আরো দুই ‘কিলার’কে খুঁজছে পুলিশ

29

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীতে শিশু আবু সাঈদ অপহরণ ও খুনের ঘটনায় আরও দুই ‘কিলারকে’ হণ্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ। তাদেরকে গ্রেফতারে পুলিশের দুটি দল নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে। এই দুই কিলারের মধ্যে একজন জেলা ওলামালীগের প্রচার সম্পাদক মুহিবুর রহমান ওরফে মাছুম, অপরজনকে এখনো সনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। হত্যাকান্ডের ঘটনায় ইতোমধ্যে গ্রেফতারকৃত ৩ জনের মধ্যে পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান ও জেলা ওলামালীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম রাকিব (আবদুর রাকিব) এর দেয়া ১৬৪ ধারা জবানবন্দি থেকে এ দুই ‘কিলারের’ তথ্য উঠে এসেছে।
এছাড়া গ্রেফতার হওয়া অপরব্যক্তি পুলিশের কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদাকে আবারও পুলিশ ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) শাহ মো: ফজলে আজিম পাটোয়ারী ধৃত গেদার ৩ দিনের রিমান্ড শেষে সিলেট চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জহিরুল গণি চৌধুরীর আদালতে হাজির করে আবারও তার বিরুদ্ধে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানায়। আদালত তার রিমান্ড শুনানী শেষে গতকাল ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে এবাদুর ও রাকিব জানায়, তাদের সাথে অপহরণ ও কিলিং মিশনে অংশ নেয় জেলা ওলামালীগের প্রচার সম্পাদক মুহিবুর রহমান ওরফে মাছুম ও আনুমানিক ৩০ বছর বয়সী এক যুবক। ওই যুবকটি লম্বা ও শ্যামলা বলে জবানবন্দিতে উলে¬খ করেছে এবাদুর ও রাকিব। অপহরণের পরিকল্পনা বৈঠক থেকে শুরু করে অপহরণ, চাঁদাদাবি ও খুনের সাথে ওই যুবক জড়িত ছিল সরাসরি। তবে জবানবন্দিতে যুবকটির নাম পরিচয় জানায়নি তারা। গ্রেফতার হওয়া আতাউর রহমান গেদা ওই যুবকটিকে নিয়ে এসেছিল বলে জানিয়েছে তারা।
জবানবন্দিতে এবাদ ও রাকিব জানায়, শিশু সাঈদকে অপহরণ করে মোটর সাইকেলে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় রায়নগরস্থ গেদার বাসার পাশের একটি বাসায়। সেখান থেকে সিএনজি অটোরিকশাযোগে সাঈদকে নিয়ে আসা হয় কুমারপাড়া ঝর্ণারপাড়স্থ এবাদুরের বাসায়। জবানবন্দিতে ওই অটোরিকশা চালকের পরিচয় জানাতে না পারলেও রাকিব তাকে হালকা-পাতলা গড়নের বলে উলে¬খ করেছে। পুলিশ ওই অটোরিকশা চালককেও খুঁজছে। তাকে পাওয়া গেলে অপহরণকারীদের সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়া যাবে।
কোতোয়ালী থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই ফায়াজ আহমদ জানান- হত্যাকান্ডের ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত আতাউর রহমান গেদাকে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত তার কাছ থেকে নতুন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মোঃ রহমত উল্লাহ বলেন, পুলিশ কনস্টেবল এবাদুল ও ওলামালীগ নেতা রাকিবের জবানবন্দিতে অপহরণ ও হত্যাকান্ডের সাথে আরও দুইজনের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে একজন ওলামালীগ নেতা ও অপরজন এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া অপহরণে ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিক্সা চালককেও খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। তাকে পাওয়া গেলে অপহরণকারীদের ব্যাপারে আরও তথ্য পাওয়া যেতে পারে।