়। বিজিবির হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৫ বিজিবি)’র অধিনায়ক লেঃ কর্নেল ইমদাদুল বারী জানান- শুক্রবার বিকেলে বিজিবি হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৫ বিজিবি)’র একটি বিশেষ টহলদল উল্লেখিত এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি মিনি কাভার্ড ভ্যান আটক করে তল্লাশী চালিয়ে ৭, ৯৬০ পিস নিভিয়া সফট ক্রীম, ৫, ৭৩৮ পিস নিভিয়া বডি লোশন, ৯, ০০০ পিস স্কিন সান কিস ক্রীম, ৩, ৮৪০ পিস মাই ফেয়ার ২০ ক্রীম, ৭২৮ পিস ক্লোপ-জি ৩০ ক্রীম, ৩, ৯৬০ পিস জনসন বেবি লোশন, ৬৫ পিস বেনারশি শাড়ি, ৫৮১ পিস বিভিন্ন প্রকার শাড়ি এবং ২, ৯২২ মিটার মখমল কাপড় জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা। জব্দকৃত ভারতীয় শাড়ী ও বিভিন্ন ধরনের কসমেটিকস সামগ্রী হবিগঞ্জ জেলা কাষ্টমস অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে।

জুলাই-আগস্টে যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে – ডা. মো. আমিনুল ইসলাম

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সদস্য (১) ডা. মো. আমিনুল ইসলাম বলেছেন, জুলাই- আগস্টে যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাদের লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমাদেরকে কাজ করতে হবে। আমরা যেন একটি সুষণমুক্ত, বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক সমাজ গড়তে পারি। সে ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন আমাদের নিজ নিজ উদ্যোগ থেকে একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। সর্বোপরি স্কাউট আন্দোলনকে আরো বেগবান করতে হবে।
শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় সিলেট সার্কিট হাউস মিলনায়তনে স্থানীয় স্কাউট নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সিলেট মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. জাকির আহমদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ। বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরের জামান চৌধুরী, স্কাউট সিলেট অঞ্চলের কমিশনার মহিউল ইসলাম মুমিত, স্কাউট সদর দপ্তরের পরিচালক এইচ এম শামসুল আজাদ, মো. রুহুল আমিন, স্কাউট সিলেট আঞ্চলিক পরিচালক মোছা. মাহফুজা পারভীন ও জেলা- উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

কুলাউড়ায় বিনা টিকিটে রেল ভ্রমণের দায়ে ৮ জনকে জরিমানা

কুলাউড়া সংবাদদাতা

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বিনা টিকিটে ভ্রমণ এবং ট্রেনের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষকের (টিটিই) সাথে অসদাচরণের অভিযোগে ছাত্র পরিচয়দানকারী ৮ যাত্রীকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে কুলাউড়া রেলওয়ের স্টেশনমাস্টার মো. রোমান আহমদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
রোমান আহমদ জানান, শনিবার দুপুর ১২টায় সিলেট থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনে শ্রীমঙ্গলের উদ্দেশ্যে একত্রে বেশ কয়েকজন যাত্রী উঠেন। ট্রেনটি কুলাউড়ার কাছাকাছি আসার পর ট্রেনের টিটিই শ্রীমঙ্গলের উদ্দেশ্যে একত্রে উঠা ৮ জন যাত্রীর কাছে টিকিট দেখতে চান। এতেই টিটিইর সঙ্গে তাদের বাধে বিপত্তি। রোমান আহমদ আরও জানান, ট্রেনের টিটিই তাদের কাছে টিকিট দেখতে চাইলে টিকিট নাই দাবি করে তারা ছাত্রসহ বিভিন্ন পরিচয় দেয় যা সন্দেহজনক ছিলো। একপর্যায়ে টিটিইর সঙ্গে অসদাচরণও করে তারা। পরে টিটিই বিষয়টি কুলাউড়া রেলস্টেশনে জানালে ট্রেনটি কুলাউড়ায় আসার পর ওই ৮ জনকে টিকিট ছাড়া ভ্রমণের দায়ে ১ হাজার ৩ শত ৬০ টাকা জরিমানা করা হয়। পরে টিটিইর কাছে তারা দুঃখপ্রকাশ করলে জরিমানার পর তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
কুলাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিমুজ্জামান জানান, কোনো অভিযোগ না থাকায় এবং বিষয়টি সমাধান হয়ে যাওয়ায় ওই ৮ যাত্রীকে জরিমানার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।

