আনুষ্ঠানিক প্রচারে আ’লীগ, আত্মগোপনে বিএনপি

23

bnp -al_61157কাজিরবাজার ডেস্ক :
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী মঙ্গলবার সকাল থেকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থীরা ঢাকায় আনুষ্ঠানিক প্রচারে নেমেছেন।
অন্যদিকে নানা ঝক্কি ঝামেলার কবলে পড়ে প্রচার থেকে দূরে রয়েছে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা। তবে ঢাকার দুই সিটিতে বিএনপি এখনো প্রার্থীই চূড়ান্ত করতে পারেনি।
দক্ষিণে প্রার্থী প্রায় চূড়ান্ত হলেও গ্রেফতার আতঙ্কে মির্জা আব্বাস এখনো মাঠেই নামতে পারেনি।
আর উত্তরে আবদুল আউয়াল মিন্টুর সুযোগ না থাকায় বিএনপির সমর্থন মিন্টুর ছেলে তাবিথ পাচ্ছেন নাকি বিকল্প ধারার মাহী পাচ্ছেন তা নিয়ে হিসাব এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি।
এদিকে শুধু মির্জা আব্বাস নয়, ঢাকার দুইভাগে কাউন্সিলর পদে বিএনপির সমর্থনে যারা লড়তে চাচ্ছেন তাদের বেশিরভাগই আছেন লোকচক্ষুর আড়ালে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনের শুরু থেকে গ্রেফতারের ভয়ে এসব নেতারা আত্মগোপনে আছেন।
আজ আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হলেও তারা নির্বাচনী মাঠে আসতে পারেনি গ্রেফতারের ভয়ে। সরকারের সবুজ সংকেত না পাওয়ায় যাচ্ছেন না আদালতে।
মঙ্গলবার সকাল এগারোটার দিকে যাত্রাবাড়ীর   কুতুবখালী থেকে আনুষ্ঠানকি প্রচার শুরু করনে ঢাকা দক্ষিণের আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী  সাঈদ খোকন।
আর উত্তরের মেয়রপ্রার্থী আনিসুল হক ভোর সাড়ে পাঁচটায় মায়রে কবর জয়িারতরে মাধ্যমে আনুষ্ঠানকিভাবে প্রচার শুরু করনে। পরে  তিনি যান শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে। এরপর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে কারওয়ান বাজারে প্রচারণা চালান।
যদিও এখনো এসব প্রার্থীর প্রতীক জানা নেই। আগামী ১০ এপ্রিল প্রতীক বরাদ্দ হবে।
নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি অনুযায়ী, নির্বাচন শুরুর ৩২ ঘণ্টা আগ র্পযন্ত প্রচার চালানো যাব।ে এই হিসেবে  প্রার্থীরা ২৬ এপ্রলি রাত ১২টা পর্যন্ত প্রচার চালাতে পারবনে।
বিএনপির দলীয় সূত্র বলছে, দলের চেয়ারপারসনের জামিন, তাকে নির্বিঘেœ বাসায় যাওয়া এবং গুলশানের কার্যালয় বন্ধ না করা, কেন্দ্রীয় কার্যালয় খুলে দেয়াকে বিএনপি ইতিবাচক হিসেবে দেখছে। কিন্তু সিটি নির্বাচনে তাদের দলের প্রার্থীদের জামিন পাওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের এমন দৃষ্টিভঙ্গি থাকবে কিনা তা নিয়ে তারা সংশয়ের মধ্যে আছেন।
কারণ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বিএনপির নেতাদের বৈঠকের পর এখন পর্যন্ত প্রার্থীদের হয়রানী বন্ধের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা তারা পাননি। সেজন্য বিএনপি আরো একটু অপেক্ষা করতে চান।
পরিস্থিতি নিজেদের অনুকূলে মনে হলে যে কোনো সময় প্রার্থীরা আদালত থেকে  জামিন নিয়ে প্রচারে আসতে চান।
সোমবার এ বিষয়ে কথা হলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ বলেন, “দেখি কি হয়। সরকার বিভিন্নক্ষেত্রে বেআইনি কাজ করলেও আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রাখতে চাই।”
দক্ষিণের সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসের ঘনিষ্ঠ এক নেতার সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, “জামিন না নিয়ে তিনি (আব্বাস) প্রচারণায় অংশ নিতে চাচ্ছেন না। আইনজীবীদের সঙ্গে এ বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছে।”