মৌলভীবাজারে ১৫৩টি করাত কলের মধ্যে অবৈধ ৯৩টি

19

সাইফুল ইসলাম, শ্রীমঙ্গল থেকে :
মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানসহ পাশাপাশি বিভিন্ন চা বাগানগুলোর সেডট্রি, সেগুন ও আকাশমনি গাছ অবাধে চুরি হয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন স মিলে চিড়াই হচ্ছে। কিন্তু স্থানীয় প্রসাশন এসব অবৈধ করাতকল বন্ধ না করায় উজাড় হয়ে যাচ্ছে সংরক্ষিত বনাঞ্চল।
মৌলভীবাজার সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পরিমাণ ৩১ হাজার ৬.৮৪ হেক্টর বন ভূমি রয়েছে। তার মধ্যে ১৫৩ টি করাত কলের মধ্যে অবৈধ রয়েছে ৯৩টি।
মৌলভীবাজার জেলা সদরসহ শ্রীমঙ্গল ও রাজনগর, কমলগঞ্জ, বড়লেখা, জুড়ী, কুলাউড়া ৭টি উপজেলায় মোট ১৫৩টি করাতকল রয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের ১৯৯৮ সালের ৩ ডিসেম্বর সরকারের গেজেটে করাতকল স্থাপনের জন্য বিভিন্ন নীতিমালা করেছেন। নীতিমালায় উল্লেখ রয়েছে করাতকল বনাঞ্চল হতে ১০ কিলোমিটার দূরে হবে,আন্তর্জাতিক সীমানা হতে ১০ কিলোমিটার, উপজেলা পরিষদ হতে ১ কিলোমিটার দূরে, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা এলাকায় শব্দদূষণ হয় এ রকম স্থানে করাতকল স্থাপন করা যাবে না। অন্যদিকে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র গ্রহণ বাধ্যতা মূলক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার ২০০২ সালের ১৭ জানুয়ারি অপর এক গেজেট নোটিফিকেশনে পূর্বের আদেশটি সংশোধন করে নীতিমালায় পৌরসভা হলে এই আইন প্রযোজ্য হবে না।
১৯৯৮ সালের গেজেট নোটিফিকেশনের পর বন বিভাগের নীতিমালা অনুযায়ী যে করাতকলগুলো অবৈধ ঘোষিত হবে সে গুলো ১৮০ দিনের মধ্যে বন্ধ করে দিতে হবে।
শ্রীমঙ্গল বন বিভাগের মহকুমা বন কার্যালয় সূত্রে জানাযায়, রিট মামলা ও স্বত্ব মামলার কারণে ঐসময় এগুলো বন্ধ করা যায়নি।অবৈধ করাতকলের মালিকরা হাইকোর্টে রিট করলে হাইকোর্ট কাউকে ৩ মাসের জন্য আবার কাউকে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত করাতকল বন্ধ করা যাবে না বলে আদেশ দিয়ে ছিলেন। আবার অনেকের অভিযোগ বন বিভাগ ও অবৈধ করাতকলের মালিকদের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকায় বন বিভাগ মামলা পরিচালনায় তদারকি করছেন না অপর-পক্ষে অবৈধ করাতকলের মালিকরা মামলা পরিচালনায় উদ্যোগ গ্রহণ করছেন না। যার কারণে মামলাগুলো নিষ্পত্তি হতে সময় নিচ্ছে।
শ্রীমঙ্গল মহকুমা বন কার্যালয়ের (এসিএফ) রাজেশ চাকমা জানান, জেলার ১৫৩ টি করাত কলের মধ্যে ৯৩টি অবৈধ করাতকল রয়েছে। রিট মামলা ও স্বত্ব মামলার কারণে সেগুলো বন্ধ করা যাচ্চে না।
মৌলভীবাজার জেলার সদর উপজেলায়সহ শ্রীমঙ্গল ও রাজনগর মোট ৩টি উপজেলায় ৭৩টি করাতকলের মধ্যে অবৈধ রিট স্বত্ব মামলা ২৪টি, তার মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির পর ২টি উচ্ছেদ করা হয়েছে।
কমলগঞ্জ উপজেলায় মোট করাতকলের সংখ্যা ৩৩ টি। তার মধ্যে বৈধ ১৬টি, অবৈধ্য ১৭টি,তার মধ্যে ৫টি স্বেচ্ছায় অপসারিত ও একটি সরকারীভাবে উচ্ছেদ করা হয়েছে।
কুলাউড়ায় উপজেলায় মোট করাতকল ৫৮টি, তার মধ্যে অবৈধ্য রিট স্বত্ব মামলা ২৭টি।
জুড়ী উপজেলায় ১৯টি করাতকলের মধ্যে বৈধ ৩টি, বাকি অবৈধ ১৬টি তার মধ্যে ১টি উচ্ছেদ আর ১টি স্বেচ্ছায় অপসারিত।
বড়লেখা উপজেলায় ৩৯টির মধ্যে অবৈধ্য ৯টি (মামলাভুক্ত) রয়েছে।