রিমান্ড শেষে চার আসামীকে আদালতে হাজির

কাজির বাজার ডেস্ক

কানাইঘাট উপজেলার শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিন (৬) হত্যা মামলার চার আসামিকে পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়। প্রধান আসামি শামীমা বেগম মার্জিয়া (২৫) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিতে এসেও তিনি জবানবন্দী দেননি। পরে চার আসামিকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরের দিকে চার আসামিকে আদালতে আনা হয়।
আদালত সূত্র জানায়, মুনতাহা হত্যা মামলার চার আসামি কানাইঘাট থানার বীরদল ভাড়ারিফৌদ গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার স্ত্রী আলিফজান (৫৫), তাদের মেয়ে শামীমা বেগম মার্জিয়া (২৫) এবং একই এলাকার ইসলাম উদ্দিন (৪০) ও নাজমা বেগম (৩৫)-কে পুলিশ ১১ নভেম্বর আদালতে প্রেরণ করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। আদালত সে সময় পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলে পুলিশ আসামিদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।
জিজ্ঞাসাবাদে প্রধান অভিযুক্ত মার্জিয়া নিজের দোষ স্বীকার করে এবং আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিবে বলে পুলিশকে জানায়। তাই রিমান্ডের পাঁচদিন শেষে শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চার আসামিকে আদালতে তোলা হয়। কিন্তু স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেননি মার্জিয়া। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা জজ আদালতের ইন্সপেক্টর মো. জমসেদ আহমদ। তিনি বলেন, প্রয়োজন মনে করলে পুলিশ আবার তাদের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করবে।
গত ৩ নভেম্বর বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলো কানাইঘাট সদরের বীরদল ভাড়ারিফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে মুনতাহা আক্তার জেরিন। সেদিন সকালে বাড়ির অদূরে একটি মাদ্রাসার ওয়াজ মাহফিল থেকে ছেলে আব্দুর রহিম ও মেয়ে মুনতাহাকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন শামীম আহমদ। সেখান থেকে তাদের ফল কিনে দেন। এরপর মুনতাহা শিশুদের সঙ্গে বাড়ির সামনের সড়কে খেলতে যায়। বেলা আড়াইটার দিকে খাবার খেতে মুনতাহার ডাক পড়ে। খুঁজতে গিয়েও শিশুটিকে আর পাওয়া যায়নি। এরপর ওইদিন রাত ১২টায় মুনতাহার বাবা শামীম আহমদ কানাইঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর শিশু মুনতাহার মরদেহ পাওয়া যায় বাড়ির পাশে। হত্যার পর বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত ডোবা থেকে লাশ সরানোর সময় প্রতিবেশী নারীকে হাতেনাতে আটক করে স্থানীয় জনতা। দিনভর তদন্তে পুলিশ তিন নারীসহ ৪ জনকে আটক করেছে নারকীয় এ হত্যাকাÐে জড়িত থাকায়। তবে খোদ পুলিশও হতভম্ব, তুচ্ছ ঘটনার জেরে এমন হত্যাকাÐে।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত মার্জিয়া আক্তার, তার মা আলীফজান ও আলীফজানের মা কুতুবজানকে আটক করা হয়। ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা মার্জিয়ার বসতঘরে আগুন দেন। শিশু সন্তানের গলিত নিথর দেহ দেখে শোকে স্তব্ধ হয়ে যায় পুরো দেশ।
স্থানীয়রা জানান, মুনতাহাকে ২৫০ টাকায় প্রাইভেট পড়াতেন মর্জিয়া। তার মা আলিফজান ভিক্ষাবৃত্তি করতেন। ঘরে তার আশি বছরের বেশি বয়সী নানি কুতুবজান ছিলেন। মার্জিয়া চুরির ঘটনায় এবং তার চলাফেরা খারাপ প্রতীয়মান হওয়াতে টিউশনি থেকে তাকে বাদ দেন মুনতাহার পরিবার। সেই ক্ষোভে প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে উঠেন মার্জিয়া। শিশু মুনতাহাকে অপহরণের পর হত্যা করেন তিনি।
জনতার হাতে আটকের পর মার্জিয়ার মা আলিফজান বেগম বলেন, অপহরণের পর মার্জিয়াকে আটকাতে চেয়েছিলেন। তখন মেয়ে তাকে বলে টাকা ৫ লাখ পাইমু, আমি আরও দুইটা শিশু আনিয়া দিতাম। অপহরণের রাতে শিশুটিকে জীবিত ঘরে নিয়ে আসে। এরপর আবার তাকে নিয়ে যায়। পরে কী করছে জানি না। এই ঘটনায় যাতে নিজে ফেঁসে যেতে পারেন ভেবে ঘরের পাশের খালে কাদামাটি থেকে শিশুটির মরদেহ কোলে করে নিয়ে পুকুরে ফেলার চেষ্টাকালে তিনি ধরা পড়েন।
এদিকে, মার্জিয়ার নানি কুতুবজান বিবি (৮৫)-কে বয়সের বিবেচনায় আটক করে পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির জিম্মায় দিয়ে দেওয়া হয়। তিনি গত বৃহস্পতিবার সকালে কানাইঘাট সদর ইউনিয়নের ছাউরা গ্রামে ছোটভাইয়ের বাড়িতে মারা যান।

