করিমউল্লাহ মার্কেটের স্বত্ত্বাধিকারী সাকেরের সংবাদ সম্মেলন ॥ ফতেহপুর বাগানের মালিকের বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

18

DSC_0174 copyস্টাফ রিপোর্টার :
ফতেহপুর চা বাগানের মালিক ইয়াসিন ওসমানের বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন শাহজাহান উল্লাহ পাওয়ার জেনারেশন, সাকের অটোব্রিকস ও করিম উল্লাহ মার্কেটের স্বত্তাধিকারী শিল্পপতি আতাউল্লাহ সাকের। চা বাগান ইজারা দেওয়া ও ঢাকার সাভারে জায়গা বিক্রির কথা বলে ইয়াসিন ওসমান এ টাকা আত্মসাত করেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
টাকা আত্মসাতের ঘটনায় আদালতে মামলা করায় ইয়াসিন ওসমান ও তার লোকজন হত্যা ও গুমের হুমকি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন সাকের। গতকাল সোমবার দুপুরে সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আতাউল্লাহ সাকের বলেন- সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেহপুর চা বাগান বিক্রির কথা বলে ইয়াসিন ওসমান বিভিন্ন সময় তার কাছ থেকে ১৪ কোটি ৮৭ লাখ ৫৫ হাজার টাকা নেন। পরে ইয়াসিন ওসমান বাগানটি গোপনে অন্যত্র বিক্রি করে দিয়ে ১৪ কোটি ৮৭ লাখ ৫৫ হাজার টাকার ৬টি চেক প্রদান করেন। কিন্তু ব্যাংকে উপস্থাপনের পর চেকগুলো ডিজওনার হয়। একপর্যায়ে টাকা উদ্ধারের লক্ষ্যে ৬টি চেকের বিপরীতে আদালতে মামলা দায়ের করেন তিনি।
সাকের আরও বলেন- গত ১৮ মার্চ তার নিযুক্তিয় আমমোক্তার কয়ছর আহমদ মামলার কাজে আদালতে গেলে ইয়াসিন ওসমানের নিযুক্ত আইনজীবীর মুহুরী মুক্তা তার সাথে দুর্ব্যবহার করে। মামলা তুলে না নিলে ইয়াসিন ওসমান ও তার ম্যানেজার জুনেদ তাকে হত্যা ও গুম করে ফেলবে। এরপর থেকে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। প্রায়ই তাকে অপরিচিত লোকজন অনুসরণ করছে।
সংবাদ সম্মেলনে আতাউল্লাহ সাকের আরও উল্লেখ করেন- ঢাকার সাভারে ৪.৬৫ একর জায়গা ক্রয়ের লক্ষ্যে তিনি ইয়াসিন ওসমানের সাথে বায়না রেজিস্ট্রি করেন। জায়গার মোট মূল্য ৮ কোটি টাকার মধ্যে তিনি ৪ কোটি ৭০ লাখ ১০ হাজার টাকা পরিশোধও করেন। এরপর তিনি জানতে পারেন ওই জায়গার মালিকানা সংক্রান্ত আইনী জটিলতা রয়েছে।
জমির মালিকানা নিয়ে বর্তমানে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ ট্রাইব্যুনালে মামলা চলছে। সাকের অভিযোগ করেন ইয়াসিন ওসমান জেনেশুনে তার সাথে এরকম প্রতারণা করেছেন। আত্মসাতকৃত টাকা উদ্ধারে তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আতাউল্লাহ সাকেরের বড় ভাই শিল্পপতি ছানাউল্লাহ ফাহিম, সিলেট চেম্বারের পরিচালক এমদাদ হোসেন, সিটি কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, করিমউল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কাওসার আহমদ, সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ পাভেল প্রমুখ।