দক্ষিণ সুরমায় সুরুজ আলী হত্যা মামলা ॥ ২ জনের ফাঁসি, একজনের যাবজ্জীবন, ১০ জন খালাস

39

স্টাফ রিপোর্টার :
দক্ষিণ সুরমায় সুরুজ আলী হত্যা মামলায় দুই জনের ফাঁসি ও একজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১০ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ ইফতেখার বিন আজিজ এ রায় দেন।
ফাঁসির দন্ডপপ্রাপ্তরা হচ্ছে, দক্ষিণ সুরমার জালালপুর ইউনিয়নের খতিরা গ্রামের এরশাদ আলীর পুত্র ফজর আলী (৩৫) ও একই গ্রামের আবুল আলীর পুত্র বশির (২২)। যাবজ্জীবন কারাদ-প্রাপ্ত হচ্ছেন খতিরা গ্রামের এরশাদ আলীর পুত্র ফয়জুল (২৫)। এছাড়া এ মামলার রায়ে রহিম (৩৫), তজনু (৪৫), আব্দুর নুর (৫০), এরশাদ (৬৫), আনছার আলী (৪৫), ছইদ আলী ওরফে শহিদ (২৫), ফিরোজ আলী (২০), মিজানুর রহমান (২০), শরিফ উদ্দিন (২২) ও সেজন (২০)কে  বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষনার সময় দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরো এক বছর করে কারাভোগ করতে হবে।
সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মাসুক আহমদ জানান, ২০০৯ সালের ২ মার্চ সকালে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে দক্ষিণ সুরমার জালালপুর ইউনিয়নের খতিরা গ্রামের মৃত রহমান উল্লাহর ছেলে বাবুল আলী ও এরশাদ আলীর ছেলে ফজর আলীর লোকজনের সংঘর্ষ হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় ঘটনাস্থলেই মারা যান বাবুল আলীর ভাই সুরুজ আলী। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাবুল আলী বাদী হয়ে ৩ মার্চ ১৪ জনকে আসামী করে দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নং-৩ (০২-০৩-১৫)। দীর্ঘ তদন্ত শেষে একই বছরের ১০ আগষ্ট দক্ষিণ সুরমা থানার মোঃ চাঁন মিয়া ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। এবং ২০১০ সালের ২ মার্চ এ মামলার বিচারকার্য শুরু করেন আদালত। দীর্ঘ শুনানী ও ২৬ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আসামী ফজর আলী ও বশিরকে ৩০২/৩৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে উল্লেখিত মুত্যৃদন্ডাদেশ ও অপর আসামী ফয়জুলকে একই ধারায় যাবজ্জীবন কারাদন্ড ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রমে কারাদন্ড এবং ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামী বশিরকে ৩২৬ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৭ বছরের কারাদন্ড ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রমে কারাদন্ডে দন্ডিত করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি এডভোকেট মাসুক আহমদ ও আসামীপক্ষে এডভোকেট মহসিন আহমদ মামলাটি পরিচালনা করেন।