অবিলম্বে সিলেটের সিএনজি স্টেশনগুলোতে গ্যাসের লোড বাড়াতে হবে

সিএনজি ফিলিং এসোসিয়েশনের সাধারণ সভা

বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন এন্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির এক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১১টায় সিলেট নগরীর শাহজালাল উপশহরস্থ কার্যালয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন এন্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির সভাপতি আমিরুজ্জামান চৌধুরী। সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, বৃহত্তর সিলেটের গ্যাস থাকার পরও বৈষম্যের কারণে সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে তীব্র গ্যাস সংকট বিরাজ করছে। যার ফলে ব্যবসায়ীরা যানবাহনের চাহিদামতো গ্যাস সরবরাহ করতে পারছেন না। এতে করে সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন লেগে থাকে। গ্যাস সংকটের কারনে ব্যাবসায়ী এবং গাড়ির মালিক ও চালকরা ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন। অবিলম্বে সিলেটে সিএনজি স্টেশনগুলোতে গ্যাসের লোড বাড়ানোর জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান তিনি। এছাড়া তিনি সিলেট বিভাগে সবধরনের যানবাহনে মেয়াদোত্তীর্ণসহ সকল গ্যাস সিলিন্ডারগুলোতে টেস্ট না করে গ্যাস না নেয়ার জন্য চালকদের প্রতি আহবান জানান। তিনি আরো বলেন, ব্যবসায়ীদের সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন এন্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স এসোসিয়েশন। ব্যবসায়ীরা যাতে তাদের ব্যবসা সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে পারে তার লক্ষ নিয়েই এই সংগঠনটি সকল ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। তাই আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগঠনের কার্যক্রম আরো গতিশীল করতে হবে। সভায় ব্যবসায়ীদের সুযোগ-সুবিধা দেয়ার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহন করা হয়।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমান মানিকের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন- সহ-সাধারণ সম্পাদক সাজুওয়ান আহমদ, এসোসিয়েশনের সিনিয়র সদস্য প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আফসার ফাহিম, অর্থ সম্পাদক ফয়েজ উদ্দিন আহমদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সুব্রত ধর বাপ্পি, সদস্য মো. হুরায়রা ইফতার হোসেন, সৈয়দ সাইফুল ইসলাম, আলী ইফতেখার আহমদ, ফরহাদ আলী ইমন, মো. লোকমান আহমদ, স্যার জন রাসু, নাফিজ জুবায়ের চৌধুরী, হারুনু রশিদ, আনহার উদ্দিন, মো. আলী সুমন, মো. জাহিদুল হাসান, আকতারুল ইসলাম, মুরাদ আলী সুমন, মো. আব্দুল বাতেন, ওয়ালি মাহমুদ প্রমুখ।

