তাহিরপুর সীমান্তে কয়লা চোরাচালান, দেড়টন জব্দ

56

সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর সীমান্তে হচ্ছে কয়লা চোরাচালান। গত শুক্রবার রাত ১১টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিজিবি ও চোরাচালানীদের মধ্যে চোর-পুলিশ খেলার মধ্যদিয়ে টেকেরঘাট, চাঁনপুর ও চাঁরাগাঁও সীমান্ত থেকে মোট দেড়টন চোরাই করায় আটক করা হয়েছে। সুনামগঞ্জ ৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়কের কড়া নজরদারীর কারণে চাপের মুখে পড়ে স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য নামমাত্র কয়লা আটক করলেও চোরাচালানীদের আটক করছে না। স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার রাত ১১টায় চাঁনপুর টেকেরঘাট সীমান্তের গারোঘাট দিয়ে চোরাচালানী আবুল মিয়া, সম্্রাট মিয়া ও রহিম মিয়ার নেতৃত্বে ২শ বস্তা কয়লা পাচার করে বড়ছড়া কয়লা ডিপুতে নিয়ে মজুত করা হয়। এ সময় ১০ বস্তা আটক করা হয়। অন্যদিকে রাজাই গ্রামের চিহ্নিত চোরাচালানী জম্মত আলীর নেতৃত্বে ১৬০ বস্তা কয়লা পাচার করে রাজাই গ্রামের কলে হাইজং এর বাড়ির পিচনের ফুটবল খেলার মাঠের উত্তরপাশে মজুত রাখে। এ সময় চাঁনপুর বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার সাদেক ১৪ বস্তা কয়লা আটক করে বাকি কয়লাগুলো ছেড়ে দেওয়ার পর যাদুকাটা নদীর তীর সংলগ্ন ছিলা বাজারে নিয়ে বারেবটিলার আব্দুল গফফারের নিকট বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। চোরাই কয়লা পাচারের জন্য বিজিবি ক্যাম্পের নামে প্রতি কয়লার বস্তা থেকে ৭০টাকা চাদা নিচ্ছে চাঁনপুর গ্রামের চোরাচালানী মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী আবু বক্করের ছেলে আলমগীর। আর সাংবাদিকদের নামে চাঁদাবাজ আজাদ মিয়া ও থানার এসআই জামালের নামে ৩০টাকা চাঁদা উত্তোলন করছে তাদের একান্ত সহযোগী চোরাচালানী জম্মত আলী। এছাড়াও বড়ছড়া কাস্টম অফিসের নামে ১০টাকা চাঁদা নিচ্ছে চাঁনপুরের বিশিষ্ট চোরাচালানী সম্রাট মিয়া। এ ব্যাপারে জম্মত আলী বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় লিখে কিছু করতে পারবেন না, আমার সাথে এসআই জামাল স্যার ও আজাদ ভাই আছেন। সুনামগঞ্জ ৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক গোলাম মহিউদ্দিন বলেন, গত শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে সীমান্তের চাঁরাগাঁও থেকে আধাটন, টেকেরঘাট থেকে আধাটন ও চানপুন এলাকা থেকে আধাটন কয়লাসহ মোট দেড়টন অবৈধ চোরাই কয়লা আটক করেছে বিজিবি। চোরাচালান প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।