ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন ॥ খালেদা জিয়ার ইতিবাচক ইঙ্গিতে কর্মীদের মনে স্বস্তি!

34

bnp_58871কাজিরবাজার ডেস্ক :
ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি বিএনপি। তবে শুক্রবার রাতে এ বিষয়ে বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কথা জানা যায়। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের নিশ্চয়তা দাবি করে দলীয় প্রধানের এমন ইঙ্গিতে কিছুটা হলেও আন্দোলন নিয়ে ‘হতাশ’ বিএনপি নেতাকর্মীদের মনে স্বস্তি ফিরেছে। বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করে এমনটাই জান যায়।
গত ১৭ এপ্রিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং মেয়াদউত্তীর্ণ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৮ এপ্রিল একযোগে এই তিন সিটিতে নির্বাচন হবে।
তফসিল ঘোষণার আগেই নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে টানা আন্দোলনে থাকা বিএনপি শিবির ছিল অনেকটা নীরব। তবে আস্তে আস্তে নির্বাচনের ব্যাপারে মুখ খুলতে শুরু করেছেন দলটির নীতিনির্ধারকেরা। শুক্রবার সকালে দলটির একজন নীতি নির্ধারক সাংবাদিকদের বলেন, “শিগগিরই এ ব্যাপারে আপনারা জানতে পারবেন।”
জানা গেছে, নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নিলেও খালেদা জিয়া দলের শীর্ষ নেতা ও বিএনপিপন্থী পেশাজীবী নেতাদের মতামত নিচ্ছেন।
বিএনপি নেতারা বলছেন, সিদ্ধান্ত হলে আন্দোলনের অংশ হিসেবেই তারা নির্বাচনে অংশ নেবেন। সেক্ষেত্রে চাপে থাকা নেতাকর্মীরা আবারও চাঙ্গা হওয়ার সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি আওয়ামী লীগও একতরফা নির্বাচনের সুযোগ পাবে না।
অন্যদিকে কেউ কেউ মনে করছেন, নেতাকর্মীদের অনেকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকায় তারা প্রকাশ্যে আসতে পারবেন না। সে কারণে এ নির্বাচনে তারা সুষ্ঠুভাবে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
তারা বলছেন, দলের হাইকমান্ডকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্তের আগে মামলা ও গ্রেফতারের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত যাই হোক, আপাতত নির্বাচনের বিষয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়ায় বেশির ভাগ নেতাকর্মী খুশি। তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে স্বস্তি।
ঢাকা মহানগর বিএনপির একজন শীর্ষ নেতা তফসিল ঘোষণার দিন বলেছিলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনে অংশ নিলে তা হবে আত্মঘাতী।” শনিবার ওই নেতাই নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকাটাইমসকে বলেন, “আমরা নির্বাচন করতে চাই। সঠিকভাবে প্রার্থী নির্বাচন করতে পারলে এবং নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আওয়ামী লীগের লোক জামানত হারাবে।”
রাজধানীর খিলগাঁও এলাকা থেকে কমিশনার পদে নির্বাচন করতে আগ্রহী ঢাকা মহানগর মহিলা দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নিলুফা ইয়াসমীন নিলু।  তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগকে ফাঁকা মাঠে ছেড়ে দেয়া যাবে না। ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক চিন্তা করায় আমরা খুশি। দল সুযোগ দিলে নির্বাচন করবো।”
ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সাঈদ খান খোকন বলেন, “নির্বাচনের ব্যাপারে ইতিবাচক চিন্তাকে আমি স্বাগত জানাই। কারণ ন্যূনতম সুষ্ঠু পরিবেশ থাকলে মেয়রসহ কোনো পদে আওয়ামী লীগের লোক আমাদের সঙ্গে কুলিয়ে উঠবে না।”
ডিসিসিতে মেয়র পদে ঢাকার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এমন কাউকে প্রার্থী নির্বাচনেরও পরামর্শ দেন তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, “সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। শিগগিরই জানতে পারবেন।”