 

ছাত্রদল নেতা লিটনের মৃত্যুদন্ডের রায় স্থগিতের দাবিতে গোয়াইনঘাটে মানববন্ধন

কে.এম লিমন গোয়াইনঘাট

সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য আব্দুল মালিক লিটনের মৃত্যুদন্ডের রায় স্থগিত করে মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী। শনিবার বিকেলে গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবের সম্মুখে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহŸায়ক জাহাঙ্গীর আলম’র সভাপতিত্বে ও ডৌবাড়ি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহŸায়ক মিনহাজ শামসীর পরিচালনায় ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুবদলের আহŸায়ক এডভোকেট শাহজাহান সিদ্দিকী।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন মধ্য জাফলং ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরিফ। এ সময় অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহŸায়ক বিলাল উদ্দিন, সিলেট জেলা ছাত্রদলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, যুবদল নেতা নাজমুল ইমলাম রিপন, মধ্য জাফলং ছাত্রদলের সভাপতি কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য আব্দুল মালিক লিটন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্নভাবে মিথ্যা মামলায় হয়রানী হয়েছেন। তখনকার সময়ে আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বললে দেশপ্রেমীক আর অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে দেশদ্রোহীতার আখ্যা দিয়ে বিভিন্নভাবে মামলা দিয়ে মানুষকে হয়রানি করা হতো। ঠিক একই ভাবে লিটনও আওয়ামী লীগের প্রতিহিংসায় মিথ্যা মামলার শিকার।
লিটন সব সময় অন্যায়ের প্রতিবাদী ও ন্যায়পরায়ন একজন মানুষ ছিলেন, লিটনের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একাধিক রাজনৈতিক ও প্রতিহিংসায় লিটনকে সাজানো মামলায় হিরোইনসহ গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। পরবর্তীতে আদালত লিটনকে ফাঁসির মাধ্যমে মৃত্যুদন্ডের রায় দেয়। ফরমায়েসি সেই রায় স্থগিত করে নিঃশ্বর্ত মুক্তি দিয়ে লিটনকে পুনরায় আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দিতে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার ও বিচার বিভাগের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কয়েক শতাধিক মানুষ অংশ নেন।
সুত্রে জানা যায়, সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের লাখেরপাড় গ্রামের আব্দুস শহিদ মিয়ার ছেলে আন্নু মালিক লিটন (লম্বা লিটন) কে ২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ১ কেজি হিরোইনসহ লিটনসহ আরও দুই জনকে আটক করে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ। ওই মামলায় বিজ্ঞ আদালত ২০২৩ সালের ৫ই অক্টোবর আন্নু মালিক লিটনকে মৃত্যুদÐের রায় প্রদান করেন।

কোম্পানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের নির্বাচনের জন্য কমিশন গঠন

কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি

কোম্পানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির এক সভায় এ কমিশন গঠন করা হয়।
সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলামকে প্রধান কমিশনার এবং প্রবীণ আইনজীবী মো. বদরুল আলম ও কোম্পানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. শাব্বির আহমদকে কমিশনার হিসেবে মনোনীত করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি আগামী ২১ কার্যদিবসের মধ্যে ক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন আয়োজন করবে।
প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. শাব্বির আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবিদুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল আলীম, অফিস সম্পাদক আনোয়ার সুমন, কোষাধ্যক্ষ আলী হোসেন, তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক আকবর রেদওয়ান মনা, পাঠাগার সম্পাদক ফখর উদ্দিন, কার্যকরি সদস্য আব্দুল জলিল, আব্দুল হামিদ, লবীব আহমদ ও ফারুক আহমেদ প্রমুখ।

