জগন্নাথপুরে মেলার নামে অসামাজিকতা বন্ধের দাবিতে ফুঁসে উঠেছেন সর্বস্তরের জনতা

44

জগন্নাথপুর থেকে সংবাদদাতা :
জগন্নাথপুরে মেলার নামে অসামাজিকতা বন্ধের দাবিতে ফুঁসে উঠেছেন সর্বস্তরের জনতা। এ নিয়ে এলাকায় থমথমে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, আগামী বৃহস্পতিবার রাত থেকে জগন্নাথপুর উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের রাণীগঞ্জ বাজারের পাশে রাণীগঞ্জ কলেজের নাম ভাঙিয়ে ৭ দিন ব্যাপী বসন্ত মেলার নামে প্রকাশ্যে অসামাজিক কর্মকান্ড শুরু হচ্ছে। একটি প্রভাবশালী মহলের উদ্যোগে মেলা বসানোর সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়ে গেছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার সর্বস্তরের জনতার মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মেলাটি বন্ধের দাবিতে গতকাল সোমবার রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আজমল হোসেন মিঠুসহ রাণীগঞ্জ বাজারের ৮০ জন ব্যবসায়ী স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ জগন্নাথপুর উপজেলা চেয়ারম্যান, জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জের নিকট পৃথকভাবে প্রদান করা হয়। আজ মঙ্গলবার অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপারের নিকট একই অভিযোগ প্রদান করা হবে। তাছাড়া এ মেলা বন্ধের দাবিতে গত রবিবার জগন্নাথপুর উপজেলা মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে সমিতির সভাপতি মাওলানা ছমির উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সৈয়দ রেজওয়ান আহমদসহ উপজেলার ১৮ টি মাদ্রাসার শিক্ষকদের স্বাক্ষরিত পৃথক একটি অভিযোগ জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট প্রদান করা হয়। যার অনুলিপি সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক, সুনাগঞ্জের পুলিশ সুপার ও জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জকে প্রদান করা হয়। মেলাটি বন্ধের দাবিতে আগামী বুধবার রাণীগঞ্জ এলাকাবাসীর উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা করা হবে। তাতেও যদি মেলাটি বন্ধ না হয়, তা হলে সর্বস্তরের এলাকাবাসী মেলাটি ভেঙে ফেলার আল্টিমেটাম দিয়েছেন। এদিকে মেলাটি সফলভাবে সম্পন্নের জন্য আয়োজনকারীরা প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় এলাকাবাসী মেলাটি ভাঙতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে। এমন আশঙ্কায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকার জনসাধারণ। এর আগে গত কয়েক দিন ধরে একটানা অত্র অঞ্চলের খাগাউড়া, মেঘারকান্দি ও রৌয়াইল গ্রাম এলাকায় পৃথকভাবে মেলার নামে অশ্লীলতা হয়েছে। এসব দেখে এলাকার সর্বস্তরের জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন।
রাণীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান ও রাণীগঞ্জ কলেজ গভর্ণিং বডির সভাপতি আলহাজ্ব মজলুল হক জানান, এখানে কলেজের নামে কোন মেলা হবে না। হাজী মকবুল হোসেনের নেতৃত্বে মেলা হচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। যোগাযোগ করা হলে মেলা আয়োজনকারীদের প্রধান হাজী মকবুল হোসেন তার সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেন। জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান জানান, পুলিশ মেলার পক্ষে নয়। মেলাটি বসলে ভেঙে দেয়া হবে। জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির জানান, আমার জানামতে মেলার আয়োজনকারীরা এখনো কোন সরকারি অনুমতি পায়নি। তা হলে কিভাবে মেলা বসাবে।