তিন দিনব্যাপী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ শুরু সাংবাদিকতায় সফল হওয়ার শর্টকার্ট কোনো পদ্ধতি নেই

 

সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকরামুল কবির বলেছেন, সাংবাদিকতায় সফল হওয়ার শর্টকার্ট কোনো পদ্ধতি নেই। নিজেকে দক্ষ সাংবাদিক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে বেশি করে পড়তে হবে, লিখতে হবে। কঠোর পরিশ্রম আর কাজের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে এই পেশায় সফল হওয়া যায়।
তিনি শনিবার বেলা দুইটায় সিলেট প্রেসক্লাবের আমীনূর রশিদ মিনলায়তনে সাংবাদিকতায় তিন দিনব্যাপী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। সেন্টার ফর স্কিল ডেভেলপমেন্ট এন্ড নিউজ নেটওয়ার্কের উদ্যোগে ও ইন্টার প্রেস নেটওয়ার্কের (আইপিএন) সহযোগিতায় এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সাংবাদিকতায় আগ্রহী বিভিন্ন বয়সের ২৪ জন যুবক এতে অংশ নেন। কর্মশালার কো-অর্ডিনেটর শুয়াইবুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক সিলেটের ডাক’র প্রধান প্রতিবেদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য, ডেইলি ট্রাইব্যুনালের সিলেট ব্যুরো চিফ মো. আব্দুর রাজ্জাক, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে জামাল আব্দুল নাসের বক্তব্য দেন। কোরআন তেলাওয়াত করেন, প্রেসক্লাবের সদস্য ও দৈনিক সিলেট বাণী’র সাহিত্য সম্পাদক লুৎফুর রহমান তোফায়েল। উপস্থিত ছিলেন, নির্বাহী কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক শেখ আব্দুল মজিদ, ক্লাব সদস্য ও দেশ টেলিভিশনের সিলেট ব্যুরো প্রধান খালেদ আহমদ, এম রহমান ফারুক, ফয়সল আহমদ প্রমুখ।
তিন দিনের কর্মশালায় সিলেট ও ঢাকার অভিজ্ঞ সাংবাদিকরা রিসোর্স পারসন হিসেবে প্রশিক্ষণ দিবেন। সোমবার কর্মশালা শেষ হবে। সফলতার সঙ্গে কোর্স সম্পন্নকারীদের সনদ দেওয়া হবে। বিজ্ঞপ্তি

 

বানিয়াচংয়ে ৩ মাস পর ৯ জনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের আদেশ

বানিয়াচং সংবাদদাতা

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৯ জনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়না তদন্তের আদেশ দিয়েছে আদালত। পরের প্রক্রিয়ায় শিগগিরই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মরদেহগুলো উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করবে পুলিশ। শুক্রবার রাতে ৯ জন হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বানিয়াচং থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর প্রায় দুই সপ্তাহ আগে তিনি হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মরদেহ উত্তোলনের আদেশ চেয়ে আবেদন করলে বিচারক মো. আবদুল আলীম তা মঞ্জুর করেছেন।
মরদেহগুলো কবে উত্তোলন করা হবে জানতে চাইলে এসআই জাহাঙ্গীর বলেন, আদালতে প্রায় দুই সপ্তাহ আগে মরদেহ উত্তোলনের আদেশ হয়েছে। জেলা প্রশাসন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অনুমতি দিলে শিগগিরই এ আদেশ বাস্তবায়ন করা হবে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে দায়ের করা হত্যা মামলায় আদালত এ আদেশ দিয়েছেন বলেও তিনি জানান।
নিহতরা হলেন- বানিয়াচং উপজেলার ভাঙ্গার পাড়ের মো. ছানু মিয়ার ছেলে হোসাইন মিয়া, জাতুকর্ণপাড়ার মো. আব্দুন নূরের ছেলে মো. আশরাফুল ইসলাম, আব্দুর রউফ মিয়ার ছেলে মো. তোফাজ্জল হোসেন, পাড়াগাঁওয়ের ম. শমসের উল্লার ছেলে মো. মোজাক্কির মিয়া, পূর্বগড়ের মো. ধলাই মিয়ার ছেলে মো. সাদিকুর রহমান, কামালখানী মহল্লার মৃত মো. আলী হেসেনের ছেলে শেখ নয়ন হোসেন, সাগর দিঘীর পূর্বপাড়ের মৃত মোশাহিদ আখঞ্জীর ছেলে সোহেল আখঞ্জী, চানপুরের মৃত তাহের মিয়ার ছেলে আকিনুর রহমান ও খন্দকার মহল্লার মো. আবুল হোসেনের ছেলে মো. আনাস মিয়া।
পুলিশ জানায়, গত ৫ আগস্ট বেলা ১১টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাগরদিঘীর পশ্চিমপাড় ঈদগাহ মাঠ থেকে মিছিল বের করে। গ্যানিংগঞ্জ বাজার প্রদক্ষিণ শেষে মিছিলকারী ৪-৫ হাজার লোক বড়বাজার শহীদ মিনারে গিয়ে জড়ো হন। পরে বিক্ষুব্ধ লোকজন মিছিল নিয়ে থানার সামনে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় পুলিশ রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলে চারজনসহ সাতজন নিহত হন। তখন চিত্র ধারণ করতে গেলে বিক্ষুব্ধরা এক সাংবাদিককে পিটিয়ে হত্যা করেন। মোট মৃতের সংখ্যা হয় আট। এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা থানার এসআই সন্তোষ চৌধুরীকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। পরদিন গুলিবিদ্ধ আরেকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ ঘটনায় নিহত ৯ জনের পরিবারের পক্ষ থেকে ও এসআই সন্তোষ হত্যাকাÐের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে ও আহত একজনের বাবার পক্ষ থেকে মোট তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় আসামি প্রায় ১০ হাজার।

টাঙ্গুয়ার হাওরে প্রাকৃতিক পরিবেশ ঠিক রেখে সৌন্দর্য উপভোগ করতে হবে – বেগম নাসরীন জাহান

তাহিরপুর সংবাদদাতা

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব বেগম নাসরীন জাহান বলেছেন, পরিবেশ নষ্ট করে পর্যটন শিল্প গড়ে উঠতে পারে না। টাঙ্গুয়ার হাওরে প্রাকৃতিক পরিবেশ ঠিক রেখে হাওরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে হবে। আমাদের শুধু স্বপ্ন দেখলে হবে না, কার্যকর ভ‚মিকাও রাখতে হবে। শুক্রবার রাতে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে টাঙ্গুয়ার হাওর লোকজ ও পূর্ণিমা উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রথমবারের মতো উপজেলার নীলাদ্রি লেক (ট্যাকেরঘাট) এলাকায় এ উৎসব আয়োজন করে সুনামগঞ্জ হাউজবোট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। এ উৎসবের উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব বেগম নাসরীন জাহান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বিরোদা রানী রায়, তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসেম। মনোরম পরিবেশে পূর্ণিমার সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটির দিনে সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর, নীলাদ্রি লেক, বারিকাটিলার পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করেন পর্যটকরা। সেই সঙ্গে সন্ধ্যা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নীলাদ্রি লেক এলাকায় উৎসবে ও পূর্ণিমার সৌন্দর্য উপভোগ করতে জড়ো হন তারা।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আদিবাসীরা তাদের প্রচলিত একটি নৃত্য পরিবেশন করেন। পরে সুনামগঞ্জের সাহিত্যিক ও মরমি কবিদের স্মৃতিচারণে হাসন রাজা, শাহ আব্দুল করিম, দুরবিন শাহ গান পরিবেশিত হয়।